এলার্জি কমানোর সহজ ৫ টি ঘরোয়া চিকিৎসা

এলার্জির কারণে অনেকেই নানান সমস্যায় ভুগছেন। এলার্জি সম্পুর্ন ভাবে নিরাময় করাটা একটু কঠিন। তবে আপনি কিছু কিছু অভ্যসের মাধ্যমে এলার্জি হওয়া বন্ধ বা কামাতে পারেন। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে যে ব্যাকটেরিয়া গুলো কাজ করে তারা যখন আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোনো কিছু পায় তখন সেই জিনিস ধ্বংস করতে লেগে পরে।

এলার্জি কমানোর সহজ ৫ টি ঘরোয়া চিকিৎসা

কিন্তু মাঝে মাঝে এই রোগ প্রতিরোধ করার প্রকৃয়াটি ঠিক মতো কাজ করে না যার কারণে আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর না এমন কিছু জিনিস কেউ তারা ক্ষতিকর মনে করে। এই ক্ষেত্রে শরীরে এলার্জি দেখা দেয়। এলার্জি অনেক ধরনের হয়ে থাকে। বিভিন্ন এলার্জির বিভিন্ন চিকিৎসা তবে কিছু কমন কাজের মাধ্যমে আপনি এলার্জি হওয়া বন্ধ বা কামাতে পারেন। যেমনঃ

এলার্জেটিক খাবার খাওয়া বন্ধ করা

এলার্জেটিক খাবার খাওয়া বন্ধের আগে আপনাকে জানতে হবে ঠিক কোন খাবারে আপনার এলার্জি হয়। এক্ষেত্রে আপনি ছোট একটা কাজ করতে পারেন যেমন আপনি ৩ ধরনের খাবার খেলেন এখন এই খাবারের মধ্যে একটিতে আপনার এলার্জি হয়েছে।

এখন আপনি এই ৩ ধরনের খাবারকে আলাদা করে খাবেন যে খাবার খাওয়া পর এলার্জি হবে সেই খাবারটি মূলত এলার্জেটিক খাবার। এই খাবার গুলো খাওয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন পাশাপাশি এলার্জি কমানোর মেডিসিন নিবেন। এলার্জেটিক খাবার খাওয়ার পাশাপাশি এলার্জি কমানোর মেডিসিন নেওয়া যুক্তি সংগত নয়।

ডাস্ট মাইট

ডাস্ট মাইট হলো খুবই ছোট ছোট পোকা। এগুলোকে খালি চোখে দেখা যায় না। এলার্জি হওয়ার পিছনে এই ডাস্ট মাইট খুবই কমন একটি কারণ। এই ডাস্ট মাইট গুলো আমাদের শরীরের মৃত কোষ খেয়ে বেঁচে থাকে। প্রতিদিনই অল্প অল্প করে আমাদের শরীর থেকে মৃত কোষ ঝরে পরে। বিছানায়, সোফায় আরও বিভিন্ন জায়গায় যেখানে আমরা বেশি সময় থাকি এইসব জায়গায় মৃত কোষ ঝরে পরে।

আর মৃত কোষ ঝরে পরার কারণে সেখানে কোটি কোটি ডাস্ট মাইট বাসা বাদে। এ ক্ষেত্রে সপ্তাহে অন্তত ১ বার গরম পানি দিয়ে বিছানার চাদর, বালিশের কাভার ইত্যাদি যে-সব জিনিস ধুয়া যায় সে-সব জিনিস ধুয়া। আর যে-সব জিনিস ধুয়া যায় না সে-সব জিনিস ভিজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।

গরম বা ঘাম

গরম বা ঘামের কারণেও অনেকের এলার্জি দেখা যায়। শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের কারণে শরীর গরম হয়ে যায় এবং ঘাম বের হয়। এই শরীর গরম বা ঘামের জন্য আপনার শরীরের ব্যাকটেরিয়া গুলো রিয়েক্ট করতে পারে। এমন অবস্থায় শরীর চুলকায় লাল হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে বেশি রোদে বের হবেন না শরীর ঠান্ডা রাখতে পাতলা কাপড় পরতে পারেন। বেশি বেশি পানি পান করবেন এতে আপনার শরীর ড্রাই হবে না শরীর ঠান্ডা থাকবে।

পথেঘাটে ধুলাবালি

ধুলাবালি তে এলার্জির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই হওয়ার যুকি রয়েছে। ধুলাবালিতে অনেক ক্ষতিকর জীবাণু রয়েছে যা শরীরে লাগার পর এলার্জি ও বিভিন্ন স্কিন প্রবলেম দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন ধুলাবালি থেকে দূরে থাকার।

যেহেতু ঘর থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনে বাহিরে বের হওয়া লাগে সে ক্ষেত্রে শরীর ভালোভাবে ডেকে যায় এমন জামা পরতে পারেন। মুখে মাক্স অভ্যশই ব্যবহার করবেন আর বাহির থেকে আসার পরেই কাপড় ধুয়ে দিবেন পাশাপাশি গোসলও করে নিতে পারেন।

অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ খাওয়া

এলার্জি দূর করতে প্রধান ওষুধ হলো অ্যান্টিহিস্টামিন। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ব্যাকটেরিয়া গুলো যখন ক্ষতিকর উপাদান গুলো নষ্ট করে সেই রোগ প্রতিরোধ করার প্রকৃয়ার একটি হচ্ছে হিস্টামিন।

এই হিস্টামিন এর জন্য শরীরে এলার্জি দেখা দেয় যার জন্য এলার্জি হয়ে গেছে বা হওয়ার আগেই অ্যান্টিহিস্টামিন খেতে পারেন। এতে আপনার এলার্জি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে একেক এলার্জির একেক অ্যান্টিহিস্টামিন রয়েছে তাই আপনার এলার্জির ধরন অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

এছাড়াও এলার্জি অনেক কারণে হয়ে থাকে, সাবান, শ্যাম্পু, নির্দিষ্ট কোনো মেটাল যেমন, আংটি, চেইন, ঘড়ি, কাপড়, ওজন ইত্যাদি অনেক কারণ রয়েছে যার জন্য এলার্জি হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার কোনো জিনিসে এলার্জি আছে সে জিনিসটি খুঁজে কাজ করতে হবে।

এলার্জি নিয়ন্ত্রণ করতে অনেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই কাজটি ভুলেও করবেন না। এলার্জি কমাতে এই সাধারণ কাজ গুলো আপনাকে অনেকটা সাহায্য করবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url