পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকেই পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য বিভিন্ন ট্যাবলেট খেয়ে থাকে। কিন্তু সব থেকে ভালো যে ট্যাবলেট রয়েছে সেটা সম্পর্কে হইত অনেকেই ধারণা নেই। সেজন্য আজকে আমি এই আর্টিকেলে সঠিকভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে পায়খানা ক্লিয়ার করার ব্যায়াম, পায়খানা ক্লিয়ার করার ঔষধ, পায়খানা ক্লিয়ার করার সাপোজিটরি, পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম, পায়খানা নরম করার সিরাপ, কি খেলে পায়খানা হবে, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

অনেকেই রয়েছেন যারা পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য বিভিন্ন ট্যাবলেট সেবন করে থাকেন। তবে কিছু ট্যাবলেট রয়েছে যেগুলো আপনার পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য খুবই কার্যকরী। তাই আজকের আর্টিকেলে পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম এবং পায়খানা ক্লিয়ার করার সাপোজিটরি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এছাড়াও আরও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করবো। যদি আপনাদের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। আর্টিকেলটি যদি আপনি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি অনেক উপকৃত হবেন।

কি খেলে পায়খানা হবে

অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারে কি খেলে পায়খানা হবে? অনেক ব্যাক্তি রয়েছে যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক একটি ধারণা রাখে না। তাই আজকের এই আর্লেটিকেলে কি খেলে পায়খানা হবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারেন। তাহলে সঠিক একটি ধারণা পেয়ে যাবেন। তাই চলুন আর দেরি না করে কি খেলে পায়খানা হবে সেই বিষয়টি জেনে নিন।

যেকোনো বয়সেই এই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এটি যত দ্রুত সম্ভব ভালো করতে হবে। সাধারণত বিভিন্ন উপায়ে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করা যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে অথবা কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে। এই সমস্যাগুলোর মধ্যে নানা কারণ থাকতে পারে, যেমনঃ
  • পর্যাপ্ত পানি পান না করা। 
  • খাদ্যাভ্যাসে সময় আঁশের পরিমাণ অনেক কম হওয়া। 
  • কোন প্রকার মানসিক চাপের মধ্যে থাকা। 
  • মলত্যাগ করার সময় আসলেও চেপে রাখা। 
পূর্বে যে সমস্যাগুলো বলা হয়েছে এই সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই সমস্যাগুলো যত দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করবেন।

অনেক সময় দেখা যায় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে অনেক অসস্তিবোধ করে থাকেন। তবে এটি যদি আপনি সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নেন। তাহলে আপনার আরও সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।  

কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণগুলো হলোঃ 

  • তলপেটে অনেক ব্যথা হওয়া। 
  • পেট ফোলা ফোলা ভাব। 
  • মল নিঃসরণে অনেক বেশি জোর দেওয়া। 
  • স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও অনেকক্ষণ পর্যন্ত বাথরুমে বসে থাকা। 
  • মলত্যাগের পরেও মনে হয় পেট অনেক ভারী হয়ে আছে। 
  • অন্ত্রের নড়াচড়ার অনেক বেশি ব্যথা অনুভব করা। 
  • শক্তমল নিঃসরণ করা। 
  • কিছু সময় উপর পেট অনেক বেশি ব্যথা অনুভব করা।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ অন্যান্য কোন রোগ থেকে সমস্যা যদি না হয় তাহলে বিভিন্ন খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করা যায়। পায়খানা হওয়ার জন্য বিশেষ কোনো খাবার নেই। তবে কিছু খাবার আন্ত্রিক নড়াচড়া বাড়িয়ে এবং মলকে নরম করে পায়খানা হতে সাহায্য করতে পারে। যেমন,

শাকসবজিঃ পালংশাক, লাউশাক, ঢেঁড়স শাক, ব্রকলি, গাজর, মটরশুঁটি।
ফলঃ আপেল, নাশপাতি, কলা, বেরিজ।
ডালঃ মসুর ডাল, মুগ ডাল, ছোলা।
পূর্ণ শস্যঃ ওটমিল, বাদামী চাল, ব্রাউন ব্রেড।
পানিঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি মলকে নরম রাখতে সাহায্য করে।

কিছু খাবার রয়েছে যেসব খাবার আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই এই সকল খাবারগুলো এড়াতে হবে। যেমন ফাস্ট ফুড, মাংস, হিমায়িত খাবার, এই সকল খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে পারলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে।

মনে রাখবেনঃ
  • যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্যান্য লক্ষণ থাকে যেমন পেটে ব্যথা, রক্ত ​​মল, তাহলে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করুন। 
  • কোনো নির্দিষ্ট খাবার আপনার জন্য উপযুক্ত কিনা সেটা জানতে একজন পুষ্টিবিদের সাথে কথা বলুন।

পায়খানা নরম করার সিরাপ

পায়খানা নরম করার সিরাপ হচ্ছে এমন একটি ওষুধ আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে। এই সিরাপগুলো সাধারণত আপনার মলকে নরম করতে এবং মলত্যাগকে সহজ করে তুলতে সাহায্য করে। তাই যদি আপনি এই বিষয়ে সঠিক ধারণা নিতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আরও বিষয়গুলো খুব ভালো ভাবে জানতে পারবেন।

পায়খানা নরম করার সিরাপ এর বিভিন্ন ধরন রয়েছে। যেমন,
  • ল্যাকটুলোজ
  • সেনা
  • সাইলিয়াম হসসিদা
ল্যাকটুলোজঃ এই ল্যাকটুলোজে রয়েছে কৃত্রিম চিনি যা মলকে নরম করতে এবং মলত্যাগকে সহজ করে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই ল্যাকটুলোজ খাদ্যের মাধ্যমে শোষিত হয় না বলে এটি পরিপাকতন্ত্রের পৌঁছে মলের পরিমাণ অনেক বেশি বাড়িয়ে তোলে এবং মলকে অনেক বেশি নরম করে তুলতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন যদি আপনি ১ থেকে ৩ বার এই ল্যাকটুলোজ খেতে পারেন, তাহলে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।  

সাইলিয়াম হসসিদাঃ এটি একটি প্রাকৃতিক ফাইবার। এটি পায়খানার আর্দ্র রাখতে বেশ ভালো সাহায্য করে। এছাড়াও এটি মলত্যাগ সহজ করে তুলতেও সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন যদি আপনি নিয়মিত ১ থেকে ৩ বার এই সাইলিয়াম হসসিদা খেতে পারেন, তাহলে অনেক উপকার পাবেন। 

সেনাঃ এই ওষুধটি হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক উদ্ভিদ যা আপনার মলকে অনেক বেশি নরম করে তুলতে সাহায্য করে। তাই এই সেনা সিরাপটি যদি আপনি নিয়মিত ১ থেকে ৩ বার খেতে পারেন, তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পাবেন। 

যদি আপনার এই ওষুধগুলো খাওয়ার সময় কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনি অভিজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। আশা করি পায়খানা নরম করার সিরাপ এর নাম সহ বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম

কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য অনেক ওষুধ খেয়ে থাকেন বিভিন্ন সমস্যার কারণে পায়খানা ক্লিয়ার হয় না এটি একটি বিরাট সমস্যা তাই আজকের আর্টিকেলে পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব যদি আপনি পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য কোন ট্যাবলেট খুঁজে থাকেন তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন আজকে আমি কয়েকটি পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম বলবো যেগুলো খাওয়ার পরে আপনার পায়খানা ক্লিয়ার হয়ে যাবে তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম


১।

সোডিয়াম পিকোসুলফেট ট্যাবলেট (Sodium picosulfate tablets)

২।

গ্লিসারিন সাপোজিটরি (Glycerin Suppository)

৩।

ইসবগুলের ভুসি ট্যাবলেট (Isabgol husk tablets)    

৪।

ল্যাকটুলোজ ট্যাবলেট (Lactulose tablets) 

৫।

বিসাকোডিল (Bisacodyl)

৬।

সেনা ট্যাবলেট (senna tablets)


সোডিয়াম পিকোসালফেট ট্যাবলেটঃ এটি একটি উদ্দীপক ল্যাক্সেটিভ যা অন্ত্রের পেশীগুলির সংকোচনকে উদ্দীপিত করে কাজ করে। এটি মলকে নরম করে এবং মলত্যাগকে সহজ করে। সোডিয়াম পিকোসালফেট ট্যাবলেট সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। 

গ্লিসারিন সাপোজিটরিঃ এক ধরনের ওষুধ যা পায়ুপথে দেয়া হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করতে ব্যবহার করা হয়।

ইসবগুলের ভুসি ট্যাবলেটঃ এটি একটি খাদ্য পরিপূরক যা ইসবগুলের ভুসি দিয়ে তৈরি, যা একটি ধরণের প্ল্যান্ট সিড। ইসবগুলের ভুসি একটি জল-শোষক এজেন্ট যা মলকে বৃদ্ধি এবং নরম করতে সাহায্য করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করতে সহায়তা করে।

ল্যাকটুলোজঃ এই ওষুধটি কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি একটি অ-শোষণযোগ্য ল্যাক্সেটিভ, যার অর্থ এটি অন্ত্রের মধ্য দিয়ে যায় না। পরিবর্তে, এটি অন্ত্রে জল টেনে নেয়, যা মলকে নরম করে এবং মলত্যাগকে সহজতর করে। ল্যাকটুলোজ কোলনিক ব্যাকটেরিয়া দ্বারাও ভেঙে ফেলা হয়, যা অ্যাসিড তৈরি করে যা আরও জল টেনে নেয় এবং অন্ত্রের নড়াচড়া বাড়ায়। 

বিসাকোডিলঃ বিসাকোডিল অন্ত্রের ভিত্তির স্তরকে জ্বালা দেয়, যা তরল পদার্থ নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয় এবং অন্ত্রের পেশীগুলির সংকোচন বাড়িয়ে দেয়। এই দুটি ক্রিয়া মলকে আরও নরম এবং অন্ত্রের মধ্য দিয়ে দ্রুত চলাচল করতে সাহায্য করে। এটি দিনে ১ থেকে ২ বার খাওয়া যেতে পারে। 

সেনা ট্যাবলেটঃ সেনা ট্যাবলেট হল একটি নিরামিষ রেচক যা কোষ্ঠকাঠিন্য চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলি একটি উদ্ভিদ থেকে তৈরি যা সেনা নামে পরিচিত। সেনা ট্যাবলেটগুলি কাজ করে অন্ত্রের প্রস্থানকে উদ্দীপিত করে এবং মলকে নরম করে।
 
উপরে ট্যাবলেটগুলো নামসহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি এই ওষুধগুলো সঠিক নিয়মে খেতে পারেন। তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে। আশা করি পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম এবং বর্ণনা সমস্ত কিছু খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।

পায়খানা ক্লিয়ার করার সাপোজিটরি

ছোট থেকে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের পায়খানার সমস্যা হয়ে থাকে। স্বাভাবিক ভাবে পায়খানা ক্লিয়ার হয় না। অনেক সময় দেখা যায় কষা পায়খানা হয়ে থাকে। তাই এই সমস্যা দূর করতে ডাক্তার সাপোজিটরি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলে পায়খানা ক্লিয়ার করার সাপোজিটরি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনি আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়তে পারেন, তাহলে আপনি কিভাবে সাপোজিটরি ব্যবহার করবেন সেটিও সঠিকভাবে জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে পায়খানা ক্লিয়ার করার সাপোজিটরি সম্পর্কে জেনে নিন।

আপনার জন্য কোন ধরনের সাপোজিটরি সবচেয়ে ভাল কাজ করবে সেটার জন্য আপনি ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।। তবে আমি একটি সাপোজিটরি ব্যবহার করতে বলবো সেটা সচারচর সকল মানুষ ব্যবহার করে থকে। সেটি হচ্ছে গ্লিসারিন সাপোজিটরি। যাদের পায়খানা ক্লিয়ার করার সাপোজিটরি প্রয়োজন পড়ে তারা এই গ্লিসারিন সাপোজিটরি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ডাক্তারেরাও পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

সাপোজিটরি ব্যবহার করার জন্য, নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুনঃ

  • আপনার হাত ভালভাবে ধুয়ে নিন।
  • সাপোজিটরিটিকে তার প্যাকেজিং থেকে সাবধানে সরিয়ে ফেলুন।
  • আপনার পিছনের অংশে একটি আরামদায়ক অবস্থানে বসুন বা শুয়ে যান।
  • ধীরে ধীরে সাপোজিটরিকে আপনার মলদ্বারে প্রবেশ করান। 
  • সাপোজিটরি স্থাপন করার পরে, কয়েক মিনিটের জন্য একই অবস্থানে থাকুন যাতে এটি গলে যেতে পারে।
  • এরপর আপনার হাত সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

পায়খানা ক্লিয়ার করার ঔষধ

অনেক সময় দেখা যায় পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য বিভিন্ন ওষুধ সেবন করে থাকেন। তবে সকল ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। কারণ সকল মানুষের শরীর এক নয়। কারো ওষুধ খাওয়ার ফলে পায়খানা ক্লিয়ার হয়। আবার কারো হয় না। তাই আজকের আর্টিকেলে পায়খানা ক্লিয়ার করার ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনার যদি এই বিষয়ে জানার আগ্রহ থাকে, তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।

পায়খানা ক্লিয়ার করার ওষুধের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ওষুধ হচ্ছে ইসবগুলের ভুসি। যদি আপনি ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন তাহলে আপনার খুব দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে। এই ওষুধটি খুবই চমৎকার একটি ঘরোয়া ওষুধ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার যা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যর হাত থেকে রক্ষা করবে। এই ইসবগুলের ভুসি আপনার পানি শোষণ ও ধারণ করার মাধ্যমে পায়খানা অনেক নরম করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

সাধারণত এই ইসবগুলের ভুসি ডাক্তারেরা দিনে ২ বার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যদি আপনি ইসবগুলের ভুসি খেয়ে থাকেন, তাহলে সারাদিনে আপনাকে অন্তত ২ লিটার পানি পান করতে হবে। এটা অত্যন্ত জরুরী। এতে করে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে। আশা করি পায়খানা ক্লিয়ার করার ওষুধ সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

পায়খানা ক্লিয়ার করার ব্যায়াম

পায়খানা ক্লিয়ার করার আরেকটি উপায় হচ্ছে ব্যায়াম যদি আপনি ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার পায়খানা ক্লিয়ার থাকবে তাই আজকের এই আর্টিকেলে পায়খানা ক্লিয়ার করার ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব যদি আপনি ব্যায়াম করে পায়খানা ক্লিয়ার করতে চান তাহলে এয়ার টিকেট শুধু আপনার জন্যই চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।

হাঁটাঃ হাঁটা একটি সহজ ব্যায়াম যা অন্ত্রের নড়াচড়া বাড়াতে এবং মল ত্যাগকে সহজতর করতে সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন 30 মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন।

সাইকেল চালানোঃ সাইকেল চালানো একটি মজার এবং কার্যকর ব্যায়াম যা আপনার হৃদস্পন্দন বাড়াতে এবং আপনার অন্ত্রের নড়াচড়া বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

যোগব্যায়ামঃ কিছু যোগব্যায়ামের ভঙ্গি, যেমন স্কোয়াট, লঞ্জেস এবং টুইস্ট, কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করতে সহায়ক হতে পারে।

অন্যান্য টিপসঃ

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুনঃ পানিশূন্যতা কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি সাধারণ কারণ। প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খানঃ ফাইবার মলকে বৃদ্ধি এবং নরম করতে সাহায্য করে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য।

নিয়মিত টয়লেটে যানঃ যখন আপনার মল আসবে তখন টয়লেটে যেতে দেরি করবেন না।

স্ট্রেস কমিয়ে দিনঃ স্ট্রেস কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি কারণ হতে পারে। যোগব্যায়াম, ধ্যান বা গভীর শ্বাসের ব্যায়ামের মাধ্যমে স্ট্রেস কমাতে চেষ্টা করুন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম  এবং পায়খানা ক্লিয়ার করার সাপোজিটরি সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url