আদার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

আদার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকেরই রান্নায় আদা দিয়ে থাকি। কিন্তু এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা রাখি না। সেজন্য আজকে আমি একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

আদার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে প্রতিদিন আদা খেলে কি হয়, পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা, আদার খাওয়ার নিয়ম, আদার অপকারিতা, আদার উপকারিতা ও অপকারিতা, রাতে আদা খেলে কি হয়, আদার ক্ষতিকর দিক, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

প্রায় সব দেশে এই আদার ব্যবহার করা হয়। কারণ রান্না করার সময় আদা অনেকটা প্রয়োজন পড়ে। তাছাড়া রান্না সুস্বাদু হয় না। এছাড়াও অনেকের রয়েছে ত্বকের যত্নে আদা ব্যবহার করে থাকেন। তবে এর আরো বিশেষ ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। যদি আপনি আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়েন। তাহলে আদার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। তাহলে পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা সহ আরো বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারবেন। আসুন তাহলে আর দেরি না করে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

আদার ক্ষতিকর দিক

আদা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এর বিভিন্ন ভেষজ গুণ রয়েছে। যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান গুলো দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীর সার্বিকভাবে সুস্থ রাখতে বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে। তবে সব কিছুর মতো আদা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আদার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন তাহলে এর দেরি না করে সেই সমস্ত বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

রক্তপাত ঘটতে পারেঃ যদি আপনি অতিরিক্ত আদা খেয়ে থাকেন। তাহলে আপনার রক্তপাত হতে পারে। কারণ আদাতে রয়েছে অ্যান্টি প্লাটিলেট উপাদান। যা রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও যদি আপনি লবঙ্গ বা রসুনের সঙ্গে এই আদা গ্রহণ করেন তাহলে আপনার রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে। 

ডায়রিয়াঃ যদি আপনি আদা অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে ফেলেন। তাহলে আপনার ডায়রিয়া হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে এই আদা খাবারকে খুব দ্রুত বর্জ্য পরিণত করতে সাহায্য করে। ঠিক সে জন্যই একপর্যায়ে ডায়রিয়ার রূপ ধারণ করে আপনার শরীরকে অনেক দুর্বল করে ফেলে।

পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকারকঃ যদি আপনি খালি পেটে আদা খান। তাহলে আপনার গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। কারণ আদতে রয়েছে শক্তিশালী উপাদান যা এই সমস্যাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

মুখে অস্বস্তিঃ অনেক খাবার রয়েছে যেগুলোতে এলার্জি সৃষ্টি হয় এই এলার্জিকে বলা হয় ওরাল এলার্জি সিন্ড্রোম। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে আপনি যদি আদা খাওয়ার পরে মুখ জ্বলা শুরু হয়। তাহলে আপনার জিব্বা ও মুখ অনেক ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গর্ভাবস্থায় অনিরাপদঃ যদি আপনি দৈনিক বেশি পরিমাণে আদা খেয়ে থাকেন। তাহলে আপনার গর্ভপাতের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় আদা না খাওয়াটাই অনেক ভালো।

হৃদযন্ত্রের ঝুঁকিঃ বিশেষজ্ঞরা বলেন যে যাদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে এবং রক্তচাপের জন্য ওষুধ খেয়ে থাকেন তারা আদা খাওয়া বাদ দেওয়া উচিত। কারণ অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।

গ্যাস ও ফোলা ভাবঃ আদা অতিরিক্ত পর্যায়ে খেলে আদার যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে সেটার কারণে হজমে অনেক প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে আপনার গ্যাস ও ফোলাভাব হতে পারে। তাই আদা খেলে অতিরিক্ত না খাওয়াটাই ভালো। এতে করে উপকারের চেয়ে ক্ষতিটা বেশি হবে। আশা করি আদার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

রাতে আদা খেলে কি হয়

পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি যে আদার ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে। এখন আমরা আলোচনা করবো রাতে আদা খেলে কি হয় এই সম্পর্কে। অনেকেই এই বিষয়ে প্রশ্ন করে থাকেন। তবে এই আদা রাতে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। সকল প্রকার রান্নায় এই আদা ব্যবহার করা হয়। কারণ আদা ছাড়া রান্না একদমই সুস্বাদু হয় না। এছাড়াও ঠান্ডা লাগা হোক বা জয়েন্টে ব্যাথা হোক এই সকল সমস্যা সমাধান করে এই আদা। সেজন্য এই আদার গুনাগুন অপরিসীম। যদি আপনি রাতে দুধের সঙ্গে অল্প পরিমাণ আদার গুঁড়ো খেতে পারেন।

তাহলে আপনার শরীরের জন্য বেশ ভালো উপকার মিলবে। এছাড়াও যদি আপনি শরীর সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আদা খেতে পারেন। এতে করে কোন সমস্যা হবে না। এছাড়াও আপনি এই আদা রান্নায় দিয়ে অথবা কাঁচা খেতে পারেন। এতে করে আপনার সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলে দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও এই আদা জ্বরের জন্য বেশ ভালো উপকার। যদি আপনার জ্বর হয়ে থাকে তাহলে রাতে কাঁচা আদা সামান্য পরিমাণ নিয়ে খেলে আপনার জ্বর অনেকটা কমে আসবে। আশা করি রাতে আদা খেলে কি হয় এই সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

আদার উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা সবাই জানি যে এই আদা রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আমরা সকলেই জানি যে এই আদা ত্বকের জন্য বেশ ভালো উপকার। তবে এই আদার যে আরো উপকারিতা রয়েছে সেই সম্পর্কে আমরা কি জানি? হয়তো অনেকেই জানি না। তাই আজকে আমি আদার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনার এই বিষয়ে জানার আগ্রহ থাকে। তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। তাহলে আপনি খুব সহজেই সবকিছু খুব ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আদার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেঃ যদি আপনি এই আদা চায়ের মতো করে খেতে পারেন। তাহলে আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

কাশি ও গলা ব্যথায দূর করেঃ যদি আপনার হঠাৎ করে কাশি বা গলা ব্যাথা হয় তাহলে সাথে সাথে এই আদা সামান্য পরিমাণ নিয়ে খেতে পারেন। কিছুক্ষণ খাওয়ার পরে দেখবেন আপনার সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। তাই যাদের ঠান্ডা কাশি বা গলায় ফুসফুস এই সমস্যাগুলো রয়েছে তারা আদা খেতে পারেন। এতে করে বেশ উপকার পাবেন।

গলা ও মাথা ব্যথা দূর করেঃ যদি আপনার গলা ও মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আদার সঙ্গে কিছুটা লবণ মিশিয়ে যদি আপনি চিবিয়ে খেতে পারেন। তাহলে গলা ও মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যাবে। এটি খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে এক চামচ আদার রস নিয়ে একটু লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে কুসুম গরম পানিতে মিশ্রণ করে নিতে হবে। এরপর চায়ের মত করে খেলে আপনার মাথা ব্যাথা গলা সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এটি প্রতিদিন দুই বেলা করে খেতে হবে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ যদি আপনার ক্যান্সার হয়ে থাকে তাহলে আদা খেতে পারেন। আদায় থাকা উপাদান ক্যান্সারের তৈরি করা কোষ খুব দ্রুত ধ্বংস করতে সহায়তা করে। যার ফলে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা কমে আসে।

ডায়াবেটিস সমস্যা দূর করেঃ যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা এই আদা খেলে খুবই উপকার পাবেন। কারণ আদা দেহের শর্করা বা চিনির পরিমাণ অনেকটা হ্রাস করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই আদা শরীরের ইনসুলিন তৈরি করতে বেশ ভালো সহায়তা করে।

মাসিকের ব্যথা কমাতেঃ মেয়েদের এই মাসিকের ব্যথা নিয়ে খুবই কষ্টের মধ্যে থাকতে হয়। তবে যদি আদা দিয়ে চা খেতে পারে তাহলে এই মাসিকের ব্যথা অনেকটা কমে যাবে। এটি কমানোর জন্য আপনি আদাকে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে খুব উপকার পাবেন।

মল-মূত্রজনিত সমস্যা দূর করেঃ যদি কারো মল-মূত্র বা পায়খানা সমস্যায় ভুগেন। তাহলে সে সকল রোগীরা আদা খেতে পারেন। এই আদায় রয়েছে ভিটামিন বি-৬ যা মল-মূত্র বা পায়খানা জনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই আদা খেয়ে দেখতে পারেন। এতে বেশ উপকার পাবেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ শরীরের বিভিন্ন সময় রোগ এমনভাবে বাসা বাদে যে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে যদি আপনি আদা খেতে পারেন তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে। তাই নিয়মিত আদা খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে বেশ উপকার মিলবে।

জ্বর ও বমি বমি ভাব দূর করেঃ শরীরে বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে জ্বর ও বমি বমি ভাব হয়ে থাকে। তবে এটি দূর করতে আদার রস খেলে উপকার পাবেন। ৫ থেকে ৬ টুকরো আদা নিবেন এবং চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাবেন। তাহলে দেখবেন যে আপনি অনেক সুস্থ হয়ে যাবেন।

আদার অপকারিতা

আদার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। এতক্ষণ আমরা জেনেছি যে আদাব উপকারিতা গুলো কি কি। এখন আমরা জেনে নিব আদার অপকারিতাগুলো। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে নিই।

  • অতিরিক্ত পরিমাণে আধা খেলে আপনার ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা হতে পারে।
  • যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে আধা খান তাহলে আপনার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ অনেক বেশি কমে যেতে পারে। এছাড়াও যে সকল ডায়াবেটিস ও রক্তচাপের রোগী রয়েছেন। তারা ওষুধ খেয়ে থাকলে এই আদা খাবেন না। এতে করে অনেক সমস্যা হতে পারে।
  • আদা বেশি পরিমাণে খেলে আপনার হৃদযন্ত্রের গতি অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।
  • যদি আপনি অতিরিক্ত আদা খান। তাহলে আপনার ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • এছাড়াও যারা গর্ভাবস্থায় রয়েছেন তাদের এই আদা না হওয়াটাই ভালো। কারণ এতে রয়েছে প্রিম্যাচিউর যা বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।
  • এছাড়াও আদা-চা বেশি করে খাওয়া একদমই উচিত নয়। কারণ এটি ঘুমের অনেক সমস্যা করে।
অবশেষে বলা যায় যে এই আদার যে উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি তার অপকারিতা রয়েছে সেজন্য এটি খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে তারপরে খাবেন। এতে করে আপনার উপকার মিলবে। আশা করি আদার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

আদার খাওয়ার নিয়ম

আদা খাওয়ার যে নিয়ম রয়েছে সে নিয়ম অনুযায়ী যদি আপনি আদা খেতে পারেন। তাহলে আপনার বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। অর্থাৎ যদি আপনি একটু লবণ দিয়ে কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। তাহলে আপনার অনেক রুচি আসবে। এছাড়াও যদি আপনি প্রতিদিন দুই বেলা এক চামচ করে আদার রস, লেবুর রস ও মধু এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে চায়ের মত করে খেতে পারেন।

তাহলে আপনার কাশি এবং কফ অনেকটা দূর হয়ে যাবে। তবে এর পাশাপাশি কাঁচা আদা খেতে পারলে আপনার বিভিন্ন রোগেরও উপকার মিলবে। এছাড়া এই আদার তেমন কোনো বিশেষ নিয়ম নেই। সাধারণত আমরা রান্নায় এর আদা বেশি খেয়ে থাকি। তবে কাঁচা খেতে পারলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যাবে। আশা করি আদা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা

আমরা হয়তো অনেকেই জানি যে চায়ের সঙ্গে আদা খেলে আমাদের কাশি, মাথা যন্ত্রণা, কফ এগুলো দূর হয়ে যায়। তবে এই আদা শুধু চায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এই আদার বিভিন্ন ওষুধী গুনাগুন রয়েছে। আদিমকাল থেকেই মানুষের শরীরের বিভিন্ন উপকরণের জন্য এই আদা বিশেষ উপকারী। রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে বেশ ভালো কার্যকারী।

বিশেষ করে এই আদা পুরুষের ফার্টিলিট বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তচাপ কমানো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, এই সকল বিষয়ে আদার বিশেষ উপকারিতা রয়েছে। তাই আজকে আমি আর্টিকেলে পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব তাই চলুন আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে করুন।

গবেষণায় দেখা গেছে যে আদা পুরুষদের ফ্যাটিলিটি বাড়াতে বেশ ভালো সাহায্য করে। এছাড়াও এই আদা পুরুষের শরীরের শুক্রানুর উৎপাদন বাড়াতেও বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এই আদাতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। যার কারণে শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা অনেকটা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাছাড়া এর আরো কিছু গুণ রয়েছে চলুন সেগুলো জেনে নিন।

ত্বক পরিষ্কার করেঃ এই আধা ত্বক পরিষ্কার করতে খুবই উপকারী। এ আদতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং পেন্টি অক্সিডেন্ট যা মুখের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে তাই যদি আপনার মুখে ব্রণ হয়ে থাকে তাহলে আদা ব্যবহার করতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত ব্রণ হওয়া থেকে মুক্তি পাবেন।

রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করেঃ অতিরিক্ত পরিমাণে রক্তচাপ বেড়ে গেলে আদা খেতে পারেন। তাহলে অনেক উপকার পাবেন। কারণ এই আদা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে । এছাড়াও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে নিয়ে আসতে সহায়তা করে।

ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করেঃ ছোট বাচ্চা থেকে বয়স্ক মানুষ পর্যন্ত সবার ঠান্ডাজনিত সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন সর্দি, কাশি, জ্বর, এগুলো। এই সমস্যাগুলো দূর করতে এই আদা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই আদা যদি আপনি চায়ের সাথে খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। এছাড়াও ছোট বাচ্চাদের জন্য এই আদার রস সামান্য পরিমাণে খাওয়ালে বেশ ভালো উপকার পাবেন। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই আদা খেতে পারেন। এতে করে কোন সমস্যা নেই বরং অনেক উপকার। আশা করি পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

প্রতিদিন আদা খেলে কি হয়

পৃথিবীর সকল জায়গাতে এই আদার ব্যবহার হয়ে থাকে। কারণ এই আদা ছাড়া রান্না একটু সুস্বাদু হয় না। তাই বিশ্বজুড়ে এই আদার মান অনেকটা বেশি। এই আধা শুধু রান্নায় দেওয়া হয় না। এই আদার আরো বিশেষ ঔষধি গুনাগুন রয়েছে যা খেলে বিভিন্ন রোগ দূর হয়ে যায়। তাই আজকে এই আর্টিকেলে আলোচনা করবো প্রতিদিন আদা খেলে কি হয় এই সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেয়া যাক।

ক্যান্সার দূর করেঃ অনেক মানুষের ক্যান্সার হয়ে থাকে। এই ক্যান্সার এতটা ভয়াবহ যে এই সমস্যা হওয়ার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে যায়। তাই এই ক্যান্সার যত দ্রুত সম্ভব ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। তাই যাদের ক্যান্সারের সমস্যা রয়েছে তারা আদা খেতে পারেন। গবেষণা দেখা গেছে যে আদায় এমন একটি উপাদান রয়েছে যেটা ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন আদা খেলে আপনার ক্যান্সার দূর হয়ে যাবে।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ অনেকে ওজন নিয়ে খুব চিন্তার মধ্যে থাকেন। বিভিন্ন ওষুধ, ব্যায়াম ইত্যাদি করে থাকেন। তবে আপনি যদি আদা খেতে পারেন তাহলে অনেক ওজন কমিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন। কারণ এই আদতে রয়েছে জিঞ্জেরল এবং শোগাওল নামক দুই উপাদান। যা আপনার শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও বেশ ভালো কাজ করে। এছাড়াও আপনি খাবার তৈরি করতে গুড়া আদা বা বাটা আদার ব্যবহার করতে পারেন।

অথবা আপনি ইচ্ছা করলে কাঁচা আদাও ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনি যদি প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পেটে আদার পানি পান করতে পারেন। তাহলে আপনার ওজন অনেকটাই কমে আসবে। এর পাশাপাশি আপনাকে সঠিক খাবার খেতে হবে এবং পর্যাপ্ত ব্যায়াম করতে হবে। এতে করে খুব দ্রুত ওজন কমিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন। আশা করি প্রতিদিন আদা খেলে কি হয় সেটা আপনি খুব ভালো হবে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি আদার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন