কোন ভিটামিনের অভাবে রাতে ঘুম কম হয়

ভিটামিন ডি এর কারণে রাতে ঘুম কম হয়। বিছানায় শুয়ে জেগে থাকার মত কষ্ট পৃথিবীতে আর কিছুই নেই। বর্তমানে পৃথিবীর তেত্রিশ শতাংশ মানুষ অনিদ্রা ইনসোমনিয়া সমস্যায় ভুকচেন।

রাত্রে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য হানি ঘটে যেমন, চোখের নিচে কালো দাগ, হজম শক্তির অবনতি ঘটে, স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে, এবং ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, ও হার্টের সমস্যা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকে বাড়ে। কিন্তু আপনি কি জানেন শরীরে দুটো বিশেষ ভিটামিনের অভাবে বেশি অনিদ্রার অভাব দেখা দেয়।

কোন ভিটামিনের অভাবে রাতে ঘুম কম হয়
আজকে আমরা পর্যাপ্ত ঘুমের নিয়ে কিছু কথা বলব এবং দুটি বিশেষ ভিটামিনের কথা তুলে ধরব। ভিটামিন দুটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবং ভিটামিন যুক্ত খাবারের সম্পর্কে তথ্য নিয়ে এসেছি কোন প্রকার ও ঔষধ ছাড়া গভীর ঘুম আনতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ভিটামিন গুলার সম্পর্কে জানার জন্য। 

শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব ঘটলে মস্তিষ্ক এবং শরীরের শিথিলতা প্রদানকারী মেলাটনিন হরমোন কমে যায় ।যার ফলে অনিদ্রের সমস্যা দেখা দেয় তাছাড়া ভিটামিন ডি আমাদের নার্ভাস সিস্টেম কে শান্ত করে ,রক্তচাপ কমিয়ে আনে, গভীর ঘুমন্তের সাহায্য করে, তাই প্রতিদিন সকালে এবং বিকাল গায়ে সূর্যের রোদ লাগান এবং দুধ, ডিম, মাশরুম, এবং চর্বিযুক্ত মাছের তৈল ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খান ইনসোমনিয়া বা অনিদ্রা সমস্যা দূর করতে ভিটামিন ডি বা পারোনিক্স পাইরোডক্সিন অত্যন্ত জরুরী।

ভিটামিন ডি সেক্স মস্তিষ্কের প্লাটনিন হরমোনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে সমগ্র শরীরকে শীতলতা প্রদান করে এবং নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত করে প্রতিটি অঙ্গ প্রতঙ্গের মধ্যে একটা করে ঢিলেঢালা ভাব নিয়ে আসে যার ফলে খুব সহজেই ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম হয় শরীর থেকে ভিটামিন বা সিক্স এর অভাব দূর করতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পাকা কলা, কাঠবাদাম ,টমেটো, পালং শাক, এবং স্ট্রবেরির মতো খাবার রাখুন তাই অনিদ্রার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শরীর থেকে এই দুই ভিটামিনের অভাব আগে দূর করতে হবে।

ঘুমানোর আগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি খাবার সম্পর্কে জেনে নিন আপনারা যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন ঘুমানোর আগে এই তিনটি খাবারের মধ্যে যেকোনো একটি খাবার তাহলে কথা না বেড়ে চলুন জেনে নেই।

ময়ূরী

মানসিক উদ্ভিদ স্নায়ুর চাপ জনিত সমস্যা এবং বিনিদ্রা জনিত সমস্যা খুব দ্রুত নিরুদেশ করতে পারে। যদি মৌরিরাতে ভালো করে চিবিয়ে খেতে পারেন, তাহলে বিছানায় শোয়া মাত্রই ঘুম হবে, এখন যদি আপনার মনে প্রশ্ন আসে যে আপনি মোড়ি খেতে পারবেন কি না বা শরীরে অন্য কোন রোগ থাকলে মোড়ি খাওয়া যাবে কি না তখন আপনাকে এভাবে উত্তরটা দিতে পারি।

যে মোরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ,পটাশিয়াম, অল্প পরিমাণ সোডিয়াম, জিং, তামা, ম্যাঙ্গানিজ, এবং সেলোনিয়াম এবং এছাড়াও আছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, আইরন এবং এসব উপাদান গুলো আপনার শরীরে প্রবেশ করা মাত্রই এমন বিক্রিয়া শুরু করে যে অন্যান্য আরো অনেক রোগ দ্রুত ভালো হয়ে যায়। কি কি রোগ ভালো হয় মোড়ি খেলে মৌরির প্রধান কাজ হল।

মোরি আপনার হজম ক্ষমতাকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দিবে যদি রাতে আপনি মোরি খান সেটা আপনার ঘুম যেমন দ্রুত গতিতে আনবে তেমনি আপনার পেট পরিষ্কার করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেটের গ্যাস, বদ হজম, এসিলিটি একদম গোড়া থেকে নির্মল হবে। এছাড়াও মোরির আরও একটি বিশেষ গুণ হলো মৌরি দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে দ্রুত সাহায্য করে। এবং দৃষ্টিশক্তিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে।

মৌরি কিন্তু একটি মসলা অনেকেই বলবেন যে মৌরি চেনেন না, মৌরি কে অনেকেই গোয়া মোড়ি সাদা জিরা নামে ডেকে থাকেন। এই মসলাটি পানের সাথে খাওয়া হয় অথবা মুখ সর্দি হিসেবে হোটেলে এই মসলাটি দেওয়া হয়। এই মোরি যদি আপনি খান তাহলে আপনার শরীরের ব্যথা দূর হবে যেমন বাতের ব্যথা বা আর্থাইটিজের ব্যথা, হার জয়েন্টের ব্যথা, এই সব সমস্যা দূর হবে। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আসবে হাইকলোস্টোরিও নিয়ন্ত্রণে আনবে স্ট্রোকের সম্ভাবনা একেবারেই থাকবে না।

এছাড়াও প্রতিদিন মোড়ি খেলে আপনার ওজন একদম নিয়ন্ত্রণে থাকবে, যারা ধূমপান করেন তারা যদি এভাবে মৌরি খান তাহলে ধূমপানের ইচ্ছা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে যে মোরিতে যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ফ্লাবনয়েড রয়েছে তা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। আমাদের ঘুম ভালো হতে মোড়ি খাওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।

লবঙ্গ

লবঙ্গ এমন একটি মসলা বা এমন একটি খাবার যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিং, এছাড়াও আছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এইসব উপাদান লবঙ্গ কে করে তুলেছে অনন্য।

ঘুমানোর আগে একটি বা দুটি লবঙ্গ ভালো করে চিবিয়ে চিবিয়ে খাওয়া যায় আপনার ঘুম তো ভালো হবেই দূর হবে শরীর থেকে ছোট বড় সকল রোগ যেমন আপনার ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য, এইসব সমস্যা একেবারেই দূর হবে। আরো শরীরের ব্যথা সেটা পেষির ব্যথা হোক কিংবা জয়েন্টের ব্যথা হোক সব ব্যথা দূর করতে লবঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অস্টিওপ্যারাইটিসের ঝুঁকিতে যারা রয়েছেন তারা অবশ্যই লবঙ্গ খাবেন। লবঙ্গ আসলে আপনার শরীরের ভিতরকার সকল সমস্যার অবসান ঘটাবে। এবং যে সকল সমস্যার সমাধান করবে তার মধ্যে এক দাঁতের ব্যথা খুব ভালো কাজ করে যাদের দাঁতের সমস্যা রয়েছে। আপনার প্রতিদিন একটা বা দুইটা লবঙ্গ খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

যেকোন সমস্যা দূর হতে দুই তিন দিনের বেশি সময় লাগবে না। তাই লবঙ্গ আপনার মানসিক বা উৎকণ্ঠকে সমাধান করবে। ব্যথা দূর করতে লবঙ্গ খুব ভালো কাজ করে। তাই আমাদের উচিত ভাল ঘুমের জন্য লবঙ্গ খাওয়া খুবই ভালো।

খেজুর

খেজুর এমন একটি শুকনো ফল বা খাবার যা আপনার মানসিক উদ্বেগ এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কে অনেক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারেন। যারা খেজুর খান তারা বুঝবেন যে আপনাদের শরীরের কেন ক্লান্তি ভর করে না।

খেজুর খেলে শরীর এতটাই সুস্থ থাকে যে আপনার সারাদিনের কর্ম ব্যস্ততায় ডুবে থাকলেও আপনার শরীরে কোন ক্লান্তি অনুভব করবে না। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং সেইসাথে ক্যালসিয়াম, আয়রন, প্রোটিন ,খেজুর খেলে প্রোস্টেল একদম নিয়ন্ত্রণে থাকে কারণ খেজুরে কোনটা কোলেস্টেরল থাকেই না।

কোলেস্টরেল থাকে না সেইসাথে আপনার শরীরের বাড়তি ফ্যাট চর্বি ও একদম ঝরে যাবে। খেজুরে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে তা আমাদের শরীরকে অনেক বেশি মজবুত করবে। খেজুর খেলে শিশুদের হাড় দাঁত অনেক মজবুত করতে অনেক ভালো ভূমিকা পালন করবে।

পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অনেক গুণ বাড়িয়ে দিবে খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে এবং সেই সাথে পেটের সব সমস্যার সমাধান দূর করতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শুরু করে এমনকি ডায়রিয়া, আমাশা, বদহজম, গ্যাস্ট্রিক, সব সমস্যা ঘোড়া থেকে নির্মূল করে।

আমাদের উচিত প্রতিদিন দুই থেকে তিনটা খেজুর খাওয়া খুবই দরকার যকৃতির সংক্রমণ রোগীদের জন্য খেজুর খুব উপকারী। ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথা, সবকিছু সমাধান করতে খেজুর খুবই উপকারী একটি ফল। তাই আমরা যতটা পারবো চেষ্টা করব এই তিনটি খাবার খাওয়া। যাতে করে আমাদের সুন্দর একটা ঘুমও হবে আরো বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ঘটবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন