পাতলা পায়খানা হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে কি সে সম্পর্কে জানুন

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা হয়তো পাতলা পায়খানা হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে কি এই নিয়ে কোনো পোস্ট খুঁজতাছেন চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আজকে আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব এবং আরো জানবো পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।তাহলে চলুন দেরিনা করে সম্পূন্ন পোস্টি বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

পাতলা পায়খানা হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে কি সে সম্পর্কে জানুন

পাকা কলায় প্রচুর পুষ্টিগুণ বিদ্যমান থাকে। ভরা পেটে কলা খেলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। যা আমাদের দেহে সজল রাখতে সাহায্য করে। আমরা এই পোস্টে পাকা কলা খাওয়ার নিয়ম ও পাকা কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানবো। তাহলে চলুন দেরিনা করে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়া যাক।

ভূমিকা

বাংলাদেশে সারা বছর কলা উৎপাদন করা হয়। প্রায় কয়েকটা জাতের কলা আমাদের দেশে উৎপাদন হয়।পাকা কলাকে ভরা পেটে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায় । পাকা কলা তারণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। পাকা কলা আমাদের চিন্তা দূর করতে সহায়তা করে। পাতলা পায়খানা হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে কিন্তু পাতলা পায়খানা সারতে কাঁচা কলা বেশি কার্যকর।

তাই সকলের চেষ্টা করবেন পাতলা পায়খানা হলে কাঁচা কলা খাওয়ার ।আমরা এই পোস্টে গর্ভাবস্থায় পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা,পাকা কলার অপকারিতা,পাকা কলা খাওয়ার নিয়ম ও পাতলা পায়খানা হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে কি এই নিয়ে আলোচনা করবো। সেগুলো জানতে হলে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।

পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা

অনেকেই পাকা কলা খেতে একটু বেশি পছন্দ করে। বাংলাদেশে প্রায় সারা বছরই কলা চাষ করা হয়। অন্য ফলের তুলনায় কলার দাম তুলনা মূলক ভাবে কম থাকায় এই ফলটি প্রায় সবাই কিনে খেতে পারে। পুষ্টিকর ফলের মধ্যে কলা অন্যতম ।কলায় খনিজ পদার্থ, ভিটামিন ,আইরন প্রচুর পরিমাণে সমৃদ্ধ আছে। 

এই সকল উপাদান গুলো মানব দেহকে সচল ও সুস্থ রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রায় অনেকে ব্রেকফাস্ট এর টেবিলে অন্য খাবারের পাশাপাশি কলা খেয়ে থাকে। কলা কাঁচা পাকা উভয় অবস্থায় খাওয়া যায়। সাধারণত মানুষ পাকা কলা খেতে একটু বেশি পছন্দ করে। পাকা কলা ও অতিরিক্ত পেকে গেলে তার গায়ের রং কালো হতে শুরু করে।

এ কালো রঙ দেখে অনেকেই মনে করে কলা হয়তো নষ্ট হয়ে গেছে। এর কারণেকলা ডাস্টবিনে ফেলে দেয় কিন্তু আসলে অতিরিক্ত পাকা কলায় পুষ্টিগুণ আরো বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতি বিভিন্ন গবেষণা দেখা গেছে অতিরিক্ত পাকা কলা খাওয়া আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। চলুন তাহলে পাকা কলা উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানা যাক।

হতাশা কমাইঃ কলায় প্রচুর পরিমাণে ট্রিপটোফান রয়েছে যা পরবর্তী সময় সেরোটোনিন রূপ নাই। এ সকল উৎপাদন গুলো নার্ভ সিস্টেমকে ঠান্ডা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই বলা যায় কলা খাওয়ার ফলে হতাশা দূর হয়।

উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃ পাকা কলায় অনেক বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তার প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পাকা কলা রাখা প্রয়োজন। পাকা কলা হার্ট ও স্টকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

ক্যান্সারে ঝুঁকি কমায়ঃ অনেক বেশি ভিটামিন সি কলার মধ্যে রয়েছে। পাকা কলাতে ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ এর মত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন উপস্থিত আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।

শক্তি যোগায়ঃ পাকা কলা শক্তি জোড়াতে বেশ কার্যকর। পাকা কলাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট , যা আমাদের দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তার প্রতিটি মানুষের প্রতিদিন কলা খাওয়া উচিত কলা খেলে শরীর সুস্থ থাকে।
 
কোষ্ঠকাঠিন্যঃ পাকা কলায় প্রচুর পরিমাণে আস ও ফাইবার রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা আছে তারা নিয়মিত পাকা কলা খাওয়া প্রয়োজন।

কোষের ক্ষতি রোধঃ অতিরিক্ত পাকা কলা আমার দেহের জন্য উপকারী। পাকা কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের কোষ নষ্ট করতে বাধা দেয় । তাই পাকা কলা খাওয়া প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই দরকারি।

তারুণ্য ধরে রাখেঃ কলা তারুণ্য ধরে রাখতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। পাকা কলা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই আছে যা বয়সের ছাপ দূর করে তাড়ানো ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই ত্বকের লাবণ্যতা ফিরিয়ে আনতে পাকা কলা খাওয়া আবশ্যক।

রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করেঃ আয়রনের ভরপুর পাকা কলা। রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে পাকা কলা খাওয়া অত্যাবশ্যক। পাকা কলা আমার দেহে রক্ত পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ পাকা কলা খাওয়া খুবই উপকারী যাদের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য নিজের স্বাস্থ্য কমাতে চান।তাদের জন্য পাকা কলা খাওয়া খুবই দরকারি। তাই কলা খেয়ে আপনার স্বাস্থ্য কমিয়ে আনতে পারেন।

পাতলা পায়খানা হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে

বর্তমানে দেশে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে এর মধ্যে পাতলা পায়খানা হলো অন্যতম। অনেকের মাঝে মধ্যে পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। অনেকেই বলে পাতলা পায়খানা হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে কিনা আসলে পাতলা পায়খানা হলে পাকা কলা চাইতে কাঁচা কলা খাওয়া প্রয়োজনীয়। কারণ কাঁচা কলা পাতলা পায়খানার সারতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

পাকা কলা হজম শক্তি বৃদ্ধি ও ইমিউনিটি পাওয়ার পাড়াতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই পাতলা পায়খানার সমস্যা হলে অবশ্যই কাঁচা কলা খাওয়া প্রয়োজন এবং কাঁচা করা পাশাপাশি হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য আপনি পাকা কলা খেতে পারেন। তাই পাতলা পায়খানা হলে কাঁচা কলা খাওয়া খুবই প্রয়োজন। কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে আমরা অতি দ্রুত পাতলা পায়খানা থেকে নিস্তার পেতে পারি। তাই পাতলা পায়খানা হলে যত দ্রুত সম্ভব কাঁচা কলা খাওয়া দরকার।

পাকা কলা খাওয়ার নিয়ম

কলা প্রায় সকলের পছন্দের একটা ফল। কলার মূল্য সবার নাগালের ভিতরে থাকায় এই ফলটা সব শ্রেণীর মানুষ খেয়ে থাকতে পারে। বর্তমানে বিভিন্ন জাতের কলা বাংলাদেশে উৎপাদন করা হচ্ছে। এক এক জাতের কলায় এক এক পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধ রয়েছে।

পাকা কলা সকালের ব্রেকফাস্টে প্রায় অনেকেই খেয়ে থাকে তবে সকালে খালি পেটে কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ঠিক নয়। তাই কলা খাওয়ার পূর্বে কোন কিছু খাওয়া প্রয়োজন তারপর কলা খাওয়া দরকার ।নতুবা খালি পেটে কলা খেলে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। অনেকেই কলার শরবত বানিয়ে খায় কলা শরবত খেলে মাথা ঠান্ডা থাকে। 

অনেকে আবার কলা দুধ আর ভাত দিয়ে খেয়ে থাকে কিন্তু দুধ ও কলা উভয় একসাথে খাওয়া ঠিক নয়।তাই আমাদের উচিত আলাদা আলাদা ভাবে কলা ও দুধ খাওয়া।রাতের বেলায় কলা খেলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কলাই প্রচুর পরিমাণে পুষ্ট থাকায় আমরা যখন তখন কলা গ্রহণ করতে পারি।

পাকা কলার পুষ্টিগুণ

পাকা কলায় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকে। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্রতিটি মানুষেরই শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজন হয়। পাকা কলা খাওয়ার ফলে আমরা তাৎক্ষণিক এনার্জি পেয়ে থাকি । কাঁচা কলার তুলনায় পাকা কলা খেতে সুস্বাদু ও বেশি পুষ্টিকর। পাকা কলা যখন আরো বেশি পেকে যায় তখন তার পুষ্টিনের মাত্রা আর দিগুণ হয়ে যায়। অনেকে না বোঝার কারণে তখন সে কলা গুলো ফেলে দেয়। তাহলে চলুন দেখা যাক পাকা কলায় কোন কোন পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ আছে।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • ভিটামিন বি৬
  • ফাইবার
  • ভিটামিন সি
  • পটাশিয়াম
  • ফ্যাট
  • ক্যালরি
  • কপার
  • প্রোটিন

পাকা কলার অপকারিতা

পাকা কলা আমায় দেহের জন্য উপকারী কিন্তু কোন কিছুই অতিরিক্ত খাওয়ার স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেও শুভকর নয়। যে জিনিস যতটুকু দেহ সহ্য করতে পারে ততটুকুই খাওয়া প্রয়োজন অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে।অতিরিক্ত কলা খাবার ফলে অনেকের এলার্জির সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে কলা খাওয়া প্রয়োজন। তাই সবারই উপকারিতা অপকারিতা মেনে কলা খাওয়া প্রয়োজন।

গর্ভাবস্থায় পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থায় কলা খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।প্রায় প্রতিটি ফ্যামিলি অন্যান্য ফলমূলের তুলনায় কলা খেয়ে তাদের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে। কারণ অন্য ফলের তুলনায় কলার দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম। পাকা কলা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী। পাকা কলায় রয়েছে ফাইবার, মিনারেল ,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি। গর্ভ বস্থায় প্রতিটি মহিলারই প্রায় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়ে থাকে।

ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যাদের পূর্বে কলা খেলে এলার্জি হতো তারা গর্ভবস্থায় কলা গ্রহণ করার উচিত নয়। অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সঠিক পরিমাণে কলা খাওয়া গর্ভবতী মহিলাদের জন্য দরকারী।ডক্টরের সাথে পরামর্শ নিয়ে গর্ভবতী মায়েদের কলা খাওয়া প্রয়োজন।

ভরা পেটে কলা খেলে কি হয়

এনার্জি লাভের জন্য সবচাইতে ভালো উপায় হলো কলা গ্রহণ করা। পাকা কলা খেলে মুহূর্তের মধ্যেই এনার্জি পাওয়া সম্ভব। কলা বারোমাসি ফল। প্রতিটি ব্যক্তির প্রতিদিন পাকা কলা খাওয়া প্রয়োজন। পাকা কলা দেহের কার্যকর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।কলায় রয়েছে পটাশিয়াম ,ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি।

রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে কলা খাওয়া প্রয়োজন।রক্তের হিমোগ্লোবিন সমস্যা সমাধানের জন্য কলা গুরুত্ব অপরিসীম।রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কিন্তু এই কলা উপকারিতা পাওয়ার জন্য আমাদের ভরা পেটে পাকা কলা খাওয়ার প্রয়োজন।

খালি পেটে কলা খেলে কোন উপকার পাওয়া যায় না বরং সমস্যা সৃষ্টি হয়। খালি পেটে কলা খাওয়ার ফলে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়। অনেকে পাকা কলা খেলে এলার্জির সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই প্রতিটি মানুষের ভরা পেটে কলা খাওয়া প্রয়োজন ভরা পেটে কলা খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং দেহের কার্যকর ক্ষমতা ঠিক থাকে।

অবশেষে বলা যায়

পাকা কলায় ভিটামিন ভরপুর থাকে। গর্ভাবস্থায় ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী পাকা কলা খাওয়া উচিত। গর্ভবতী নারী কোষ্ঠকাঠিন্য মত সমস্যা থেকে সমাধান পেতে কলা খাওয়া প্রয়োজন। প্রত্যেকের চেষ্টা করতে হবে যেন ভরা পেটে কলা খাওয়া যায়।

ভরা পেটে কলা খেলে প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা পাওয়া যাই। প্রিয় বন্ধুরা আমাদের পাতলা পায়খানা হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে কি নিয়ে লেখা পোস্টে আপনাদের কেমন লেগেছে।যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। পরবর্তী পোস্ট পাওয়া পর্যন্ত থাকবেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন