কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে এই সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই
আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। পৃথিবীতে সকল মানুষের মাথা ঘোরে। কিন্তু কি খেলে মাথা
ঘোরা অনেক কমে যাবে সেই বিষয়ে হইত তেমন কোনো ধারণা রাখেন নেই। তাই আজকে আমি এই
সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে গ্যাস থেকে মাথা ঘোরা,
মাথা ঘোরার ঔষধের নাম কি, মাথা ঘোরা ও বমি কিসের লক্ষণ, ঘন ঘন মাথা ঘোরার কারণ,
হঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
অনেক মানুষের মাথা ব্যথার কারণে অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা হয়ে যায়। বিশেষ করে
মানসিক চাপ শারীরিক দুর্বলতা এছাড়াও আর অন্যান্য কারণেও মাথা ঘুরতে পারে। তবে এই
মাথা ঘুরলে আমাদের অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করে নিতে হবে। তাই আজকে আমি এই
আর্টিকেলে কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক একটি ধারণা দেয়ার
চেষ্টা করব।
এছাড়াও মাথা ঘোরা ও বমি কিসের লক্ষণ এই বিষয়টি সম্পর্কে যারা জানেন
না তারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন। তাই আপনারা যদি এই সমস্ত
বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে নিতে পারেন তাহলে আশা করি অনেক উপকৃত হবেন। চলুন তাহলে
আর দেরি না করে এই সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে নিন।
ঘন ঘন মাথা ঘোরার কারণ
অনেকেই বিভিন্ন কাজকর্মের কারণে অনেক মাথায় চাপ পড়ে যে কারণে ঘন ঘন মাথা ঘুরার
সমস্যা দেখা দেয়। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে ঘন ঘন মাথা ঘোরার কারণ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনার যদি কোন কারণে সমস্যাটি হয়ে থাকে তাহলে যত দ্রুত
সম্ভব সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ মাথা ঘোরা একটি সাধারণ সমস্যার কিন্তু
অতিরিক্ত মাথা ঘোরা অনেক বড় ধরনের সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই চলুন ঘন ঘন
মাথা ঘোরার কারণগুলো জেনে নিন।
ডিহাইড্রেশনঃ যথেষ্ট পরিমাণে পানি না পান করলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা
দিতে পারে, যার ফলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা এবং ক্লান্তি হতে পারে।
নিম্ন রক্তচাপঃ যখন রক্তচাপ খুব কমে যায়, তখন মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত
পৌঁছাতে পারে না, যার ফলে মাথা ঘোরা, মাথা ঝিমঝিম করা সহ আরও বিভিন্ন সমস্যা
দেখা দিতে পারে।
রক্তচাপের ওষুধঃ কিছু রক্তচাপের ওষুধ খাওয়ার ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
হিসাবে মাথা ঘোরা হতে পারে।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়াঃ যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে এবং আপনার
রক্তে শর্করার মাত্রা খুব কমে যায়, তাহলে আপনার মাথা ঘুরতে পারে, ঘাম হতে পারে
এবং দুর্বলতা অনুভব হতে পারে।
মদ্যপানঃ অতিরিক্ত মদ্যপান মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব এবং এমনকি পেট মূর্ছানো
সহ বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।
চাপ এবং উদ্বেগঃ চাপ এবং উদ্বেগ মাথা ঘোরা, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি এবং ঘাম
হওয়ার কারণ হতে পারে।
অল্প ঘুমঃ যথেষ্ট ঘুম না পেলে মাথা ঘোরা, ক্লান্তি এবং মনোযোগ দিতে
অসুবিধা হতে পারে।
আচমকা ভয় পেলেঃ অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন মানুষ হঠাৎ করে ভয় পেয়ে
থাকে। এই আচমকা ভয় থেকে আপনার ব্লাড প্রেসার অনেক কমে গিয়ে এই সমস্যা দেখা দিতে
পারে। তাই মাথা ঘোরা বিষয়টাকে মোটেও হালকা ভাবে নেওয়া একদমই উচিত নয়। এই
সমস্যাটাই আপনার বড় আকারের হয়ে অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
আপনার যদি ঘন ঘন মাথা ঘোরা হয়, তাহলে কারণ নির্ণয়ের জন্য এবং উপযুক্ত চিকিৎসা
পেতে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি মাথা ঘোরা বেশি বেড়ে
যায় তাহলে অনেক বড় বিপদ হতে পারে তাই যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার চিকিৎসা করে
নেয়া উত্তম।
হঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত
অনেক মানুষের হঠাৎ করে মাথার চক্কর দিয়ে ওঠে আবার অনেকেরই হঠাৎ করে মাথা খুবই
ঝিমঝিম করে ওঠে বা মাথা ঘুরে। এই সমস্যাটি প্রায় কমবেশি সকল মানুষেরই হয়ে থাকে।
এই সমস্যাটি হঠাৎ করেই হয়ে থাকে। কিন্তু এই সমস্যা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে আপনার
বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই মাথা ঘুরলে অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অনেক সময় মাথা ঘোরার কারণে বিভিন্ন জায়গায়
পড়ে গিয়ে অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে। তাই এই সমস্যাটি খুব দ্রুত সমাধান
করা উঠিত।
আজকে আমরা এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে জেনে নিব হঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত এই
বিষয়ে। বেশিরভাগ মানুষের শরীরের বিভিন্ন সমস্যার কারণে মাথা ঘোরা হয়ে থাকে। যখন
শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে পড়ে বা মানসিক চাপ পড়ে যায় ঠিক তখন মাথা ঘোরার
সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও কানের বিভিন্ন সমস্যার কারণে মাথা ঘুরতে পারে যেমন
রক্তনালির সমস্যা।
এছাড়াও মাথা ঘোরার সমস্যা আরো বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে যেমন মস্তিষ্কের বিভিন্ন
সমস্যা, ডায়াবেটিসের সমস্যা, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত
পরিশ্রম, বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, দৃষ্টিগত সমস্যা সহ ইত্যাদি কারণে
মাথা ঘুরে। তাই হঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত চলুন এবার জেনে নিন।
হঠাৎ মাথা ঘুরে কি করা উচিতঃ
- যদি আপনার হঠাৎ করে মাথা করে ওঠে, তাহলে আপনি পাশে কোনো এক স্থানে চুপ করে বসে পড়ুন। এরপর কিছুক্ষণ বসে থাকুন।
- যদি আপনার হঠাৎ করে মাথা ঘুরে ওঠে, তাহলে আপনি ঠান্ডা পানি পর্যাপ্ত পান করুন এবং মাথায় ঠান্ডা পানি দিন।
- মাথা ঘোরার সমস্যা থাকলে কোন গাড়ি চালানো একদমই উচিত নয়। সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখা উচিত।
- যে কাজ করার ফলে আপনার মাথা ঘুরে সে কাজ করা থেকে অবশ্যই আপনাকে বিরত থাকতে হবে।
- বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে মাথা ঘুরতে পারে। তাই যে ওষুধগুলো খেলে মাথা ঘুরে সে ওষুধগুলো অবশ্যই ডাক্তারকে দেখানো প্রয়োজন।
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ নেওয়া যাবে না। যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ উঠানামা করে তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসার পরামর্শ নিন।
- অনেকক্ষণ পর্যন্ত না খেয়ে থাকা যাবে না। কারণ অনেকক্ষণ পর্যন্ত না খেয়ে থাকার কারণে আপনার মাথা ঘোরার সমস্যা হতে পারে।
- কিছু ওষুধ রয়েছে যে ওষুধগুলো খেলে মাথা ঘোরা কমে যায় তবে এগুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাবেন।
- হঠাৎ করে মাথা ঘুরে উঠলে অবশ্যই বিছানায় শুয়ে পড়ুন যদি পারেন তাহলে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ঘুম দিন।
কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে
পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যে মানুষের মাথা ঘোরার সমস্যা হয় না। এই
সমস্যাটি একটি সাধারন সমস্যা হলেও এটি অতিরিক্ত বেড়ে গেলে খুব মারাত্মক
ক্ষতি হতে পারে। তাই এটি যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। তাই
আজকে আমি এই আর্টিকেলে কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক একটি
ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। তাই আপনারা যদি এই বিষয়টি সঠিকভাবে জেনে নিতে
পারেন তাহলে আশা করি অনেক উপকৃত হবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
দই খানঃ মাথা ঘুরলে দই খেতে পারেন। কারণ দইের মধ্যে সোডিয়াম বেশি
থাকার কারণে দই খাওয়ার ফলে মাথা ঘোরা অনেক আরাম পাওয়া যায়। তাই আপনারা
চাইলে দই খেয়ে দেখতে পারেন।
পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দিলে পর্যাপ্ত
পানি পান করুন। কারণ পানি শূন্যতার কারণে আপনার শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে।
ঠিক সে কারণে আপনার মাথা ঘুরতে পারে। তাই পানি শূন্যতা দূর করতে অবশ্য আপনাকে
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। তাই প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান
করুন।
পর্যাপ্ত ঘুমানোঃ আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমান তাহলে আপনার মাথা
ঘোরার সমস্যা, মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম, মাথা যন্ত্রণা সহ আরো বিভিন্ন সমস্যা
দেখা দিতে পারে। তাই নিয়মিত ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই
ভালো। এতে করে আপনার মাথা ঘোরাসহ সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
গ্লুকোজ খাওয়াঃ মাথা ঘোরার সমস্যা দূর করতে গ্লুকোজ খুবই কার্যকর।
প্রতিদিন এক গ্লাস গ্লুকোজের পানি পান করলে মাথা ঘোরা সহ শরীরের বিভিন্ন
সমস্যা দূর হয়।
আদা খানঃ আদা বমি ও বমি ভাব কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এছাড়াও এই
আদা দ্রুত মাথা ঘোরার সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। এই আদা খেলে মস্তিষ্কের রক্ত
সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। তাই মাথা ঘোরার সমস্যা থাকলে এক টুকরো আদা চিবিয়ে খান
তাহলে অনেক আরাম পাবেন। এছাড়াও আপনি পাশাপাশি আদা দিয়ে চা খেতেও পারেন এটিও
আপনার মাথা ঘোরা অনেক উপশম করবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খানঃ যে খাবারগুলো আপনার শরীর সুস্থ রাখবে সে
খাবারগুলো নিয়মিত খাওয়া খুবই জরুরী। কারণ মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দেয়
স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়ার কারণে, মানসিক চাপের কারণে, শারীরিক দুর্বলতার
কারণে তাই খাদ্য তালিকায় ভিটামিন, আয়রন, আঁশযুক্ত খাবার রাখুন। আশা
করি কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে সেই বিষয়ে একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
মাথা ঘোরা ও বমি কিসের লক্ষণ
প্রায় কমবেশি সকল মানুষের মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব হয়। তবে এটি কিসের লক্ষণ
সেটা অনেকেই জানেন না। তাই আজকের এই আর্টিকেলে মাথা ঘোরা ও বমি কিসের লক্ষণ
এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনারা যদি এই
আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন তাহলে খুব সহজেই এই বিষয়টি জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে এই বিষয়টি
সঠিকভাবে জেনে নিন।
স্ট্রোকঃ এটি মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার কারণে হয় এবং
হঠাৎ মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, এবং বমি বমি ভাবের কারণ হতে পারে।
হৃদরোগঃ হৃদরোগের লক্ষণগুলির মধ্যে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা
এবং বমি বমি ভাব অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
মস্তিষ্কের টিউমারঃ মস্তিষ্কের টিউমারের লক্ষণগুলির মধ্যে মাথা ঘোরা,
বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা এবং দৃষ্টি পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
মেনিয়ার্স ডিজিজঃ এটি একটি কানের সমস্যা। এই সমস্যাটি দেখা
দিলে সাধারণত তিনটি উপসর্গ দেখা দেয় যেমন শ্রবণশক্তি প্রচুর পরিমাণে কমে
যাওয়া, কানের মধ্যে ভ্রমর শব্দ হওয়া ও মাথা ঘোরা।
দুশ্চিন্তা করার ফলেঃ অনেক মানুষ অতিরিক্ত পরিমাণে দুশ্চিন্তা করার
কারণে মাথা ঘোরা, মাথা যন্ত্রণা সহ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত
পরিমাণের দুশ্চিন্তা করলে আপনার মাথা ঘুরার অন্যতম একটি কারণ হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তশূন্যতাঃ অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের কারণে
অতিরিক্ত মাথা ঘুরে আবার অনেক সময় রক্তশূন্যতা দেখা দিলে মাথা ঘোরার সৃষ্টি
হয়।
উপরে যে উল্লেখিত বিষয়গুলো রয়েছে সে বিষয়গুলো হচ্ছে মাথা ঘোরা ও বমি
হওয়ার লক্ষণ। তাই আপনাকে অবশ্যই এই লক্ষণগুলো জেনে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।
আশা করি কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি মাথা ঘোরা ও বমি
কিসের লক্ষণ এই বিষয়টিও সঠিকভাবে জেনে নিতে পেরেছেন।
মাথা ঘোরার ঔষধের নাম কি
অনেকেরই মাথা ঘোরার সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু মাথা ঘোরা ওষুধের নাম কি সেটা
অনেকেই জানেন না। তাই আমি আজকে এই আর্টিকেলে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করব। আপনারা যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই
মাথা ঘোরার ঔষধের নাম কি জেনে নিতে পারবেন। তো চলুন আর দেরি না করে জেনে
নিন।
দুটি ওষুধ রয়েছে যে দুটি ওষুধ ভিন্ন গ্রুপের ঔষধ। একটি হচ্ছে সিনারজিন
(Synergine) ক্যালসিয়াম বিরোধী। আরেকটি ডাইমেনহাইড্রিনেট (Dimenhydrinate)
একটি অ্যান্টিহিস্টামিন। এই দুটি উপাদানে আপনার মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব কমাতে
সাহায্য করে। তাই আপনার যদি মাথা ঘোরার সমস্যা কিংবা বমি বমি ভাব এরকম
সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এই দুটি ওষুধের মধ্যে যেকোনো একটি ওষুধ সেবন করলে
আপনি খুব দ্রুত আরাম পেয়ে যাবেন।
গ্যাস থেকে মাথা ঘোরা
আপনি যদি গ্যাসের ওষুধ দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ডায়রিয়া হতে
পারে। এর ফলে আপনার শরীরের ইলেকট্রোলাইট অনেক কমে যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে
পারে। বিশেষ করে এই সমস্যা দেখা দেয়ার কারণে আপনার শরীর থেকে অনেক বেশি তরল
নির্গত হয়। যার কারণে শরীর অনেক দুর্বলতা দেখা দেয়।
এছাড়াও মাথা ঘোরা এবং
হৃদযন্ত্রের স্পন্দন অনিয়মিত উপসর্গের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই আপনারা যারা
অতিরিক্ত গ্যাসের ওষুধ সেবন করেন তারা অতিরিক্ত না খাওয়াটাই ভালো। আশা করি
গ্যাস থেকে মাথা ঘোরা কি করে হয় তার একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে এবং মাথা
ঘোরা ও বমি কিসের লক্ষণ সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি।
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে
শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার
বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার
করুন।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি
পড়ে যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা
জানিয়ে যাবেন। (ধন্যবাদ) আসসালামু আলাইকুম।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন