প্রসাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হবে

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা হয়তো প্রসাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হবে সে সম্পর্কে কোনো পোস্ট খুজতাছেন চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আজকে আমরা এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব এবং আরো জানব প্রসাবে ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেরি না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

প্রসাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হবে

গরমের তুলনায় শীতকালে পানি কম খাওয়ার কারণে প্রসাবে ইনফেকশনের প্রভাব ব্যাপক পরিমাণে দেখা যায়। এই পোস্টে আমরা প্রসাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় সে সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে আলোচনা করা যাক।

ভূমিকা

ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের প্রসাবে ইনফেকশন বেশি হয়ে থাকে। ইনফেকশন হওয়ার কারণে তলপেটে ব্যথা সৃষ্টি হয়,প্রস্রাবে জালা ভাব সৃষ্টি হয় ও একটু পর পর প্রসাবের বেগ পাই ইত্যাদি । সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে এই রোগ বড় ধরনের রোগের সৃষ্টি করে। প্রসাবে ইনফেকশন হলে জাম পেঁপে ও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে ব্যাকটেরিয়া দেহ থেকে বের হয়ে যায় যার ফলে আমরা এই রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পাই। প্রত্যেকটি মানুষের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাকসবজি রাখা প্রয়োজন। শাকসবজি খাওয়ার ফলে প্রসাবে ইনফেকশন ভালো হয়।

আমরা এই পোস্টে প্রসাবের ইনফেকশন হলে কোন কোন খাবার খাওয়া যাবে না ,প্রসাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হবে ও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে আলোচনা করব। সেগুলোর সম্পর্কে জানতে হলে বিস্তারিত পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

প্রসাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হবে

গ্রীষ্মকালের তুলনায় শীতকালে মানুষ একটু কম পানি পান করে থাকে যার ফলে দেহে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ করে থাকে। প্রসাবের ইনফেকশন দূর করার জন্য কিছু খাবার গ্রহণ করতে হয় যার ফলে প্রসাবের ইনফেকশন ভালো হয়ে যায়। প্রসাবে ইনফেকশন থেকে অনেক সময় কিডনির সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে প্রসাবে ইনফেকশন হয়ে থাকে।

প্রসাবে ইনফেকশনের দ্রুত চিকিৎসা না করলে এটি ভয়াবহ রোগ সৃষ্টি করতে পারে। প্রসাবের ইনফেকশন ভালো করার জন্য আমাদের ডক্টরের ওষুধের পাশাপাশি কিছু খাবার খাওয়া প্রয়োজন যা খেলে এ রোগ থেকে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। তাহলে চলুন দেখা যাক প্রসাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হবে।

পানিঃ প্রসাবে ইনফেকশন হলে বেশি করে পানি গ্রহণ করতে হবে। বেশি করে পানি খাওয়ার ফলে কিডনিতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ করতে পারে না।

পেঁপেঃ প্রসাবের ইনফেকশন হলে প্রচুর পরিমাণে পেঁপে খাওয়া দরকার। পেঁপে খাওয়ার ফলে এই রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

দুইঃ মূত্র নালীতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনের ফলে প্রসবের ইনফেকশন সৃষ্টি হয়। দই ব্যাকটেরিয়া দূর করে মূত্রথলির সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

জামঃ প্রতিটি ব্যক্তির জাম খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাম খাওয়ার ফলে আমাদের দেহে ব্যাকটেরিয়াকে দ্রুত শরীর থেকে বের করা হয়। তাই জাম খাওয়ার ফলে প্রসাবের ইনফেকশন দ্রুত ভালো হয়।

শাকসবজিঃ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমাদের শাকসবজি খেতে হবে। তাহলে প্রসবের ইনফেকশন থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ব্রকলিঃ ব্রকলি খাওয়ার ফলে আমাদের দেহে ব্যাকটেরিয়া দীর্ঘক্ষণ বাসা বাদতে পারে না ।ব্যাকটেরিয়াকে দেহ থেকে নিঃসরণ ঘটায়।তাই প্রসাবে ইনফেকশন হলে ব্রকলি খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

এগুলো খাবার পাশাপাশি ভালো ডাক্তারের কাছে গিয়ে ট্রিটমেন্ট করিয়ে সঠিক ঔষধ খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনারা প্রত্যেকে চেষ্টা করবেন ইনফেকশন হলে উপরের খাদ্যগুলো গ্রহণ করা।

প্রসাবের ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় না

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে শাক-সবজি, দই ও বেশি করে পানি খাওয়া দরকার। যার ফলে প্রসাবের ইনফেকশন দ্রুত ভালো হয়। কিন্তু কিছু খাবার আছে যা খেলে আবার ইনফেকশনের সমস্যা দ্বিগুণ হতে পারে সেগুলো বর্জন করে আমাদের চলতে হবে। বর্তমানে প্রসাবের ইনফেকশন প্রায় প্রতিটি মানুষের কম বেশি হয়ে থাকে। এই রোগদ্রুত ভালো না করতে পারলে পরবর্তী সময় বড় রোগের রূপান্তর হতে পারে। চলুন তাহলে দেখা যাক প্রসাবে ইনফেশনের হলে কোন খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • প্রসাবের ইনফেকশন হলে চা ও কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • প্রসাবে ইনফেকশন হলে মদ ও অ্যালকোহল জাতীয় জিনিস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • প্রসাবের ইনফেকশন হলে কামরাঙ্গা ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

প্রসাবে ইনফেকশন এর লক্ষণ

প্রায় অনেক মানুষেরই প্রসাবে ইনফেকশন হয়ে থাকে। তুলনামূলক পানি কম খাওয়ায় প্রসাবের ইনফেকশন এর প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি প্রসাবের ইনফেকশন হতে দেখা যায়। কম বেশি প্রতিটি মানুষেরই প্রসাবে ইনফেকশন হয়ে থাকে। কিডনি আমাদের দেহে ছাকনির মত কাজ করে।

দেহের বিভিন্ন বজ্র কিডনির ছাকনি মাধ্যমে দেহ হতে বের হয়ে যায়। মূত্রথলিতে যদি কোন ইনফেকশন সৃষ্টি হয় তাকে প্রসবের ইনফেকশন বা ইউরিন ইনফেকশন বলে। আজকে আমরা প্রসাবে ইনফেকশন হলে কোন কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় সে সম্পর্কে জানব ।
  • প্রসাবে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ
  • তলপেটে ব্যথা সৃষ্টি হওয়া।
  • প্রসাব গারো হলুদ বা লালচে হওয়া।
  • ঠিকমত প্রসাব না হওয়া
  • প্রসাবে জ্বালা সৃষ্টি হওয়া
  • একটু পর পর প্রসাব হওয়া
  • সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব হয় এবং হঠাৎ করে জ্বর আসা।
  • বমি বমি ভাব সৃষ্টি হওয়া।
  • অরুচি সৃষ্টি হওয়া।
  • বার বার প্রসাব লাগা।
  • নারীদের গোপনাঙ্গে ব্যাথা হওয়া।
  • শরীরের ক্লান্তি ভাব সৃষ্টি হওয়া.
  • মাথা গরম হওয়া।

ইউরিন ইনফেকশন দূর করার উপায়

ছোট থেকে বড় প্রতিটি মানুষের প্রসাবের ইনফেকশনের সমস্যা হয়ে থাকে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অধিক পরিমাণে প্রসাবের ইনফেকশন এর সমস্যা হয়ে থাকে। প্রসাবের ইনফেকশন বর্তমানে বেশ প্রভাব ফেলেছে। মূত্রনালীর সংক্রমণের কারণে ইউরিন ইনফেকশন হয়ে থাকে।

প্রসাবে ইনফেকশন হলে তলপেট ব্যথা করে, প্রসাবে চলা হয় ও ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। প্রসাবে ইনফেকশনের হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। সঠিক চিকিৎসা নেওয়ার ফলে এই রোগটি দ্রুত সেরে যাবে। আজকে আমরা কিভাবে ইউরিন এর ইনফেকশন দূর করা যায় সে সম্পর্কে জানব।
  • খাদ্য গ্রহণের পর পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা।
  • পুষ্টিকর ও ভিটামিন সি যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা।
  • প্রসাবের ইনফেকশন হলে সব সময় রেস্টে থাকা।
  • ছোট বাচ্চাদের নির্দিষ্ট সময় পর পর ডাইপার প্যান্ট পরিবর্তন করা।
  • কখনো ইউরিনকে আটকে রাখবেন না।
শাওয়ার বা বালতি পানি দিয়ে গোসল করার চেষ্টা করবেন। কখনোই পুকুরে গোসল করবেন না।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শসা খাওয়া উচিত। শসা খাওয়ার ফলে প্রসাবে ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
  • অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার না খাওয়া।
  • সব সময় ঢিলার পোশাক পরিধান করা।
  • টয়লেটে টিস্যু ব্যবহারের সময় সামনে থেকে পিছনে ব্যবহার করা উচিত।
  • সব সময় পুষ্টিকর শাক-সবজি গ্রহণ করা।
  • গোসল করার সময় হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা।

ইউরিন ইনফেকশন কতদিন থাকে

কিডনি আমাদের দেহের বিভিন্ন বর্জ্য ছাঁকনির মত ছেকে দেহ থেকে বের করতে কার্যকার ভূমিকা পালন করে। অনেক সময় মূত্রনালীতে সংক্রমণের কারণে প্রসাবে ইনফেকশন হয়ে থাকে। প্রসাবের ইনফেকশন হলে প্রচুর পরিমাণে পেট ব্যথা সৃষ্টি হয়। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অধিক পরিমাণে প্রসাবে ইনফেকশনের সমস্যায় ভুগে।

প্রসাবে ইনফেকশন হলে ঘন ঘন মূত্রত্যাগের ইচ্ছা হয়। খাবারের প্রতি অরুচিভাব সৃষ্টি হয়। এই রোগ থেকে নিস্তার পেতে প্রত্যেকটি রোগীদের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। প্রসাবে ইনফেকশন হওয়ার ফলে প্রসাব ত্যাগে জ্বালা ভাব সৃষ্টি হয়। তাই প্রসাবের ইনফেকশন দূর করার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

অতিরিক্ত তেল মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। প্রসাবের ইনফেকশন ভালো করতে হলে ডক্টরের কাছে গিয়ে ওষুধ নিয়ে আসতে হবে। এভাবেই দুই থেকে তিন দিন সঠিকভাবে ঔষধ খাওয়ার ফলে প্রসাবের ইনফেকশন দ্রুত ভালো হয়ে যায়।

অবশেষে বলা যায়

প্রায় প্রতিটি মানুষই প্রসাবে ইনফেকশনে একবার না একবার ভুগেই থাকে। তাই এ রোগের লক্ষণ গুলো ও ইনফেকশন হলে কি কি খাওয়া যাবেনা সে সম্পর্কে আমরা এই পোস্টে বলেছি প্রিয় বন্ধুরা আমাদের প্রসাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হবে নিয়ে লেখা পোস্টটি আপনাদের কেমন লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।পরবর্তী পোস্ট পাওয়া পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন