হাতের চামড়া ওঠা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানুন

হাতের চামড়া ওঠা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমাদের সবার হাতের চামড়া উঠে যায়। কিন্তু বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। সেজন্য আমি আজকে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

হাতের চামড়া ওঠা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানুন

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে সে বিষয়েও সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। এইগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখা প্রয়োজন। তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক বিষয়গুলো।

ভূমিকা

আজকে আমরা এই আর্টিকেলে খুব সুন্দর করে আলোচনা করেছি যে হাতের চামড়া ওঠা বন্ধ করার উপায় গুলো সম্পর্কে। আমরা আরো আলোচনা করছি যে হাতের চামড়া উঠলে কোন ক্রিম ব্যবহার করতে হয় এবং আরো অন্যান্য বিষয়সমূহ।

আপনার যদি এইগুলো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্যই। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি সকল সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক হাতের চামড়া উঠা বন্ধ করার উপায়গুলো সম্পর্কে।

হাতের চামড়া উঠলে কোন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে

আজকে আমরা আলোচনা করব যে হাতের চামড়া উঠলে কোন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব চলুন আমরা এই হাতের চামড়া উঠলে কোন ক্রিম ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে ভালো মতো ধারণা নিয়ে আসে আর হ্যাঁ অবশ্যই ক্রিম ব্যবহার করার আগে ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর ব্যবহার করবেন।
  • Clopirox 1% Cream  - Medicine
এই ক্রিমটি আপনি এখন কিনতে গেলে এর বর্তমান বাজার মূল্য ১২০ থেকে ৩০ টাকার আশেপাশে। একটি ভালো বিষয় হচ্ছে এই ক্রিমটির তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। কেউ যদি চায় তাহলে এটি ব্যবহার করতে পারবে এবং এটা ত্বকেরও কোন ক্ষতি করে না। এই ক্রিমটি আপনাকে প্রতিদিন একবার করে ব্যবহার করতে হবে।

আর ব্যবহারের আগে একটি জিনিস খেয়াল করবেন যে আপনার হাত বা পা খুব ভালোভাবে পরিষ্কার আছে কিনা। যদি পরিষ্কার না থাকে তাহলে সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিয়ে তারপর ব্যবহার করবেন। যদি পরিষ্কার না করে ক্রিম ব্যবহার করেন তাহলে ক্ষতি হতে পারে। তাই সুন্দর করে পরিষ্কার করে দিলে আপনার এই হাতের চামড়া ওঠার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
  • Topiclo S Cream
এই ক্রিমটি এস কে এফ কোম্পানির ক্রিম। এই ক্রিমটি বেশ কার্যকরী এই ক্রিমটি ব্যবহার করলে হাত ও পায়ের চামড়া উঠা থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই ক্রিমটি ত্বকের বিভিন্ন অবস্থার কাজ করে। যেমন লাল ভাব, ফোলাভাব, চুলকানি, ত্বকের চেঁচানো, ফুসফুস, জোক ইচ, এইগুলোর কাজ করে। এই ক্রিমটির বর্তমান বাজার মূল্য ৮০ টাকার আশেপাশে। 

এই ক্রিমটি সুন্দর করে হাত এবং পা পরিষ্কার করে দিনে দুইবার ব্যবহার করুন। এইভাবে যদি আপনি প্রতিদিন একমাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন।  তাহলে আশা করি আপনার এই চামড়া উঠার সমস্যাটি চিরতরে একদম দূর হয়ে যাবে। হাতের চামড়া ওঠা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে আমাদের সবার জানা থাকতে পারে। কিন্তু ক্রিম এর বিষয়ে জানা আগে দরকার। যদি এই ক্রিমটি ব্যবহার করার পর কাজ না করে তাহলে আপনাকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

কারণ বাজারে এখন বিভিন্ন রকম ওষুধ বের হয়েছে। বিভিন্ন ওষুধের বিভিন্ন রকম কাজ। তবে এই ওষুধটি ব্যবহার করলে আশা করা যায় ভালো হবে। এই ক্রিমটির তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তাই যে কেউ চাইলে এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারবে।

আমরা উপরে হাতের চামড়া উঠলে কোন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে সেগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এখানে দুই ক্রিমের নাম বলেছি আশা করি প্রত্যেকের হাতের চামড়া উঠলে এই দুটি ক্রিম ব্যবহারের ফলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এই চামড়া ওঠার সমস্যা অনেক মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায় সেজন্য আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আর এইগুলো ক্রিম ব্যবহার করার পূর্বে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

 হাতের চামড়া ওঠার হোমিও ঔষধ

হাতের চামড়া ওঠার হোমিও ঔষধ বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করে থাকি আমরা। যে কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করার পরও কাজ হয় না। এই হাতের চামড়া উঠার প্রধান হোমিও ওষুধ হচ্ছে সালফার। এই সালফার প্রতিদিন সকালে ও রাতে ব্যবহার করতে হবে। এইভাবে একমাস ব্যবহার করলে আল্লাহর রহমতে হাতের চামড়া ঠিক হয়ে যাবে। কিছু ওষুধের নাম দেয়া হলো নিচে।
  • SULPHUR 200/1M
  • BACLLINUM 200/1M
  • PSORINUM 200/1M
প্রতিটা ওষুধ আপনি সকাল ও রাতে দুইবার করে খেতে পারবেন। এইভাবে একমাস খাবেন। আর আপনি যদি 1M ব্যবহার করেন তাহলে দিনে অথবা রাতে একবার সেবন করবেন। তবে রোগের তীব্রতা অনুযায়ী এইগুলো ঔষধ খাওয়ানো কম বেশি হতে পারে এইটা মাথায় রাখতে হবে।

হাতের তালুর চামড়া পাতলা হওয়ার কারণ

মাঝে মধ্যে হাতের তালুর চামড়া মনে হয় যে পাতলা কিন্তু এটার তো কোনো অবশ্যই কারণ আছে। অনেকেই ধারণা করে যে মানসিক চাপের প্রতিফলনে এই সমস্যা হয়। কিন্তু কেউ জানে না হাতের তালুর চামড়া পাতলা হওয়ার কারণ কী? এই ধরনের লক্ষণ কেন হয়? এই কোন ধরনের ভয়ানক বিপদের ইঙ্গিত হতে পারে এইটা কারোই জানা নেই। একজন গবেষণা করে বলেছেন যে হাতের চামড়া পাতলা হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে খাদ্যনালীতে ক্যান্সারের লক্ষণ।

বিশ্বে সাধারণত যে আট ধরনের ক্যান্সার দেখা যায় তার মধ্যে এই খাদ্যনালী ক্যান্সার রয়েছে। হাতের তালুর চামড়ার প্রবণতাকে বলা হয়ে থাকে টাইলোসিস। শুধু যে হাতের তালু সেটা নয় পায়ের তলার চামড়াও এই রোগের কারণে পাতলা হয়ে যেতে পারে। এমনকি হাতের তালুতে বা পায়ে তলায় শক্ত শক্ত চামড়ার এলাকায় তৈরি হয় এবং খসখসে চামড়া এগুলো তৈরি হয়। 

এইগুলো সব খাদ্যনালির ক্যান্সার প্রবণতার ইঙ্গিত হিসেবে ধরা যায়। এই হাতের চামড়ার পরিস্থিতির মেইন কারণ হচ্ছে আই আর এইচ ও এম২ নামে একটি জিন। এই জিনটি ক্যারাটিনকে সুন্দর করে নিয়ন্ত্রণ করে হাতের তালু এবং পায়ের চামড়া পাতলা হওয়া বা মোটা হওয়ার বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই জিনটি যদি আপনার শরীরে অত্যাধুনিক মাত্রায় আই আর এইচ ও এম২ থাকে। 

তাহলে এটা খাদ্যনালী ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। আপনার যদি হাতের তালুর চামড়া পাতলা হয়ে যায় তাহলে এটা খুব মারাত্মক রোগ হতে পারে বলে ধরে নিবেন। সেজন্য আপনাকে খুব দ্রুত ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। হাতের তালুর চামড়া পাতলা হওয়ার কারণ আশা করি বুঝতে পেরেছেন। 

হাতের চামড়া ওঠা বন্ধ করার উপায়

হাতের চামড়া ওঠা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে আমাদের জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ অনেক সময় দেখা যায় যে হাতের চামড়া হঠাৎ করে ওঠা শুরু হয়েছে। এটা বিশেষ করে শীতে হয়ে থাকে তবে গরমেও হয়। এই চামড়া উঠলে সব সময় খারাপ লাগবে। একটু লক্ষ্য করলে দেকবেন যে খাবার খাওয়ার সময় এই জিনিসটা বেশি লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন কাজে দুই হাত ব্যবহার করে থাকি। 

এই দুই হাতে চামড়া যদি সবসময় উঠে  আর যদি বন্ধ না হয় তাহলে খুব বিপদের মধ্যে পড়ে যাওয়া লাগবে। অনেক সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না? এখন আপনাদের কাছে আমি হাতের চামড়া উঠা বন্ধ করার উপায়গুলো নিয়ে চলে আসছি। চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে সমস্ত কিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক হাতের চামড়া ওঠা বন্ধ করার উপায়গুলো সম্পর্কে।

আমাদের যখন শীত আসে তখন আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন দেখা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ত্বকের পরিবর্তন। এই ত্বকের পরিবর্তনের কারণে হাতের চামড়া ওটা শুরু হয়। এমনভাবে চামড়া উঠে দেখে মনে হয় যে ফোসকা পড়ে গেছে। এটি দেখতে খুব খারাপ লাগে সব সময় হাত খসখসে করতে থাকে। 

হাত খসখসে করে বিশেষ করে শীতে। কারণ শীতে বাতাসের আদ্রতা অনেক খারাপ হয়ে থাকে যার কারণে চামড়া শুষ্ক হয়ে যায়। এগুলো সমস্যা আমাদের দূর করার প্রয়োজন। চলুন তাহলে দেরি না করে এই সমস্যার সমাধানে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি জেনে নিন।

গোসলের আগে অলিভ অয়েল তেল আপনি যখন গোসল করতে যাবেন তার আগে অবশ্যই অলিভ অয়েল তেল ভালো করে মালিশ করে নিবেন। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন উপকারী ফ্লাটি এসিড ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এইটা যদি আপনার কাছে না থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারবেন। এই তেল আপনি গোসল করার পর নিয়মিত হাতে মালিশ করবেন। এতে করে আপনার কিছুদিনের মধ্যেই সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

কাঁচা দুধ ও গরম পানি আপনি প্রথমে কাঁচা দুধ অর্ধেক নিয়ে নিবেন। তারপর সমপরিমাণে গরম পানি সেই কাঁচা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিবেন। এরপর পরিষ্কার তুলো দিয়ে ভিজিয়ে ভালো করে হাতের চামড়া ওঠা অংশগুলোতে লাগিয়ে দিবেন। এতে করে আপনার হাতের চামড়া উঠার জায়গা অনেক সুন্দর হয়ে যাবে এবং বেশ নরম হয়ে থাকবে। প্রতিনিয়ত আপনি যদি এইভাবে কাজ করে থাকেন তাহলে আপনি কিছুদিনের মধ্যে ভালো ফলাফল পাবেন।

গোলাপ পানি লেবুর রস ও কাঁচা দুধ গোলাপের পানি এবং লেবুর রস ও কাঁচা দুধ এই তিনটি জিনিস যদি আপনি একসঙ্গে সুন্দর করে মিশিয়ে আপনার হাতের নির্দিষ্ট যে অংশ রয়েছে সেখানে যদি লাগিয়ে রাখতে পারেন। অর্থাৎ চামড়া উঠা অংশগুলো মধ্যে সুন্দর করে লাগিয়ে রাখতে পারেন তাহলে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। এই ভাবে ১৫ মিনিট  লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর শুকিয়ে যাওয়ার পর হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। দিনের মধ্যে আপনি এই কাজটি দুই থেকে তিনবার করবেন। তাহলে এই সমস্যা সমাধান খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবেন।

গুড়া দুধ চিনি ও অলিভ অয়েল প্রথমে আপনি গুঁড়াদুধ, চিনি ও অলিভ অয়েল একসঙ্গে সুন্দর করে ভালো করে মিশিয়ে নিবেন। তারপর সেই মিশ্রণ করা জিনিস টুকু আপনি চামড়া উঠা অংশগুলোতে সুন্দর করে ভালোভাবে লাগিয়ে নিবেন। এইভাবে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন। তারপর আলতো ভাবে হাত সুন্দর করে ঘষে ঘষে হালকা গরম পানি দিয়ে সুন্দর করে হাত ধুয়ে ফেলুন। এরপর অল্প কিছু পরিমাণে নারকেল তেল হাতে সুন্দর করে মালিশ করুন। এইভাবে প্রতিনিয়ত রাখলে বেশ সুন্দর হবে।  প্রতিদিন একবার করে এক সপ্তাহ লাগাবেন তাহলে এর ভালো ফলাফল পাবেন।

কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে

আমরা পূর্বে জেনেছি যে হাতের চামড়া ওঠা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো যে কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে। আমাদের হাতের চামড়া ওঠার কারণে অনেক সমস্যা মধ্যে পড়তে হয়। সব সময় হাত খসখসে ফোঁসা পড়ার মত হয়ে থাকে। কীভাবে ঠিক হবে এইগুলো জানা আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে।

ভিটামিন ডি এর অভাবে হাতে চামড়া উঠে। ভিটামিন ডি হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের চামড়ার যত্নেও ভালো ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞের মতে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে বোঝা যায় যে শরীরের ত্বকের কি ঘাটতি হয়েছে। যদি আপনার ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে যায় তাহলে ধরে নিবেন যে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে। 

ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ডি অত্যন্ত প্রয়োজন। এছাড়াও যেগুলো কারণে হাতের চামড়ার ভিটামিনের ঘাটতি হয় সেগুলো হলো
  • ভিটামিন-ই
  • ভিটামিন-সি
  • জিংক
এইগুলোর অভাবেও হতে পারে। কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া ওঠে আশা করি সেটা খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছেন।

শীতকালে হাতের চামড়া উঠে কেন

শীতকালে হাতের চামড়া উঠে কেন এই বিষয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে। অনেক মানুষের এই সমস্যা হয়ে থাকে। হাতের ও পায়ের চামড়া অনেকদিন পর পর উঠে এইটা স্বাভাবিকভাবে ধরা যায়। আমাদের প্রতিবছর একবার করে বা কারো কারো দুই বার করেও হাতের চামড়া উঠে এটাকে বলা হয় পুরাতন চামড়াকে পরিবর্তন হয়ে নতুন চামড়া বের হওয়া। বহুদিন পরপর হাতের চামড়া উঠলে এটা স্বাভাবিকভাবে ধরা যায়। 

কিন্তু প্রতি মাসে যদি আপনার হাতের চামড়া বা পায়ের চামড়া উঠে তাহলে আপনার ভাবতে হবে এটা স্বাভাবিক বিষয় নয়। এটি একটি রোগ। হাত বা পায়ের চামড়া ওঠার রোগের নাম হচ্ছে ক্যারাটোলাইসিস এক্সফোলিয়াটিচা। এই রোগটি হয় সাধারণত দুইটা কারণে আমাদের শরীরে যদি অপুষ্টি ঘাটতি থাকে তাহলে এই রোগ দেখা দেয়। আবার এই পুষ্টিহীনতা রোগের পিছনে এটার প্রধান কারণ হয়ে থাকে।

আপনি যদি পুষ্টিকর খাবার না খান তাহলে এই রোগটা আপনার শরীরে বাসা বাঁধবে। এছাড়াও আরেকটি কারণ রয়েছে সেটা হচ্ছে জিনগত। এই রোগটি বংশপরায় পরবর্তী প্রজন্মের সংক্রমিত ভাবে হয়ে থাকে। এছাড়াও ভিটামিন সি এর অভাবে এই হাতের ও পায়ের চামড়া উঠে। আমরা উপরে জেনেছি যে শীতকালে হাতের চামড়া উঠে কেন এই সম্পর্কে আমরা খুব সুন্দর করে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছি। আশা করি বিষয়গুলো পড়ে সমস্ত কিছু বুঝতে পারবেন।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি হাতের চামড়া ওঠা বন্ধ করার উপায় এবং কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে সে ব্যাপারে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url