খুরমা খেজুরের উপকারিতা ও দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত সম্পর্কে জানুন

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা হয়তো খুরমা খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে কোন পোস্ট খুজতাছেন চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আজকে আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব এবং আরো জানাবো দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে আলোচনা করা যাক।

খুরমা খেজুরের উপকারিতা ও দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত সম্পর্কে জানুন

বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৩০০০ এর বেশি জাতের খেজুর চাষ করা হয়ে থাকে। আজকে আমরা এই পোস্টে খালি পেটে খেজুর খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে জানাবো। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টি মনোযোগ সহকারে পড়া অনুরোধ রইলো।

ভূমিকা

খুরমা খেজুর প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।মক্কা ,ইরান পাকিস্থানের মত দেশগুলোতে প্রচুর পরিমাণে খেজুর উৎপাদন করা হয়ে থাকে। অনেকে খেজুরকে সুগার ফুড হিসেবে আখ্যায়িত করে। অন্য সময় তুলনায় রোজার মাসে প্রচুর পরিমাণে খেজুর খাওয়া হয়ে থাকে।

শরীরের ক্লান্তি দূর করে শরীরে শক্তি জোগাতে খেজুর সহায়তা করে। এই পোস্টে আমরা কোন খেজুর সবচেয়ে ভালো,খেজুরের পুষ্টিগুন এবং খুরমা খেজুরের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো। সেগুলো জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।

খালি পেটে খেজুর খেলে কি হয়

বর্তমানে খেজুরের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। বিশ্বের প্রায় ৩০০০ এর বেশি জাতের খেজুর পাওয়া যায়। অন্য সময় তুলনায় রমজানে খেজুর বেশি করে খাওয়া হয়ে থাকে। অনেকে খেজুরকে সুগারফুড হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ।যারা চিনি খেতে পছন্দ করেন না তাদের জন্য বিকল্প হিসেবে খেজুর খেতে পারেন।

অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে রাতে ভিজিয়ে রাখা খেজুর সকালে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। পেটের সমস্যার সমাধানের জন্য রাতের বেলায় খেজুর ভিজে রেখে সেই খেজুর সকালে উঠে খালি পেটে খেলে পেটে যাবতীয় সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব। খেজুর খেলে শরীর দূত ক্লান্তি সেরে এনার্জি জোগাতে সহায়তা করে।

বর্তমানে সব বয়সী মানুষেরই কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে ভিজিয়ে রাখা খেজুর সকালে খালি পেটে গ্রহণ করতে হবে। তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো হয়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। খালি পেটে খেজুর খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পাই। খেজুরের প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা আমাদের দেহে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।

যাদের হার্টের সমস্যা আছে তারা চেষ্টা করবেন সকালে খালি পেটে তিন থেকে চারটা খেজুর খাওয়া। সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে হার্টের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।খেজুর শুধু রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে না। ত্বকে সৌন্দর্য বজায় রাখতে ও বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে অনেকের চামড়া ঝুলতে থাকে।

এই ঝুলে যাওয়া চামড়া কে টাইট বা টনটনে করার জন্য খালি পেটে খেজুর খাওয়া প্রয়োজন।খেজুর খাওয়া ফলে ত্বক আরো মসৃণ সুন্দর ও গ্ল্যামারাস হয়। গর্ভাবস্থায় মায়েদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় এ সকল সমস্যার সমাধানের জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়া প্রয়োজন।বাচ্চার ব্রেন বিকাশ ও হার মজবুত রাখতে ও খেজুর অতুলনীয়।

বর্তমানে বিশ্বের সবচাইতে ভয়াবহ রোগ হলো ক্যান্সার আরে ক্যান্সারের কোষকে প্রতিরোধ করতে খেজুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাদের খুশখুশি কাশি আছে তারা এক গ্লাস দুধে সাথে দুই থেকে তিনটি খেজুর ভিজে রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলে ৭ থেকে 15 দিনের মধ্যে খুশখুশি কাশি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। তাই বলা যায় খালি পেটে খেজুর খেলে হাজারো রোগের থেকে দেহকে রক্ষা করা সম্ভব হয়।

খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়

মধ্যপাচ্যের দেশগুলোতে খেজুর উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে। খেজুরের পুষ্টি গুন অনেক। খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম ,ফাইবার ,ম্যাগনেসিয়াম , ক্যালসিয়াম ও ক্যালোরি ইত্যাদি। খেজুর কে অনেকেই সুগার ফুড বলে আখ্যায়িত করেছেন। মুসলমানদের রোজার সময় হলে ব্যাপক হারে খেজুরের চাহিদা বেড়ে যায়। প্রতিটি ফ্যামিলিতে খেজুর খেয়ে রোজা খোলা হয়।

এই সময়ে কিছু অশত ব্যবসায়ী নষ্ট খেজুর বিক্রি করে থাকে।তাই অবশ্যই ভালোভাবে বেছে খেজুর কেনা প্রয়োজন ।অনেকের মনে প্রশ্ন খেজুর খাওয়ার আদর্শ সময় কখন। খেজুর সব সময় খাওয়া যায় কিন্তু রাতের বেলায় খেজুর পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খেজুর খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

তাই বলা যায় সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। তাই সকলের চেষ্টা করবেন যেন সকালে খালি চার থেকে পাঁচটি খেজুর গ্রহণ করা যায়। আপনি আপনার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় খেজুরে রাখার চেষ্টা করবেন। খেজুর খেলে দেহে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকেমুক্তি পাওয়া সম্ভব।

খুরমা খেজুরের উপকারিতা

আপনারা অনেকেই খুরমা খেজুর খেতে পছন্দ করে।খুরমা খেজুর সৌদি আরব ,পাকিস্তান ,ইরানের মতো দেশ গুলোতে খুরমা খেজুর হয়ে থাকে।খুরমা খেজুরের উপকারিতা নিয়ে আমাদের আর্টিকেলের এ অংশের লেখা হয়েছে। আপনারা যে খুরমা খেজুর খান তার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত আলোচনা করে দেখানো হয়েছে।তাহলে চলুন আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা খুরমা খেজুরের সম্পূর্ণ উপকারিতা গুলো দেখে নেই।

শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে করেঃশ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করতে খুরমা খেজুর বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই যারা এই শ্বাসকষ্ট সমস্যায় ভুগছেন তারা চেষ্টা করবেন তাদের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় খুরমা খেজুর রাখার।

যৌন শক্তি বৃদ্ধি করেঃ বর্তমানে মানুষের যৌন শক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে। এই যৌন শক্তিকে বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত শুকনো বা খুরমা খেজুর খাওয়া প্রয়োজন। এই খেজুর খেলে যৌন শক্তি বৃদ্ধি হয়।

স্ট্রোকের সমস্যা দূর করেঃ নিয়মিত যদি খুরমা খেজুর গ্রহণ করা হয়।তাহলে স্ট্রোকের সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া সম্ভব। তাই স্ট্রোকের প্রবলেম কে এড়িয়ে চলতে বা ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত খেজুর খাওয়া প্রয়োজন।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য খুরমা খেজুর ও শুকনো খেজুর খাওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটা খেজুর গ্রহন করার ফলে হজমের সমস্যা সমাধান পাওয়া সম্ভব।

হার্টের সমস্যার সমাধান করেঃ নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে হার্টের সমস্যা দূর হয়ে যায়। হার্টের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত খুরমা খেজুর গ্রহণ করা আবশ্যক।

দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত

অনেকের জানার আগ্রহ থাকে যে দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত। অন্য সময়ের তুলনায় রোজায় প্রচুর পরিমাণে মানুষ খেজুর গ্রহণ করে থাকে। রোজার খেজুর গ্রহণ করার ফলে সারা দিনে ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।প্রতিটি মানুষের দৈনিক ৪ থেকে ৫টি করে খেজুর খাওয়া উচিত। এভাবে খেজুর খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে।

আবার অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে মোটা হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা দেখা দেয় তাই ৪ থেকে ৫টা খেজুর খাওয়া ভালো। খেজুরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে। যা আমাদের দৈহিক শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করে।খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি পাওয়া যায়।

চারটা থেকে পাঁচটা খেজুর খেলে এলার্জির সমস্যা যুক্ত মানুষের খাওয়া উত্তম।কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে এলার্জি প্রবলেম বেড়ে যেতে পারে। তাই উপরে বিষয় গুলো মাথায় রেখে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ৪ থেকে ৫টা খেজুর খাওয়া প্রয়োজনীয়।

খেজুরের পুষ্টিগুন

আপনাদের অনেকেই খেজুরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ধারণা খুব কম। অনেকেই খেজুর খায় কিন্তু এতে কি কি পুষ্টিগুন আছে সে সম্পর্কে জানা নায়। তাই আজকে আমরা খেজুরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করব।খেজুরের পুষ্টিগুণ অতুলনীয়। মরুভূমি অঞ্চলে খেজুরের উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে। খেজুরের সব প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো খেজুরে বিরাজমান। প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখা প্রয়োজন চলুন তাহলে খেজুরের পুষ্টিগুন সম্পর্কে জানা যাক।

১০০ গ্রাম খেজুরের পুষ্টিগুন নিচে দেওয়া হলো

  • ভিটামিন এ-(১২মাইক্রগ্রাম)
  • ম্যাগনেসিয়াম-(৫৪ মিলিগ্রাম)
  • ভিটামিন বি-(৬০.২৫ মিলিগ্রাম)
  • সোডিয়াম-(৪ মিলিগ্রাম)
  • ভিটামিন কে-(৪.১৪ মাইক্রগ্রাম)
  • লৌহ-(১.০২ মিলিগ্রাম)
  • আয়রন-(১.৮ মিলিগ্রাম)
  • ম্যাঙ্গানিজ-(০.৩মিলিগ্রাম)
  • ফোলেট বি-(১৯ মাইক্রোগ্রাম)
  • পটাসিয়াম-(৬৯৯ মিলিগ্রাম)
  • ফাইবার-(৬.৭ গ্রাম)
  • চর্বি-(০.৩০ গ্রাম)
  • তামা-(০.৩৬ মিলিগ্রাম)
  • প্রোটিন-(১.৮১ গ্রাম)
  • ভিটামিন ই-(০.১মিলিগ্রাম)
  • থায়ামিন-(০.০৫২ মিলিগ্রাম)
  • খাদ্য আঁশ-(৮গ্রাম)
  • শর্করা-(৭৫.০৩ গ্রাম) 
  • চিনি-(৬৩.৩৫ গ্রাম)
  • জিংক-(০.২৯ মিলিগ্রাম)
  • ক্যালোরি-(২৭৭ গ্রাম)
  • কার্বোহাইড্রেট-(৭৫ মিলিগ্রাম)
  • স্নেহ পদার্থ-(০.৩৯ গ্রাম)

কোন খেজুর সবচেয়ে ভালো

রমজান মাসে খেজুরের চাহিদা অন্য সময় তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। রমজানের প্রধান খাবার হলো খেজুর। রমজান মাসে প্রতিটা মুসলমান খেজুর দিয়ে ইফতারি শুরু করে থাকে। বিশ্বে প্রায় তিন হাজার রকমের খেজুর চাষ করা হয়ে থাকে। রমজান মাসে অনেকে প্রধান খাদ্যহতে পারে খেজুর। যারা চিনি খেতে পছন্দ করেন না তাদের জন্য খেজুর খাওয়া ভালো।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ব্যাপক হারে খেজুর চাষ করা হয়ে থাকে। খেজুরে রয়েছে ভিটামিন ,ফাইবার, মিনারেলের মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। রমজান মাসে রোজা থাকার করলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। তাই এই সময়ের ক্লান্তি দূর করতে খেজুর খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

আমাদের দেশে রমজানের অনেক অসাদু ব্যবসায়ী খারাপ খেজুর বিক্রি করে থাকে যার ফলে অনেক মানুষ অনেক সময় চক্রান্তের শিকার হয়। তাই কোন খেজুরগুলো রমজান মাসে খাওয়া ভালো বা দেহের জন্য উপকারী আজকে আমরা সেই সকল খেজুর সম্পর্কে আলোচনা করব।তাহলে চলুন বিশ্বের কয়েকটি ভালো খেজুরের সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

মেজুলঃ মেজুল খেজুর বিশেষ করে মক্কায় ব্যাপক হারে চাষ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বিশ্বের ভালো খেজুরের মধ্যে মেজুল খেজুর অন্যতম। বর্তমানে প্রায় অনেক দেশেই মেজুল খেজুর পাওয়া যায়। মেজুল খেজুর সাধারণত বড় আকারের ও বাদামী রঙের হয়ে থাকে। এই খেজুরে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ফাইবার ও ভিটামিন রয়েছে। মেজুল খেজুর সাধারণত অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে থাকে। রমজান মাসে মেজুল খেজুর খাওয়া উত্তম। মেজুল খেজুর খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের জ্ঞান বৃদ্ধি হয়।

আজওয়াঃ সৌদি আরবে এই বিখ্যাত খেজুরটি চাষ করা হয়ে থাকে। আজোয়া খেজুর নরম ও কালো কালারের হয়ে থাকে। আজওয়া খেজুর সাদের দিক দিয়ে অতুলনীয়। এই খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম থাকে যা আমাদের দেহের হারকে শক্ত রাখতে সহায়তা করে।
 
রোজা থাকার পর ইফতারের সময় এই খেজুর খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয় না। নিয়মিত খেজুর খেলে হার্টের যাবতীয় সমস্যা ভালো হয়ে যায়। এক খেজুর দেহের শক্তি বৃদ্ধিতে বেশ কার্যক্রম ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিটি মানুষের এই খেজুর খাওয়া প্রয়োজন।

মাজাফাতিঃ মাজাফাতি খেজুর মূলত ইরানের প্রচুর পরিমাণ উৎপাদিত হয় থাকে। এই ধরনের খেজুর নরম হয় ও তাদের রং হয় বাদামি কালারের। মাজাফাতি খেজুরটা প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি হয়ে থাকে। মাজাফাতি খেজুর রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ,ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ পটাশিয়ামের মতো সকল গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে। তাই রোজার সময় এই খেজুর খাওয়া উত্তম।

ওমানিঃ ওমানি খেজুর সাধারণত বড় হয়ে থাকে। সাধারণত ওমানে ওমানি খেজুর চাষ করা হয়ে থাকে। ওমানি খেজুরের প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আয়রন থাকে যা আমাদের দেহের বিভিন্ন কার্যকলাপে অংশ নিয়ে দেহকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই অন্য সকল খেজুরের মধ্যেও ওমানি খেজুর খাওয়া ভালো।

হালাউয়িঃ হালাউয়িএকটি মিষ্টি জাতের খেজুর। এটি দেখতে সাধারণত সোনালী ও বাদামি উভয় রঙের হয়ে থাকে। ইরাকের হেলা শহরে এটি দেশ উৎপাদিত হয়। রমজান মাসে খেজুরের চাহিদা পূরণ করতে আপনারা হালাউয়ি খেজুর গ্রহণ করতে পারেন। এই খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি।

ডেগলেন নূরঃ ডেগলেন নূর খেজুরটি খুব মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। এটি আলজেরিয়াতে প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয়ে থাকে। এর ফলটি সাধারণত মাঝারি সাইজের হয়ে থাকে। অনেকেই এই খেজুর কে খেজুরের রানী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এতে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি আছে যারা দেহের রোগ সারতেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই ইফতারের সময় খেজুর খাওয়া ভালো।

অবশেষে বলা যায়

খুরমা খেজুরের উপকারিতা অনেক। প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় খেজুরকে রাখা প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় পুষ্টি ঘাটতি পূরণের জন্য নিয়মিত খেজুর গ্রহণ করা উচিত। ক্যান্সারের মতো রোগ সারতেও খেজুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তাই প্রত্যেকের উচিত নিজেদের খাদ্য তালিকায় খেজুরকে রাখা। প্রিয় বন্ধুরা আমাদের খুরমা খেজুরের উপকারিতানিয়ে লেখা পোস্টি আপনাদের কেমন লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্টও শেয়ার করতে ভুলবেননা।পরবর্তী পোস্ট পাওয়া পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন