সিঙ্গাপুরি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

সিঙ্গাপুরি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

সিঙ্গাপুরি কলা খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় কখন?

কলা ফলটি  যে শরীরের জন্য উপকারী তা আমরা সবাই জানি কিন্তু জানিনা যে কলা কখন খেতে হয়।  সিঙ্গাপুরি কলা খাওয়ার আমাদের সবচাইতে উপযুক্ত সময় হল দুপুর বেলা। দুপুরবেলা এই কলাটি খেল খুব দ্রুত আপনার শরীরে দুর্বলতা ভাবটি কমে যাবে। আর হে আপনি কখন কলা খালি পেটে খাবেন না। যদি ভুল করে খেয়ে ফেলে তাহলে আপনার শরীর অনেকটা কান্তি ভাব দেখা দিবে।

সিঙ্গাপুরি কলা কি ডায়াবেটিক রোগীরা খেতে পারেন?

সিঙ্গাপুরি কলা কি ডায়াবেটিক রোগীরা খেতে পারেন এ সম্পর্কে মিথ্যা আলোচনা করছি। বন্ধুরা আমরা যোগ যোগ ধরেই শুনে আসতেছি কলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী। তো চলুন জেনে নিন ডায়াবেটিক রোগীরা কি কলা খেতে পারবে। কলাতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থাকে যা তাড়াতাড়ি ব্লাড সুগার বাড়ায়। তাছাড়া কলাতে অনেক লেভেল ফাইবার থাকে যা আবার ব্লাড সুগার বাড়তে দেয় না। আবার কাঁচা কলাতে এমন এক ধরনের উপাদান থাকে যা ব্লাড সুগার বাড়তে দেয় না। তাহলে ডায়াবেটিক রোগীরা কি কলা খেতে পারবে। কলাতে যেমন ১৪ গ্রাম সুগার থাকে তার জন্য সেটি ব্লাড সুগারকে তাড়াতাড়ি বাড়িয়ে দেয়। সেই জন্য ডায়াবেটিক রোগীদেরকে  কলা না খাওয়াই ভালো।

সিঙ্গাপুরি কলায় কি ভিটামিন আছে?

চলুন আমরা জেনে নেই সিঙ্গাপুরি কলাতে কি কি ভিটামিন আছে। শুনতে কিছুটা অদ্ভুত হলেও দেহের এমন কিছু সমস্যা রয়েছে যা রোধে ঔষধ থেকে কলা অনেক কার্যকরী। কলার মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ যা খেতে অনেক মজাদার।

কলা তেমন ভিটামিন রয়েছে যা শক্তির একটি ভালো উৎস এর কারণে আমরা দেখে থাকি যে খেলোয়াররা মাঠে নামার আগে প্রচুর পরিমাণে কলা খেয়ে থাকে। তাছাড়া বেশিরভাগ খেলোয়াড়ি তাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন কলা রেখে থাকে। কলার মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ক্যালসিয়াম এবং সামান্য পরিমাণ লবণ যা হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখতে সাহায্য করে এটিও  উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

প্রতিদিন যদি আপনি একটি করে কলা খান তাহলে আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়। তাছাড়া কলাতে থাকা ভিটামিন দেহের ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। কলাতে মূলত এইসব ভিটামিন থাকে এবং কি কি কাজ তা আলোচনা করা হয়েছে উপরে।

সিঙ্গাপুরি কলায় কি পটাশিয়াম আছে?

ছোট-বড় সবারই প্রায় কলা কিন্তু পছন্দের একটি ফল। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক সিঙ্গাপুরি কলার পুষ্টিগুণাগুণ সম্পর্কে এবং পটাশিয়াম আছে কিনা তা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। তো আমরা সকলেই জানি প্রায় কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে।

এই পটাশিয়ামের কারণে আমাদের শরীরের হাড় শক্ত হয়ে থাকে। তাছাড়া সিঙ্গাপুরি কলা বিশেষ করে হার্টের দিক এবং প্রেশার এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। কলা একমাত্র ফল যেখান থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পেয়ে থাকি। অলরেডি আমরা জেনে গেছি কলাতে কি পরিমাণ পুষ্টিগুণ থাকে।

সিঙ্গাপুরি কলা কি রান্না করা যায়?

চলুন আমরা জেনে নেই সিঙ্গাপুরি কলা দিয়ে কি রান্না করা যায় কিনা। আসলে বন্ধুরা আমরা জেনে এসেছি কলা দিয়ে বিভিন্ন রকম রেসিপি  তৈরি হয়ে থাকে।যেমন কলার পিঠা, কলার চকলেট, কলার আইসক্রিম, ইত্যাদি এসব উপাদান কিন্তু কলা দিয়ে তৈরি করা হয়। তাছাড়া আমরা জানি কলা কাঁচা অবস্থায় বিভিন্ন রকম সুস্বাদু খাবার রান্না করে খাওয়া যায়।

সিঙ্গাপুরি কলা কাঁচা অবস্থায় অনেক সুস্বাদু খাবার রান্না করে খাওয়া যাব। তাছাড়া সিঙ্গাপুরি কলা দিয়ে বিভিন্ন রকম রেসিপি তৈরি করা যায়। সিঙ্গাপুরি কলা যখন কাঁচা অবস্থায় থাকে তখন এটি রান্না করে খাওয়ার জন্য একদম প্রস্তর থাকে। তো বন্ধুরা সিঙ্গাপুরি কলা কাঁচা অথবা পাকা অবস্থায় রান্না করে খাওয়া যাবে।

সিঙ্গাপুরি কলা কি ওজন কমাতে সাহায্য করে?

ও বন্ধুরা জেনে যাক সিঙ্গাপুরী কলা কি ওজন কমাতে সাহায্য করে। আসলে কলা পরিমাণ মতো  খেলে কি লেভেলের পুষ্টি পাওয়া যায় তা বলে বোঝানো যাবে না।সিঙ্গাপুরি কালার যদি আপনি বইয়ের মত খান তাহলে আপনি হালকা ওজন কমতে সাহায্য করে। আর যদি পরিমাণের চাইতে বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার শরীরের ওজন বাড়তে পারে। তো বন্ধুরা আমরা জানি কোন কিছু অতিরিক্ত খেলে তার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়। তো সবার সব ধরনের খাবার পরিমান মতো  খাওয়া উচিত।

সিঙ্গাপুরি কলা শেষ কথা

তো বন্ধুরা আপনারা আজকের এই আলোচনা থেকে জেনেছেন, সিঙ্গাপুরি কলা খাওয়ার উপকার সম্পর্কে। তো এই বিস্তার আলোচনা থেকে আপনি যদি নতুন কিছু জেনে থাকেন বা উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে নিচে আপনার মূল্যবান  মন্তব্যটি দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url