বাচ্চাদের কাশির এন্টিবায়োটিক খাওয়া নিয়ে সম্পূন জেনে নিন

 প্রিয় বন্ধুরা আপনারা হয়তো বাচ্চাদের কাশির এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে কোনো পোস্ট খুজতাছেন চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আজকে আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব এবং আরো জানবো বাচ্চাদের কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় ইত্যাদি নিয়ে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে সম্পূর্ণ পোস্টি মনোযোগ সহকারে আলোচনা করা যাক।

বাচ্চাদের কাশির এন্টিবায়োটিক খাওয়া নিয়ে সম্পূন জেনে নিন

প্রতিটি বাচ্চারে কাশির সমস্যার ভুগতে থাকে। দীর্ঘদিন কাশি হলে বাচ্চারা বিভিন্ন রোগের শিকার হতে পারে। এ পোস্টে আমরা বাচ্চাদের কাশি হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে জানবো। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়া যাক।

ভূমিকা

বর্তমানের ছোট বড় উভয়ের কাশির সমস্যা হয়ে থাকে।বাচ্চার অসুস্থ হয়ে পড়লে বাবা-মা চিন্তায় পড়ে যায় কিভাবে বাচ্চার কাশি থেকে রেহাই পাবে। বর্তমানে ডাক্তারের ওষুধের পাশাপাশি বাড়িতেও কিছু নিয়ম মেনে চললে কাশির সমস্যার অতি দ্রুত সমাধান করা সম্ভব। আবহাওয়া পরিবর্তনের পাশাপাশি কাশি সমস্যা ঝেঁকে বসে। 

বাবা মায়ের কর্তব্য বাচ্চাকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। সঠিক সময় বাচ্চাকে টিকা প্রদান করা। টিকা প্রদান করলে বাচ্চা ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো থাকে। যার ফলে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণের হাত থেকে বাচ্চা রক্ষা পায়।

আমরা এই পোস্টে জানবো বাচ্চাদের কাশি হলে করণীয় কি,বাচ্চাদের কাশির লক্ষণ ,বাচ্চাদের কাশির এন্টিবায়োটিক ও বাচ্চাদের কাশির সিরাপ ইত্যাদি সম্পর্কে।তাহলে চলুন কথা না বারিয়ে সম্পূর্ণ পোস্টি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।

বাচ্চাদের কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায়

বাচ্চাদের প্রায়শই সর্দি কাশি সমস্যা হয়ে থাকে। তবে ঋতু চেঞ্জ বা আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে বাচ্চাদের কাশির প্রবলেম যেন বেশি বেড়ে যায়। শিশুদের প্রতি নিয়মিত সর্দি কাশি থেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করতে হবে। বাচ্চারা সারাদিনে কাশি না থাকলেও রাতের বেলায় যেন কাশি প্রবলেম একটু বেশি দেখা দেয়।শীত সহ প্রায় প্রতিটি ঋতুতে বাচ্চাদের যত্ন নেওয়া উচিত।

অনেকেই সাধারণ সর্দি কাশি হলেও নিমোনিয়া জাতীয় কঠিন রোগ ভেবে ছোট বাচ্চাদের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়াতে থাকে। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক শিশু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাই বাচ্চাকে সঠিকভাবে চিকিৎসা না করার ফলে পরবর্তী সময় এই রোগ ভয়াবহ রোগে বিস্তার নিতে পারে।

ডক্টরে পরামর্শের পাশাপাশি বাচ্চাদের সামান্য কাশি হলে ঘরোয়া উপায়ে ভালো করার চেষ্টা করবেন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ও বাচ্চাদেরকে সুস্থ রাখা সম্ভব। তাই চলুন আজকে আমরা বাচ্চাদের কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নেই।

  • বাচ্চাদের সব সময় মাতৃদুগ্ধ পান করানো।
  • বাচ্চা শরীর যেন সবসময় তাপমাত্রা ঠিক থাকে তা দেখা।
  • শিশুদের স্যুপ খায়ানো যাবে যদি বাচ্চার বয়স এক বছর বেশি হয়।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রামে বাচ্চাকে রাখা প্রয়োজন।
  • দুই থেকে তিন বছরের বাচ্চাদেরকে সামান্য পরিমাণে কমলা লেবুর রস খাওয়ানো যাবে।
  • বাচ্চাকে সবসময় পরিপাটি রাখার চেষ্টা করতে হবে।
  • সর্দি কাশি সময় বাচ্চাদেরকে কোন প্রকার ঠান্ডা জিনিস খাওয়ানো যাবে না।
  • বাচ্চাকে প্রতিদিন গোসল করিয়ে সূর্যের সামনে বসে থাকতে হবে।
  • শীতের দিনে অবশ্যই গরম গরম জামা প্রদান করাতে হবে। আবার গরমকালে বাচ্চাদের গরমে অতিরিক্ত ফ্যান না চালিয়ে হালকা বাতাসে শিশুকে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
  • বাচ্চাদেরকে সব সময় পুষ্টি যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করাতে হবে।
  • বাচ্চার নাক সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করবেন।
  • বাচ্চারা যদি সকালবেলায় এক কোয়া রসুন খেতে পারে তাহলে সর্দি কাশি থেকে অনেক আরাম পাওয়া সম্ভব।
  • বাচ্চাকে পরিপূর্ণ আলো বাতাসের স্থানে রাখা উচিত।
  • দুই বছরে ঊর্ধের বাচ্চাদের যদি গলা ব্যথা হয়ে থাকে ।তাহলে গার্গেল করানো উচিত তবে দুই বছরের নিচের বাচ্চাদের গার্গেল করোনো উচিত নয়।
  • বাচ্চাদেরকে সামান্য পরিমাণে কালোজিরা এক চিমটি শুকনা আদা ও সামান্য পরিমাণে তেল দিয়ে পিঠে মাসাজ করুন। তাহলে বাচ্চারা সর্দি কাশি থেকে কিছুটা হলেও আরাম পাবে।
  • বাচ্চাদেরকে তুলসী পাতা থেঁতো করে মধু দিয়ে খাওয়ানো প্রয়োজন।
  • বাচ্চাকে বালিশ বা উঁচু কোন বস্তুর ওপরে শোয়ানো উচিত তাহলে বাচ্চা সঠিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারবে।
  • বাচ্চা যদি কফ হয়ে থাকে তাহলে হালকা গরম দুধের সাথে সামান্য পরিমাণ হলুদ মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।
  • এক চামচ মধু লেবুর পানির সাথে মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ানো উচিত। মধু বাচ্চার স্বস্তন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
  • বাচ্চাদের কাশি ভালো করার জন্য। বাড়িতে টমেটো রসুন দিয়ে স্যুপ বানিয়ে খাওয়ান তাহলে কাশি থেকে কিছুটা হলেও আরাম পাওয়া সম্ভব হবে।
  • মুরগির সুপ খাওয়ালে সর্দি-কাশি ভালো হয়। দেশি মুরগিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকায় বাচ্চাদেরকে দেশীয় সুপ বানিয়ে খাওয়ানো উচিত।
কাশি হলে অবশ্যই ডক্টরের কাছে গিয়ে ঔষধ খাওয়ানো উচিত এবং ঔষধের পাশাপাশি আপনারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই কাজগুলো করলে বাচ্চাদের সর্দি-কাশি সমস্যা দূত থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব।

বাচ্চাদের কাশি হলে করণীয় কি

ছোট বাচ্চাদের সর্দি-কাশি হবে এটাই স্বাভাবিক। বাচ্চাদের একটু অসুস্থ হলে বাবা-মা যেন উতলা হয়ে পড়েন বাচ্চাকে সুস্থ করার জন্য। বর্তমানে দিন দিন বাচ্চাদের অসুস্থ সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাতের বেলায় বাচ্চাদের অতিরিক্ত পরিমাণে কাশির সমস্যা দেখা দেয়।কাশির সাথে সাথে বাচ্চাদের জ্বর ও সর্দিও হয়ে থাকে। 

ছোট্ট বাচ্চাদেরকে সর্দি-কাশি থেকে দূর করার জন্য সব সময় পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। মাতৃ দুগ্ধ পান করলে বাচ্চারা বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে দূরে থাকে। বাচ্চাদেরকে সব সময় সঠিক তাপমাত্রায় রাখা প্রয়োজন। সঠিক তাপমাত্রায় রাখলে সর্দি কাশি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। শীতের সময় বাচ্চাদেরকে মোটা শীতের বস্ত্র পরিধান করানো উচিত।

নয়তো ঠান্ডা লেগে যাওয়া সম্ভাবনা থেকে যায়। সময় চেঞ্জ এর সাথে সাথে সর্দি কাশির প্রাদুরভাব যেন ঝেকে বসে। বাচ্চাদেরকে সব সময় সর্দি কাশি থেকে রুখতে ভিটামিন যুক্ত খাদ্য খাওয়াতে হবে। সর্দি কাশি হওয়ার কারণে বাচ্চারা সঠিক ভাবে রাতের বেলায় ঘুমাতে পারেনা। বাচ্চাদের কাশি হলে অবশ্যই ডক্টরের কাছে আসা উচিত।

বর্তমানে কিছু মা-বাবা বাচ্চার কাশি হলে রক্তের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ সেবন করান। এর ফলে বাচ্চার কি সমস্যা হয়েছে সেটা না জেনেই ওষুধ খাওয়ালে বাচ্চা পরবর্তী সময় বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে. তাই অবশ্যই বাচ্চার সর্দি কাশি বা অন্যান্য জাতীয় অসুখ হলে ভালো ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করানো উচিত।

বাচ্চাদের কাশির লক্ষণ

বাচ্চাদের কাশি হলে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় আজকে আমরা সেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানব। কাশি হলে বাচ্চারা অস্থির হয়ে পড়ে। বাচ্চাদের সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে আলো বাতাস যুক্ত স্থানে রাখতে হবে এবং শীতের সময় গরম কাপড় পরাতে হবে। তাহলে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা কম থাকবে।

অন্যান্য অসুখের চাইতে বাচ্চাদের কাশি ও জ্বর বেশি হয়ে থাকে। বাচ্চাদেরকে কাশি ও জ্বর থেকে ভালো করতে অবশ্যই ভাল ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করাতে হবে। আজকে আমরা পোষ্টের মধ্যে চার বাচ্চাদের কাশির যে লক্ষণ গুলো পাওয়া যায় সে সম্পর্কে বলবো।

  • বাচ্চাদের কাশি হলে অনেক সময় বমন করে ফেলে।
  • কাশি হলে বাচ্চার শরীর দুর্বল হতে থাকে।
  • বাচ্চাদের কাশি হলে মাতৃদুগ্ধ পান থেকে বিরত থাকে।
  • বাচ্চাদের কাশি হলে খিচুনির সমস্যা সৃষ্টি হতে থাকে।
  • বাচ্চাদের কাশি দূর করার উপায়।
  • অনেক সময় বাচ্চার শরীরে জ্বর আসতে পারে।

বাচ্চাদের কাশির এন্টিবায়োটিক

ছোট বাচ্চারা দ্রুত অসুখের আক্রান্ত হতে পারে। বাচ্চাদের কোন প্রকার অসুখ হলে বাবা মারা যেন অস্থির হয়ে পড়ে বাচ্চাকে সারিয়ে তোলার জন্য। তাই বাবা-মাকে সব সময় সতর্কতার সহিত বাচ্চাদেরকে দেখা শোনা করা উচিত। আবহাওয়া পরিবর্তনের পাশাপাশি সর্দি কাশি যেন বাচ্চাদের উপরে ঝেঁকে বসে।

তাই বাচ্চাদেরকে সব সময় সুস্থ রাখার দায়িত্ব পিতা মাতার। বাচ্চারা সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হলে পিতা মাতারা বাচ্চাদের কাশির এন্টিবায়োটিক খাওয়ায়। আবার অনেক বাবা মা একটু অসুখ হলেই এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে। এর ফলে বাচ্চার ক্ষতি হয়।

অবশ্যই এন্টিবায়োটিক খাওয়ার আগে ডক্টর পরামর্শ নেওয়া উচিত।ডাক্তারের কাছে গিয়ে বাচ্চাকে দেখিয়ে ওষুধ গ্রহণ করার উচিত। এমনি ওষুধ গ্রহণ করা ফলে অনেক সময় বিপদে সম্মুখীন হতে পারি।

বাচ্চাদের কাশির সিরাপ

জীবন থাকলে অসুস্থ হবে এটাই স্বাভাবিক। বড় মানুষ কিংবা ছোট বাচ্চারা সবাই অসুস্থ হয় এটাই সত্য। অনেক বাচ্চা কিছু দিন পরপরই সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হতে থাকে। এর জন্য পিতা-মাতারা বারবার ডক্টরের কাছে ওষুধ না নিয়ে। পূর্বে যে ওষুধ খাইয়েছে সেই ওষুধ খাওয়ায়। অনেকে প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ঔষধ বাচ্চাদেরকে খাওয়াই এর ফলে বাচ্চাদের ক্ষতি হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রচুর ঔষধ কোম্পানি আছে যারা লাইসেন্স ছাড়াই ঔষধ বিক্রি করে। আমরা অনেক সময় ভুলবশত সেই সব কোম্পানির ওষুধ খেয়ে থাকি। তাই বাচ্চাদের অসুস্থ হলেই শিশু বিশেষজ্ঞ ওর নিকটবর্তী হওয়া প্রয়োজন। শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বাচ্চার অসুখ দেখে ওষুধ দেয়। এর ফলে বাচ্চারা দ্রুত রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

দুই বছর নিচে বাচ্চাদেরকে কাশির সিরাপ খাওয়ার ঠিক না। এর ফলে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন মাথাব্যথা সৃষ্টি হয়, শরীলের খিচুরি দিয়ে ওঠে, শ্বাস-প্রশ্বাস সমস্যা সৃষ্টি হয় ও শরীর দুর্বল হতে থাকে। তাই অবশ্যই এই ঝুঁকে গুলো মাথায় রাখা প্রত্যেকের দায়িত্ব। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাচ্চাদের ওষুধ খাওয়ানো প্রয়োজন।

বাচ্চাদের কাশির সিরাপের কিছু নাম দেওয়া হলো
  • Tusca plus
  • Remocof
  • Ecof
  • Adolef
  • Adovas

অবশেষে বলা যায়

বাচ্চাদের দিন দিন ব্যাপক হারে কাশি-জ্বরে আক্রান্ত শিকার হছে। এজন্য বাচ্চাদের সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে ও অসুস্থ হয়ে গেলে ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। প্রিয় বন্ধুরা আমাদের বাচ্চাদের কাশির এন্টিবায়োটিক নিয়ে লেখা পোস্টটি আপনাদের কেমন লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন