বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমরা সবাই বরই চিনি এবং খেয়ে থাকি। কিন্তু বরই পাতার যে গুনাগুন রয়েছে সেটা সম্পর্কে আমাদের তেমন কোনো ধারণা নেই। যা আজকে আলোচনা করব। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বরই পাতার রস খাওয়ার মধ্যে বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। এই প্রকারভেদ গুলোর মধ্যে চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার করে এইটা কয়জন জানি। এইগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখা দরকার। তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক উপাদানগুলো।

ভূমিকা

আমরা আমাদের এই পোস্টে বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বরই পাতার রস খেলে আমাদের শরীরে জন্য ভালো না খারাপ এগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনার যদি এইগুলো বিষয় জানার আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই সমস্ত পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে সকল বিষয় জানতে পারবেন। বরই পাতাই রয়েছে অনেক ওষুধই গুণ। বরই পাতার রস মানুষের শরীরের অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেয়। বরই পাতার রস শরীরের জন্য অনেক উপকৃত একটি উপাদান।

চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার

আপনারা হয়তো জানেন না যে বাড়ির আশেপাশে থাকা বরই গাছের পাতা দিয়ে কি উপকার পাওয়া যায়। তাহলে চলুন আজকে জেনে নিয়া যাক চুলকানিতে বড়ই পাতার ব্যবহার। আপনারা হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেন যে এই পাতা দিয়ে আবার কি হয়। এই বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেক মানুষ আছে জানেনা।

এ পাতার বিশেষ একটি গুন আছে সেটি হচ্ছে এলার্জির চুলকানি দূর করা। এই পাতার ব্যবহারে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে অনেক বছরের পুরনো এলার্জি চুলকানি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এই বরই গাছের পাতার ব্যবহারের ফলে। এই বড়ই গাছের পাতা যদি কেউ নিয়মিত ব্যবহার করে তাহলে তার এলার্জি চুলকানি দূর হয়ে যাবে।

বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে বলেন যে, এই পাতায় কিছু অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে। যা আমাদের শরীরের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। পরিষ্কার বরই পাতা নিয়ে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর সুন্দর করে বাটা দিয়ে পিষে রস করে প্রতিদিন খেতে হবে তাহলে এলার্জি চুলকানি দূর হয়ে যাবে। মানুষের শরীরে জীবাণুমুক্ত দূর করার কার্যকারী একটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে এই বরই পাতা।

প্রিয় দর্শক মেডিকেলের ব্যাখ্যায় বলা হয় যে, এলার্জি হচ্ছে শরীরের অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। এই এলার্জির বাংলা শব্দ সহ্য হয় না। অর্থাৎ কোন খাবার খেলে যদি শরীরে অস্বাভাবিকভাবে চুলকায় তাহলে সেটাকে এলার্জির বলা হয়। এই চুলকানি খুব তীব্র একটি সমস্যা যা একজন মানুষকে অস্বাভাবিক করে দেয়। এলার্জির যে চুলকানি সেই চুলকানির ফলে শরীরের চামড়া উঠে যায়। ফলে সেখানে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে এবং অনেক বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সেজন্য বরই পাতা খেয়ে চুলকানি কমিয়ে ফেলুন এতে করে আপনার শরীরে কোন সমস্যা হবে না। আপনি দেখবেন যে একটানা ১০ থেকে ১৫ মিনিট চুলকানোর পর চুলকানি শেষ হয় না। ফলে সেখানে চামড়ায় ইনফেকশন সৃষ্টি হয়। শরীরে চুলকানোর সময় অনেক ভালো লাগে এবং মজা লাগে।

কিন্তু কিছুক্ষণ পরে সেই স্থান- ফুলে যায়, রক্ত বের হয়, এবং বড় ধরনের ক্ষতি সৃষ্টি হয়। এই এলার্জি বা চুলকানি হাত থেকে বাঁচতে অনেক মানুষ অনেক কেমিকালাইজড ওষুধ সেবন করে থাকেন কিন্তু কোন কাজ হয় না।

প্রিয় দর্শক এই বড়ই গাছ কিন্তু আপনার চুলকানি চিরতরে দূর করে দিতে পারে। এই গাছের পাতা আপনার শরীরে একেবারে ভেতর থেকে যে চুলকানির সমস্যা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণভাবে দূর করে দিতে পারে। বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আরো আলোচনা করেছি। সেজন্য আপনাকে যা করতে হবে-
  • আপনাকে সর্বপ্রথম বরই গাছ থেকে কচি সুন্দর পাতা নিতে হবে এক থেকে দুই মোঠ। তারপর সুন্দর করে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর এক থেকে দুই মোট পাতা সুন্দর করে শিল পাটা দিয়ে পিষে নিতে হবে। তারপর সুন্দর করে সেই পিশা বরই পাতার রস ছাকনি দিয়ে ভালোভাবে ছেঁকে নিতে হবে। ছেঁকে নেওয়ার পর এক চামচের চার ভাগের এক ভাগ লবণ দিতে হবে। 
  • দেয়ার পর সুন্দর করে মিশ্রণ করে নিতে হবে। তারপর সকাল বেলা খালি পেটে খেতে হবে। এইভাবে প্রতিদিন সকালে খেতে হবে। আপনার দীর্ঘদিনের এলার্জি বা চুলকানি দূর হয়ে যাবে। এইভাবে খেতে হবে এক মাস পর্যন্ত। তাহলে সম্পূর্ণভাবে দূর হয়ে যাবে। এই বড়ই পাতা শুধু চুলকানি দূর করে না সেইসাথে আপনার যদি ডায়াবেটিস সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সেটাও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সাহায্য করে।

মৃতের গোসলে বরই পাতা ব্যবহার করা হয় কেন

কোন মুসলমান যদি মারা যায় তাকে গোসল করানো ফরজ হয়ে যায়। মুসলমানের উপর মৃতের গোসল কাফন পরানো, জানাজা করানো, দাফন করা, এইগুলো বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। কেউ যদি মারা যায় তাহলে তাকে দ্রুত এই কাজগুলো সম্পাদন করতে হবে। হাদিসে এই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে চলুন জেনে নেয়া যাক মৃতের গোসলে বরই পাতা ব্যবহার করা হয় কেন। এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী (রাঃ) কে লক্ষ্য করে বলেন যে, হে হযরত আলী (রাঃ) তিনটি জিনিসের ক্ষেত্রে সময় বিলম্ব করবেন না।

  • নামাজের যখন সময় আসবে তখন নামাজ আদায় করা থেকে দেরি করবেন না
  • দুই নাম্বার মৃত ব্যক্তির জানাযা যখন উপস্থিত হবেন তখন কাফন দাফন সম্পূর্ণ করতে দেরি করবেন না
  • কোনো অবিবাহিতা মেয়ের জন্য যখন কোন উপযুক্ত পাত্র পাবে তখন তাকে বরের হাতে সমর্পিত করা থেকে বিলম্ব করবেন না।
একজন মুসলমানের কাজ অন্য মুসলমানের জানাযায় শরিক হওয়া। জানাযা দাফন কাফন করা একজন মুসলমানের অধিকার। হযরত আবু হুরাইয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে, এক মুসলিমের ওপর অন্য মুসলিমের পাঁচটি অধিকার রয়েছে বলে জানান।

  • যখন কোন মুসলমানের সাথে দেখা হবে তখন অবশ্যই সালাম দেবে।
  • কোন মুসলমান যদি ডাক দেয় তাহলে সেই ডাকে সাড়া দেবে।
  • কেউ যদি তোমার কাছ থেকে সত্য পরামর্শ চাই তাহলে তুমি তাকে সত্য পরামর্শ দিবে।
  • কোন মুসলমান যদি হাচি দেয় হাসিদাতা আলহামদুলিল্লাহ বললে তার জবাবে বলবে যে ইয়ারহামুকাল্লাহ।
  • কোন মুসলমান যদি অসুস্থ হয় তাহলে তাকে সেবা করবে ৬ নম্বর কোন মুসলমান যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে তার জানা যায় শরীক হবেন।
বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখা প্রয়োজন। আমরা অনেকেই জানি যে মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়া ফরজে কেফায়া। অনেকে এই গোসলকে ওয়াজিব বলে থাকেন। তবে মানুষ যদি মারা যায় তাহলে গোসল দেওয়া উত্তম। বরই পাতা মেশানো হালকা গরম পানি দিয়ে মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো হয়। মৃত ব্যক্তিকে বরই পাতা মেশানো পানি দিয়ে গোসল করানোর কারণ কি আর মৃতের গোসলে বড়ই পাতা ব্যবহার করা হয় কেন? এই গুলো নিশ্চয়ই আপনার জানার দরকার। তাহলে চলুন জেনে নেই-

মুসলমান পরিবারের মানুষ যদি মারা যায় তাহলে বড়ই পাতা মেশানো হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করানো হয়। কিন্তু কেন বড়ই পাতা মেশানো পানি দিয়ে গোসল করানো হয় এই বিষয়টি অনেক মানুষ জানে না। মৃত ব্যক্তিকে বড়ই পাতা মেশানো পানি দিয়ে গোসল করানো এই কথা বলেছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হাদিসে এসেছে যে, এক ব্যক্তি আরাফাতে যাওয়ার পথে তার উটনি থেকে পড়ে যেয়ে সে ব্যক্তি মারা যান।

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তাকে বরই পাতাসহ পানি দিয়ে গোসল করাও এবং দুই কাপড়ে তাকে কাফন দেওয়ার ব্যবস্থা করো। তাকে সুগন্ধি লাগানোর প্রয়োজন নেই এবং তার মাথা ঢাকার কোন প্রয়োজন নেই। কেননা কেয়ামতের দিন এই ব্যক্তি তালবিয়া পাট করতে করতে উঠবে। বরই পাতা দিয়ে গোসল করানো এইটা ইসলামী শরীয়ত সম্মত একটা রীতি।

তবে যদি বরইপাতা না পাওয়া যায় তাহলে সাবান বা অন্য এই রকম কিছু ব্যবহার করায় যথেষ্ট বলে মনে করা হয়। বরই পাতা মেশানো পানিতে গোসল করানো হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত আদায় হয়।

বরই পাতার গোসল রুক ইয়াহ

এখন আমরা জানব যে বড়ই পাতা গোসল রুক ইয়াহ সম্পর্কে। বড়ই পাতা গোসল রুক ইয়াহ বলতে বুঝানো হচ্ছে যে শয়তানি কুমন্ত্রণা ও যাদু-টোনা দূর করার জন্য এই গোসলটি করানো হয়। অনেক বড় বড় বিখ্যাত আলেমের এগুলো পদ্ধতি। আপনারা চাইলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন এই জিনিসটি। আমরা আজকে সংক্ষেপে জানবো যে বরই পাতার গোসল রুক ইয়াহ পদ্ধতি সম্পর্কে। প্রথমে আমাদের গোসল করানোর জন্য বালতিতে পানি নিতে হবে। এরপর বরইয়ের সাতটি সবুজ পাতা শীলপাটা দিয়ে পিষে পানিতে ঢেলে মিশ্রণ করতে হবে। এরপর নিম্নের আয়াত সমূহ পড়ে ফু দিতে হবে। 

  • প্রথমে সূরা ফাতিহা পড়ে নিতে হবে।
  •  আয়াতুল কুরসি পড়তে হবে।
  • সূরা আরাফ-(১০৬-১২২নং আয়াত)
  • সূরা ইউনুস-(৭৯-৮২নং আয়াত)
  • সূরা ত্বহা-(৬৫-৬৯নং আয়াত)
  • সূরা কাফিরুন পড়তে হবে।
  • সূরা ইখলাস – ৩বার পড়তে হবে।
  • সূরা ফালাক – ৩বার পড়তে হবে।
  • সূরা আরাফ-(১০৬-১২২নং আয়াত)
  • সূরা নাস – ৩বার পড়ে এরপর সেই পানি রোগীকে তিন ঢোক পান করাতে হবে এবং যতটুক বাকি থাকবে সেইটুকু পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে।
সেই পানিতে অন্য কোন পানি মেশানো যাবে না এবং পানি গরমও করা যাবে না এইভাবে কয়েকদিন গোসল করিয়ে নিতে হবে তাহলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। তবে আশা করা যায় যে প্রথমে যে গোসল করানো হবে সে গোসলে জাদু নষ্ট হয়ে যাবে।

বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা হয়তো অনেকেই জানি যে বরইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিন্তু কয়জন জানি যে বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। কোন জিনিসের যদি আমরা সঠিক তথ্য পায় সেগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করি। সেজন্যই আজকে আমি বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তাহলে চলুন জেনে নেই বরই পাতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য।

বরই পাতার উপকারিতা

বরইয়ের মধ্যে যে উপকারিতা রয়েছে সেটা জানলেও কিন্তু আমরা বরই পাতার উপকারিতা ভালোভাবে জানি না। সেজন্য আমাদের বরই পাতার উপকারিতা ভালোভাবে জানতে হবে। বরই পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানলে তবেই তো সেটির ব্যবহার করতে পারব। বরই আমরা খেতে যেমন ভালোবাসি বা পছন্দ করি। 

ঠিক তেমনি বরইয়ের এর ভালো গুণও আছে। কিন্তু বরই পাতারও বরইয়ের থেকে দুই গুণ বেশি উপকার রয়েছে। বরই রয়েছে ভিটামিন সি। অপরদিকে বরই পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি ও ভিটামিন ডি।

  • বরই পাতার রস শরীরে বিভিন্ন এলার্জি বা চুলকানি চর্মরোগ এগুলো দূর করে।
  • বরই পাতার রস ঠোঁটে অথবা জিহবা ও মুখের ঘা দূর করে।
  • বরই পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ভিটামিন ডি থাকে।
  • বিভিন্ন কারণে জ্বর সর্দি কাশি এগুলো হলে বরই পাতার রস খেলে খুব সহজে দূর করতে সাহায্য করে।
  • বরই পথের রস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • বরই পাতার রস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসতে সাহায্য করে।
  • বরই পাতার রস অনেক কার্যকরী যার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে খুব বেশি কাজে দেয়।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা ও ত্বকের বিভিন্ন ধরনের যে চুলকানি বা অ্যালার্জি হয় সেগুলো দূর করতে অনেক বেশি কার্যকারী এই উপাদানটি এই উপাদানটি সপ্তাহে ৭ দিন খেতে পারলে অনেক বেশি ভালো হয়।

বরই পাতার অপকারিতা

আমরা বরই পাতা উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি কিন্তু আমরা বরই পাতার অপকারিতা সম্পর্কে জানি নাই। আমাদের অবশ্যই জানা উচিত যে বড়ই পাতার অপকারিতা গুলো কি কি তাহলে চলুন জেনে নি বড়ই পাতার উপকারিতা গুলো।

  • নষ্ট বরই পাতা আমরা কোন কাজেই ব্যবহার করব না। নষ্ট বরই পাতায় অনেক ধরনের জীবাণু ব্যাকটেরিয়া থাকে এইগুলো ব্যবহার করলে ক্ষতি ছাড়া ভালো হবে না।
  • গাছে অনেক ধুলোবালু পড়ে বরই পাতা নষ্ট হয়ে যায়। পোকামাকড় বরই পাতাকে নষ্ট করে ফেলে সেজন্য বরই পাতা যখন গাছ থেকে সংগ্রহ করবেন তখন দেখে নিবেন। 
  • কোনো মানুষের যদি অতিরিক্ত পরিমাণে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি জনিত রোগ থাকে। তারা এই বরই পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এতে এগুলো বৃদ্ধি পেতে পারে।  
  • পরিষ্কার না করে বরই পাতার রস মাথায় অথবা ত্বকে কোন জায়গায় লাগাবেন না তাহলে আপনার এলার্জি বা চুলকানি বৃদ্ধি হতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনি যদি বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা পড়ে একটুও উপকৃত হয়ে থকেন। তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আপনি যদি আমাদের পোষ্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেন তাহলে আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করুন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন