ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকেই ফর্সা হতে চায়। কিন্তু কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হবে জানেনা। সেই জন্য আজকে আমি সঠিক ভাবে জানানোর চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে জানতে ও বুঝতে পারবেন।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়, ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম, ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়, ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়, ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

অনেকেই রয়েছে ফর্সা হওয়ার জন্য কতই না কি করে। বিভিন্ন ওষুধ, ক্রিম এগুলো ব্যবহার করে থাকেন। কিছুদিন ফর্সা হয়ে যাওয়ার পর আবার আগের মত হয়ে যায়। অনেক মানুষ রয়েছে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে ফর্সা হবে সেই সম্পর্কে জানেনা। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এছাড়াও ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম এই বিষয়েও আলোচনা করবো। যদি আপনার জানার আগ্রহ থাকে। তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আপনি সকল বিষয়ে সঠিক একটি ধারণা পেয়ে যাবেন।

৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়

অনেক মানুষ রয়েছে যারা খুব দ্রুত ফর্সা হতে চাই। ফর্সা হতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু উপায় মানতে হবে। যে উপায়গুলো আপনার ফর্সা হতে সাহায্য করবে। যদি আপনি তিন দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। যাদের অনেক ইচ্ছা খুব দ্রুত ফর্সা হবে তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

লেবুর রসঃ যদি আপনি ৩ দিনে ফর্সা হতে চান তাহলে এই লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। লেবুর রসের রয়েছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট যা ত্বককে ফর্সা করতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহার করার নিয়ম হচ্ছে প্রথমে এক চামচ লেবুর রস ত্বকে লাগিয়ে নিবেন। এরপর ১ থেকে ২ মিনিট হালকা ভাবে ম্যাসাজ করবেন। তারপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দেয়ার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে যদি আপনি তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার ত্বক ফর্সা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

হলুদের ফেস মাস্কঃ অনেকেই হয়তো জেনে থাকবেন যে হলুদ ত্বকের জন্য কতটা ভালো। যদি আপনি তিন দিনে ফর্সা হতে চান তাহলে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। এটি খুব কার্যকারী একটি উপায়। হলুদের ফেস মাস্ক তৈরি করতে হলে আপনাকে প্রথমে দুই চা চামচ হলুদের গুঁড়ো নিতে হবে। এরপর সে হলুদের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশে নিতে হবে। এরপর আলতোভাবে ত্বকে লাগিয়ে নিতে হবে।১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এতে করে ত্বকের বেশ ভালো উপকার পাবেন।

দইঃ যদি আপনি খুব দ্রুত ফর্সা হতে চান তাহলে দই ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কারণ দই রয়েছে প্রাকৃতিক স্কিন লাইটনার যা আপনার ত্বককে মশ্চারাইজার করে ফর্সা করে তোলে। এটি ব্যবহার করার নিয়ম হচ্ছে প্রথমে এক চামচ দই ত্বকে আলতো ভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই দই শুকিয়ে গেলে সাবান দিয়ে আপনার ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এইভাবে যদি আপনি তিনদিন ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।

পেঁপেঃ যদি আপনি তিন দিনে ফর্সা হতে চান তাহলে অবশ্যই পেঁপে ব্যবহার করে দেখতে পারেন।পেপে হচ্ছে  প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর যা আপনার ত্বকের মৃত কোষগুলোকে দূর করে ফর্সা করতে সাহায্য করবে। এটি ব্যবহার করার নিয়ম হচ্ছে একটি পাকা পেঁপে ছোট একটি অংশ কেটে নিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর এটি শুকিয়ে যাওয়ার পর ৫ থেকে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে খুব দ্রুত ফর্সা হয়ে যাবেন। আশা করি তিন দিনে ফর্সার উপায় সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় 

অনেকেই রয়েছে শ্যামলা ত্বক নিয়ে খুব চিন্তার মধ্যে থাকেন। চিন্তার কোন কারণ নেই আজকে আমি মাত্র ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি এই এক মাস যদি নিয়মিত উপায়গুলি মেনে চলতে পারেন। তাহলে অবশ্যই আপনার ত্বক শ্যামলা থেকে ফর্সা হয়ে যাবে। চলুন তাহলে সে নিয়মগুলো জেনে নিন।

নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যাঃ যদি আপনি সঠিকভাবে ত্বকের পরিচর্যা করতে পারেন। তাহলে খুব দ্রুত ফর্সা হয়ে উঠবে। আপনাকে অবশ্যই মশ্চারাইজিং এর যে নিয়ম রয়েছে সেটি মানতে হবে। এটি বাদ দিলে আপনার স্কিন ফর্সা হবে না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে নাইট ক্রিম মেখে নিতে হবে। এছাড়াও সপ্তাহে যদি আপনি একদিন স্ক্রাবিং আর ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে দেখবেন যে আপনার ত্বক ধীরে ধীরে অনেক উজ্জ্বলতা হয়ে উঠছে। যদি আপনি নিয়মিত কাজ না করেন তাহলে ফর্সা নাও হতে পারে।

প্রচুর পানি পান করাঃ আপনি যদি খুব সহজেই ফর্সা ও সুন্দর ত্বকের অধিকারী হতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রচুর পানি পান করতে হবে। কারণ প্রতিদিন যদি আপনি পানি পান করেন। তাহলে আপনার শরীর অনেক সুস্থ থাকবে। আর যদি আপনি অল্প পরিমাণে পানি পান করেন। তাহলে আপনার চামড়া শুকিয়ে যাবে। তাই স্ক্রিন সুন্দর রাখতে এবং ফর্সা রাখতে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। এতে করে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে কোমল ও উজ্জ্বল।

নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ এক মাসে ফর্সা হতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। কারণ ব্যায়াম করলে আপনার শরীর অনেক সুস্থ থাকে। এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে আপনার ত্বকের উপরিভাগের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম রক্তজালকগুলো খুব চড়া হয়ে যায়। যার ফলে আপনার ত্বক উপরিতলে রক্ত চলাচল অনেক বেশি হয়ে থাকে। সেজন্য ত্বকে অনেক পুষ্টি পায়। যদি আপনি স্বাভাবিকভাবে ফর্সা হতে চান। তাহলে নিয়মিত ব্যায়াম করলে আর কিছু করা দরকার নেই। আশা করি ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়

যদি আপনি আপনার শরীরের রং অনেক উজ্জ্বল করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। যদি আপনি মেনে চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার শরীরের রং অনেক উজ্জ্বলতা পাবে। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনার ফর্সা হওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে করুন। তাহলে সমস্ত বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারবেন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

হলুদের ব্যবহারঃ অনেকেই জানেন যে হলুদ মুখের জন্য কতটা ভালো। যদি আপনি হলুদের গুড়োর সঙ্গে এক থেকে দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ভালো ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে আপনার ত্বক অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে। অনেক সময় দেখা যায় সূর্যের তাপের কারণে মুখ অনেক কালচে হয়ে যায়। এই সকল সমস্যাগুলো দূর করতে হলুদের গুঁড়া এবং লেবুর রস খুবই উপকারী। যদি আপনি ১৫ মিনিট লেবুর রস এবং হলুদের গুঁড়া লাগিয়ে রাখতে পারেন। সপ্তাহে ২ বার আপনাকে এই পেস্টটি ব্যবহার করতে হবে। তাহলে খুব দ্রুত ভালো ফলাফল পাবেন।

দুধের ব্যবহারঃ যদি আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বক ফর্সা করতে চান তাহলে অবশ্যই দুধ এবং মধু ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহার করার নিয়ম হচ্ছে প্রথমে আপনাকে এক টেবিল চামচ দুধ ও এক চা চামচ মধু খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মেশানো শেষে মুখে আলতোভাবে লাগিয়ে নিবেন। এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করবেন। শুকিয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন। এইভাবে যদি আপনি প্রতিদিন ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে খুব দ্রুত অনেক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।  

টমেটোর ব্যবহারঃ ত্বক ফর্সা করতে এই টমেটো খুব ভালো ব্যবহার হয়ে থাকে। অনেকেই রয়েছে দ্রুত ত্বক ফর্সা করতে চাই কিন্তু পারে না। যদি আপনি একটি অথবা দুইটি টমেটো ও দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে আপনার ত্বক খুব দ্রুত ফর্সা হয়ে যাবে। তবে অবশ্যই আপনাকে এটি প্রতিদিন গোসল করার আগে ব্যবহার করতে হবে। এই টমেটো মুখের দাগ কমাতে বেশ ভালো সাহায্য করে এবং ত্বক উজ্জ্বল রাখতে খুব ভালো সহায়তা করে। ত্বকের উপরে জমে থাকা মৃত কোষ দূর করতে এটা বেশ ভালো সাহায্য করে। তাই অন্যান্য জিনিস ব্যবহার করার পাশাপাশি, টমেটো ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

লেবুর ব্যবহারঃ যদি আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বক ফর্সা করতে চান তাহলে অবশ্যই লেবু ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে যেটা করতে হবে। প্রথমে আপনাকে লেবু কেটে রস বের করে নিতে হবে। সেই লেবুর রসের সঙ্গে এক চামচ পানি মেশাতে হবে। এরপর খুব ভালোভাবে মিশ্রণ করে যেখানে যেখানে আপনার দাগ রয়েছে সেখানে সেখানে লাগে নিতে পারেন। এছাড়াও লেবুর রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। 

এটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট ব্যবহার করার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। এরপর আপনি নিজেই খেয়াল করলে দেখবেন যে আপনার ত্বক অনেকটা আগের থেকে সুন্দর দেখাচ্ছে। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বকের সব ধরনের দাগ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এছাড়াও লেবু ত্বকের শুষ্কতা দূর করতেও বেশ ভালো সাহায্য করে।  ঠিক সেই কারণেই ত্বক হয়ে ওঠে অনেক কোমল ও উজ্জ্বল। আশা করি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে সঠিক একটি  ধারণা পেয়েছেন।

ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম 

বর্তমান যুগে অনেক মানুষ ফর্সার জন্য নানা ধরনের ক্রিম মুখে ব্যবহার করে থাকেন। তবে এই ফর্সা হওয়ার জন্য যে ক্রিমগুলো ব্যবহার করা হয় এইগুলো ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আপনাকে স্কিন সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরী। কারণ সবার স্কিনে সব ক্রিম ব্যবহার করা যায় না। সেজন্য আজকে আমি ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। এই ক্রিম আপনি ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বক অনেক ফর্সা হয়ে যাবে। চলুন তাহলে ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম এর নামগুলো জেনে নিন।   

  • Lotus Herbal Night Cream.
  • Bella Vita Organic PapyBlem Pigmentation Blemish Cream.
  • Lakme Absolute Perfect Radiance Brightening Night Cream.
  • Himalaya Revitalizing Night Cream.
  • Pond’s Gold Radiance Youthful Night Repair Cream.
  • L’Oreal Paris White Perfect Night Cream.
  • Garnier Skin Naturals Light Complete Serum Cream.
  • Olay Natural White Beauty All In One Fairness Cream.
ওপরে যে ক্রিমগুলোর নাম আপনি দেখছেন সেগুলো ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম। তাই যদি আপনি ফর্সা হতে চান তাহলে এই ক্রিমগুলো মধ্যে যেকোনো একটি ক্রিম ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন। তবে এর বাইরেও বাজারে আরও অনেক ফর্সা হওয়ার ক্রিম রয়েছে। ডাক্তার যে ক্রিমের কথা বলবে সে ক্রিমটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন। কারণ আপনার ত্বকের উপর ভিত্তি করে ক্রিমগুলো ব্যবহার করার পরামর্শ দিবেন ডাক্তার। 

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

অনেকেই রয়েছে সুন্দর হতে চান। অনেক মানুষ কালো থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য অনেক কিছু ব্যবহার করে থাকেন। তবে সবকিছু ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই সঠিকভাবে সঠিক জিনিস ব্যবহার করলে আপনার ত্বক কালো থেকে ফর্সা হয়ে উঠবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনি এই সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে। তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

যদি আপনি সঠিক নিয়মে পরিচর্যা করতে পারেন তাহলে আগের থেকে অনেকটা স্বাভাবিকভাবে ফর্সা হয়ে উঠবেন। তবে ফর্সা হওয়ার একটি অন্যতম উপাদান রয়েছে সেই উপাদানটি হচ্ছে রূপচর্চায় চারকোল বা কার্বনের ব্যবহার।  এই চারকোল বা কার্বন ত্বক থেকে বলিরেখা সরিয়ে তারুণ্য ধরে রাখতে বেশ ভালো সাহায্য করে। তবে যাদের খুব স্পর্শকাতর ত্বক রয়েছে তারা অবশ্যই একটু সতর্কতার সঙ্গে এটি ব্যবহার করবেন। 

বিশেষ করে পুরুষদের স্ক্রিনে এই চারকোল খুবই ভালো কাজ করবে। কারণ সাধারণত নারীদের তুলনায় পুরুষেরা অনেক বেশি পরিশ্রমী হয়ে থাকেন। পুরুষেরা পরিশ্রম করার সময় ত্বকের তেমন একটা যত্ন নিতে পারে না। তাই ত্বক ভালো থাকে না। তবে সেই ত্বক আগের সুন্দর ত্বক নিয়ে আসার জন্য চারকোল ব্যবহার করলে বেশ ভালো কাজ করবে। তবে আপনি অতিরিক্ত ক্রিম ব্যবহার করবেন না। এতে করে আপনার স্কিন অনেকটা ক্ষতি হতে পারে। 

তাই যেকোন ক্রিম ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর ব্যবহার করবেন। এই চারকোল শুধু স্ক্রিন কালো থেকে ফর্সা করতে সাহায্য করে না। এর পাশাপাশি চুলেরও বেশ ভালো কাজ করে। যেমন চুলের খুশকির সমস্যা, চুল পড়া, এগুলো থেকেও মুক্তি দেয় এই চারকোল। এছাড়াও এই চারকোল ত্বকে জমে থাকা যে ময়লাগুলো রয়েছে সেগুলো দূর করতে বেশ ভালো সাহায্য করে। 

এটি ব্যবহার করার নিয়ম হচ্ছে প্রথমে দুই টেবিল চামচ চিনি নিতে হবে। তার সঙ্গে এক চামচ জলপাইয়ের তেল ও ১ চা-চামচ 'অ্যাকটিভেটেড চারকোলের গুঁড়ো নিতে হবে। এই সবগুলো একসঙ্গে মিশে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। এতে করে আপনার ত্বক সহ চুলেরও বিভিন্ন সমস্যা থাকলে দূর করে দিবে। আশা করি কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন। 

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম এই সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url