মাথা ঘোরা ও বমি কিসের লক্ষণ বিস্তারিত জেনে নিন

মাথা ঘোরা ও বমি কিসের লক্ষণ সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকেই মাথা ঘোরা হয়ে থাকে। কিন্তু এই মাথা ঘোরা ও বমি কিসের লক্ষণ সেটা সম্পর্কে হইত অনেকেই ধারণা নেই। সেজন্য আজকে আমি এই আর্টিকেলে সঠিকভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

মাথা ঘোরা ও বমি কিসের লক্ষণ বিস্তারিত জেনে নিন

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে মাথা ঘোরা কমানোর উপায়, হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ, হঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত, মাথা ঘোরা ও বমি কিসের লক্ষণ, মাথা ঘুরালে করণীয় কি, মাথা ঘোরা ও বুক ধরফর, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

প্রায় কম বেশি অনেক মানুষের মাথা ঘোরাও বমি বমি ভাব হয়ে থাকে তবে এটি কিসের লক্ষণ সেটা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না যদি আপনার এই সমস্যা অতিরিক্ত বেড়ে যায় তাহলে আপনার বড় দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আজকে এই আর্টিকেলে মাথা ঘোরা ও বমি কিসের লক্ষণ সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এছাড়াও হঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

মাথা ঘোরা ও বুক ধরফর

মাথা ঘোরা ও বুক ধরফর এই সমস্যা অনেকেই হয়ে থাকে। তবে এটি একটি সাধারণ সমস্যা কিন্তু যদি এটা অনেক বেশি আকারে হয়ে যায় তাহলে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। কিছু কিছু মানুষের হঠাৎ করেই বুক ধরফর শুরু হয়ে যায়। যদি কোনো মানুষের হঠাৎ করে এই সমস্যা দেখা যায় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের হার্টবিট স্বাভাবিকভাবে প্রতি মিনিটে ৭২ বার হয়ে থাকে। 

তবে সকল মানুষ এক নয়, তাই প্রতিটা মানুষের হার্টবিটের হার প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ পর্যন্ত হতে পারে। যদি স্বাভাবিকের তুলনায় কম বা বেশি হয়ে থাকে তাহলে এটা অসুখের ইঙ্গিত দেখা দেয়। বিশেষ করে যদি হার্টবিট প্রতি মিনিটে ১০০ টিরও বেশি তাহলে তাকে ট্যাকিকার্ডিয়া বলা হয়। আবার যদি মানুষের হার্টবিট প্রতি মিনিটে  ৬০ এর কম হয় তাহলে তাকে বলা হয় ব্রাডিকার্ডিয়া।  

তবে মাথা ঘোরা ও বুক ধরফর এই সমস্যার কিছু লক্ষণ রয়েছে। যদি এই লক্ষণগুলো আপনি আপনার মধ্যে দেখতে পান, তাহলে আপনার মাথা ঘোরা ও বুক ধরফর হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। চলুন তাহলে আগে জেনে নিন মাথা ঘোরা ও বুক ধরফর কি কি কারণে হয়। 

মানসিক চাপঃ যদি কোনো মানুষ অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকে, তাহলে তার মাথা ঘোরা ও বুক ধরফর সমস্যা দেখা দিতে পারে।  

ঋতুস্রাবের সময়ঃ বিশেষ করে এই সময়টুকু মেয়েদের বুক ধরফরের সমস্যা অনেক বেশি দেখা যায়। তাঁর কারণ এই সময়ে হরমোনের মাত্রা অনেক পরিবর্তন হয়। ঠিক সেই কারণেই হৃদস্পন্দনের হার অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। তাই এই সময় অনেকেরই বুক ধরফর করতে পারে এটাই স্বাভাবিক।   

ধূমপান ছাড়লেঃ যদি আপনি হঠাৎ করে ধূমপান ছেড়ে দেন তাহলে আপনার মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, বুক ধরফর, অনিদ্রা সহ আরো ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ ধূমপান বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। তবে ধূমপান ছাড়ার ১ মাস পর থেকে আপনার এই সমস্যা আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে।  

ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেঃ যদি ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করা অনেক বেশি কমে যায় তাহলে বুক ধরফরের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও যদি রক্তচাপ কমে যায় তাহলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।  

জ্বরের রোগীদের ক্ষেত্রেঃ অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ করে তীব্র জ্বর শরীরে চলে আসে। তবে এই জ্বর যাওয়া আসা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই হঠাৎ করে তীব্র জ্বর আসার কারণে আপনার মাথা ঘোরা ও বুক ধরফর এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এটি বেশিক্ষণ হয় না এটা স্বাভাবিকভাবেই ঠিক হয়ে যায়।  

তবে এই সমস্যাগুলো অনেক ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। যদি আপনি দেখেন যে এর সঙ্গে এই সকল লক্ষণ দেখা যায়। তাহলে ভাববেন যে অনেক ভয়াবহ সমস্যা দেখা দিতে পারে। চলুন তাহলে লক্ষণগুলো জেনে নিন। 

  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া 
  • মাথা ঘোরা 
  • শ্বাসকষ্ট 
  • নিঃশ্বাস নিতে অনেক কষ্ট 
  • বুকে ব্যথা
  • বুক জ্বালাপোড়া

মাথা ঘুরালে করণীয় কি

অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত পরিশ্রম, বাজে চিন্তা, বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সহ আরো অন্যান্য সমস্যা গুলোর কারণে মাথা ঘুরতে পারে। তবে এই মাথা ঘোরা অনেক কারণেই হয়ে থাকে। যদি আপনি অনেক উঁচুতে ওঠে নিচে তাকান তাহলে আপনার মাথা ঘুরতে পারে। আবার বিভিন্ন এক্সিডেন্ট দেখলে আপনার মাথা ঘুরতে পারে। 

এই সমস্যাগুলো দূর করতে আপনি যা করবেন তা আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব। আজকে আমরা আলোচনা করব মাথা ঘুরালে করণীয় কি এই সম্পর্কে। যদি আপনার এই বিষয়ে জানা না থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে আপনার সমস্যার সমাধান গুলো দেয়া যাক।  

যদি আপনার হঠাৎ করে মাথা ঘুরে উঠে তাহলে আপনি একটি কাজ করতে পারেন সেটা হচ্ছে সেখানেই কোনো কিছু ধরে বসে পড়তে পারেন। এটা করলে আপনার অনেকটা ভালো হবে। যাদের হঠাৎ করে ঘাড় বা মাথার অবস্থান পরিবর্তন করার ফলে মাথা ঘুরে। তাহলে তাদের রাতে ঘুমানোর সময় চিত  হয়ে একটু উঁচু বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমাতে হবে। এতে করে আপনার এই সমস্যা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পাবেন। আপনি যে কাজ করলে মাথা ঘুরবে সে কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।

যদি আপনার মাথা ঘুরে তাহলে আপনি চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়বেন। যদি পারেন তাহলে সাহায্যের জন্য কাউকে ডাকতে পারেন। খুব সহজভাবে নিঃশ্বাস নিবেন। যদি আপনি গাড়ি চালান তাহলে থেমে পড়ুন। যেকোনো কাজ করলে অতিরিক্ত চাপ নিবেন না। যদি অতিরিক্ত চাপ নেন তাহলে এতে করে আপনার মাথা ঘোরার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। অনেকক্ষণ পর্যন্ত না খেয়ে থাকবেন না। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। যদি আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমান তাহলে আপনার মাথা ঘুরবে। আশা করি মাথা ঘুরলে করণীয় কি এ সম্পর্কে আপনি কি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

মাথা ঘোরা ও বমি কিসের লক্ষণ 

অনেক সময় দেখা যায় মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব হয়ে থাকে। তবে এটি কিসের লক্ষণ সেটি হয়তো অনেকেই জানেন না। কারণ এই মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব হওয়ার কারণে অনেক বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আজকের আর্টিকেল থেকে মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কিসের লক্ষণ এই সম্পর্কে সঠিক একটি ধারণা নিয়ে যান। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।

মস্তিষ্কের সমস্যাঃ এই সমস্যাটি দেখা দিলে মাথা ঘোরে। ঠিক এই কারণেই মুখ বাঁকা হয়ে যায়। কথা বলতে অনেক সমস্যা হয়। এছাড়াও যে কোন এক পাশের হাড় এবং পা অনেক দুর্বল হয়ে যায়। সাধারণত মস্তিষ্কের পেছনে সমস্যা দেখা দিলে আপনার মাথা অনেক বেশি ঘোরতে পারে।    
 
দুশ্চিন্তা করার ফলেঃ অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করার কারণে মাথা ঘোরা শুরু হতে পারে। যদি আপনি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, বিভিন্ন টেনশন করে থাকেন তাহলে আপনার মাথা ঘোরবে। কারণ দুশ্চিন্তা হচ্ছে মাথা ঘোরার একটি অন্যতম কারণ।      

বিপিপিভিঃ এটি একটি সমস্যা। তবে এটা তেমন একটা মারাত্মক নয়। যদি আপনি সঠিক নিয়মে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে পারেন, তাহলে এটা খুব দ্রুত ভালো করতে পারবেন। যদি হঠাৎ করে এই সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনার মাথা ঘোরা সৃষ্টি হতে পারে।    

অন্তঃকর্ণের প্রদাহঃ এই সমস্যা হওয়ার ফলে মাথা ঘোরা সৃষ্টি হয়। কারণ এটি একটি ভাইরাস যা ব্যক্তিকে আক্রান্ত করে মাথা ঘোরার সৃষ্টি করে। এছাড়াও এর পাশাপাশি শ্রবণশক্তি অনেকটা কমিয়ে নিয়ে আসে। 

মেনিয়ার্স ডিজিজঃ এটি একটি রোগ, যা কানের একটি সমস্যা। যদি এই সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনার মাথা ঘোরতে পারে। এছাড়াও আপনার কানের মধ্যে ঝিমঝিম শব্দ তৈরি হতে পারে। এর পাশাপাশি আপনার শ্রবণ-শক্তি অনেক কমে নিয়ে আসতেও পারে। তাই এই সমস্যাটি হওয়া মাত্রই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।  

উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তশূন্যতাঃ অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হয়। যার ফলে মাথা ঘোরা অনেক প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে রক্তশূন্যতার কারনেও মাথা ঘোরা সৃষ্টি হতে পারে।    

ভার্টিগো সমস্যাঃ এটি একটি মাথা ঘোরার সমস্যা। এই সমস্যা হওয়ার কারণে ব্যক্তিদের মাথা চারিপাশে ঘুরছে এমন একটি অনুভূতি মনে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এটি কানের সমস্যার কারণে ঘটে। বিশেষ করে এই সমস্যাটি আপনার অনেক বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে, যেমন স্ট্রোক বা ব্রেন টিউমার।
 

হঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত

পূর্বে আমরা জেনেছি মাথা ঘোরা ও বমি কিসের লক্ষণ এই সম্পর্কে। এখন আমরা জেনে নিবো হঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত। যদি আপনার হঠাৎ করে মাথা ঘুরে উঠে তাহলে আপনাকে অবশ্যই আশেপাশে কোনো কিছু ধরে বসে থাকতে হবে। কারণ এটি করলে আপনি অনেক আরাম পাবেন। এছাড়াও হঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত এই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমি সম্পূর্ণ জানানোর চেষ্টা করব। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।   

  • যে সকল ব্যক্তিদের অবস্থান পরিবর্তনের সঙ্গে মাথা ঘোরে। তারা সেই অবস্থান পরিবর্তন করার সময় অবশ্যই সতর্ক হয়ে পরিবর্তন হবেন। কারণ এটি আস্তে আস্তে পরিবর্তন করলে অনেক ভালো হবে। 
  • আপনি যে কাজ করার সময় মাথা ঘোরবে। সে কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।
  • হঠাৎ করে আপনার মাথা বা ঘাড় অনেক উঁচুতে বেশি টান করবেন না এবং মাথা হঠাৎ করে বাঁকানোর চেষ্টা করবেন না। এতে করে আপনার মাথা ঘোরতে পারে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমালে আপনার মাথা ঘোরা হবে না।
  • যত বেশি পারবেন পানি পান করবেন। দিনে অন্তত দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করবেন। কারণ পানি পান করলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। এতে করে আপনার মাথা ঘোরা থেকে আরাম পাবেন।
  • যদি আপনার মাথা ঘোরার সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে যেকোনো গাড়ি না চালানোই ভালো। 
  • মাথা ঘোরার কিছু ওষুধ রয়েছে যে ওষুধগুলো খাওয়ার ফলে আপনার মাথা ঘোরা খুব দ্রুত কমে যাবে।
  • অনেকক্ষণ পর্যন্ত না খেয়ে থাকবেন না। কারণ অনেকক্ষণ পর্যন্ত না খেয়ে থাকলে আপনার মাথা ঘোরতে পারে।
  • মাথা ঘোরাকে কোনো সময় অবহেলা করা যাবে না। কারণ এটি অন্য কোন রোগের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। 
  • যদি আপনার মাথা ঘোরার অভ্যাস থাকে তাহলে ঘুমানোর সময় উঁচু বালিশে চিত হয়ে শুয়ে ঘুমাবেন। এতে করে আপনার মাথা ঘোরা থেকে অনেকটা আরাম পাবেন।
  • শরীর দুর্বল করলে আপনার মাথা ঘোরতে পারে। তাই শরীর ঠিক রাখতে ভালো স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন। এতে করে মাথা ঘোরা অনেক কমে যাবে।
  • যদি আপনার মাথা ঘুরার অভ্যাস থাকে, তাহলে কোন এক্সিডেন্ট বা অন্য খারাপ কিছু দেখবেন না।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে রোদে থাকবেন না। যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে রোদে থাকেন, তাহলে আপনার মাথা ঘোরতে পারে। তাই কাজ করা ফাঁকে ফাঁকে একটু বিশ্রাম করে নিবেন।
  • নিশা জাতীয় কোন কিছু খাবেন না। তাহলে আপনার মাথা ঘুরবে না। যদি আপনি নিশা জাতীয় কোনো কিছু খান তাহলে আপনার মাথা ঘোরতে পারে। 
  • পান খাওয়ার সময় জর্দা, সুপারি এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আপনার মাথা ঘোরা অনেক কমে যাবে। হঠাৎ করে জর্দা, সুপারি খেলে আপনার মাথা ঘোরতে পারে।

হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ

অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ করে মাথা চক্কর দিয়ে ওঠে। কিন্তু বুঝে উঠতে পারে না যে কেন হঠাৎ করে মাথা চক্কর দিয়ে ওঠে। বিভিন্ন সমস্যার কারণে এই মাথা হঠাৎ করে চক্কর দেয়। তবে আপনি যদি সঠিক তথ্য জানতে পারেন তাহলে কেন হঠাৎ করে মাথা চক্কর দিয়ে ওঠে জানতে পারবেন। তাই আজকের আর্টিকেলে হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনার এই বিষয়ে জানার আগ্রহ থাকে। তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। তাহলে খুব ভালোভাবে হঠাৎ মাথার চক্কর দেওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

যদি আপনার হঠাৎ করে মাথার চক্কর দিয়ে ওঠে এটি নিয়ে অবহেলা করবেন না। কারণ অনেক সময় দেখা যায় মাথা ঘোরার কারণে  বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও কানের বিভিন্ন সমস্যার কারণে মাথা ঘোরতে পারে, যেমন রক্তনালীর সমস্যা। এছাড়াও যদি আপনি বেশি উঁচুতে উঠে নিচের দিকে তাকান তাহলেও আপনার মাথা চক্কর দিয়ে উঠতে পারে। কিছু কিছু মানুষের চলন্ত গাড়িতেও মাথা ঘোরে উঠে। 

এছাড়াও মাথা ঘোরার পিছনে কিছু কারণ রয়েছে যে কারণে মাথা ঘোরে, যেমন মস্তিষ্কের বিভিন্ন সমস্যা। এছাড়াও কিছু রোগ রয়েছে যার ফলে মাথা ঘোরে, যেমন স্ট্রোক। অনেক সময় দেখা যায় ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে চিনির মাত্রা অনেক কমে গেলে মাথা চক্কর দিতে উঠতে পারে। পাশাপাশি অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত পরিশ্রম, দৃষ্টিগত সমস্যা, ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সহ আরো বিভিন্ন সমস্যার কারণেও মাথা চক্কর দিতে পারে। তাহলে বুঝতেই পারছেন হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ।

মাথা ঘোরা কমানোর উপায়  

যদি আপনার মাথা ঘোরে তাহলে এটি কমানোরও উপায় রয়েছে। প্রচন্ড আকারে মাথা ঘোরলে অনেক সময় দেখা যায় খুব খারাপ অবস্থা। বিভিন্ন সময় হঠাৎ করে মাথা ঘোরার সমস্যা হয়ে থাকে। এই সমস্যাটি অনেক কারণেই হতে পারে। যেমন রক্তের চাপ কমে যাওয়ার কারণে, রক্তস্বল্পতা, মাইগ্রেন, মাথায় আঘাত ইত্যাদি কারণে মাথা ঘুরতে পারে। তাই আপনি যদি মাথা ঘোরা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে এই বিষয়ে খুব ভালোভাবে জানতে পারবেন। 

বেশি বেশি পানি পান করুনঃ যদি আপনি বেশি বেশি পানি পান করতে পারেন, তাহলে আপনার মাথা ঘোরা থেকে অনেক রেহাই পাবেন। কারণ পানি শরীরকে অনেক শীতল রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করুন। এতে করে অনেক মাথা ঘোরা থেকে আরাম পাবেন। এছাড়াও পাশাপাশি আপনি সামান্য মধু দিয়ে ভেষজ চা খেতে পারেন।   

আদাঃ অনেক সময় দেখা যায় মাথা ঘোরার কারণে বমি বমি ভাব হয়ে থাকে। তবে আদা বমি ভাব কমাতে বেশ ভালো কার্যকারী। এছাড়াও এটি মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে বেশ ভালো সহায়তা করে। তাই যদি আপনি আদার টুকরো চিবিয়ে খেতে পারেন। তাহলে আপনার মাথা ঘোরার সমস্যা একটু হলেও দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি আদা দিয়ে চা খেতে পারেন।  

পর্যাপ্ত ঘুমানোঃ যদি আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হয় এটা আপনার মাথা ঘোরার বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রতিদিন অন্তত ছয় ঘন্টা আপনাকে ঘুমানো প্রয়োজন। এতে করে আপনি মাথা ঘোরা থেকে আরাম পাবেন।   

স্বাস্থ্যকর খাবার খানঃ যদি আপনি স্বাস্থ্যকর খাবার না খান তাহলে এটি আপনার মাথা ঘোরার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন এবং শরীর সুস্থ রাখবেন। অনেকক্ষণ পর্যন্ত না খেয়ে থাকবেন না। আশা করি মাথা ঘোরা কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি মাথা ঘোরা ও বমি কিসের লক্ষণ  এবং হঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন