সুপ্রিয় দর্শকবৃন্দ বিচি কলা হলো একটি ব্যতিক্রমী ধর্মী কলা। আমরা যে সমস্ত কলা বেশিরভাগই দেখে থাকি সেগুলো বিচি বিহীন হলেও বিচি কলায় কিন্তু অনেক বেশি বিচ থাকে। বিচি কলার গাছ অনেক উঁচু লম্বা এবং অনেক শক্ত প্রকৃতির হয়। খুব বেশি ঝড় তুফান ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় না এই গাছ।
অন্যান্য কলাগাছের নয় থেকে ১২ মাসের মধ্যে মজা আসলেও বিচি কলার মোচা আসতে সময় লাগে ১৮ মাসের মত। এই বিচি কলার বিভিন্ন ধরনের নাম আছে যেমন একটা কলা ভাইসা কলা বেটে কলা আবার কোন এলাকায় দয়া কলা আটিয়া কলা ও বলা হয় এই বিচি কলাকে।
বিচি কলা বাংলাদেশের একটি অতি পরিচিত ফল। এর উৎপত্তি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়। বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে এই কলার গাছ দেখতে পাওয়া যায়। ধরন অনুযায়ী এই কলা মোটা গোল খাটো ও ভেতরে বিচি হয়। এই কলাটি বেশ উচ্চগুন সম্পন্ন একটি ফল। এই বিচি কলার মচা, থোর, কাঁচা কলা ও পাকা কলা সবই খুব উপকারী মানুষের শরীরের জন্য।
বিচি কলার মধ্যে থাকা উপকারিতা
সাদা আমাশয় রক্ত আমাশয় ও পাতলা পায়খানায় পথ্য হিসেবে আগের দিনের গ্রামের মানুষেরা বিচি কলা খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। আবার অনেকে বিচি কলা কেটে ফালি করে সকালে পানিতে ভিজিয়ে শরবত হিসেবে খেয়ে থাকেন। এতে প্রসাবের জ্বালাপোড়া সেরে যায়।
সকালের নাস্তায় দই, চিড়া, ছাতু, ও মুরির সাথে আটিয়া বা বিচি কলা অনেক জনপ্রিয় ছিল। এই কলা বরাবরই পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন দেশি খাবারের সাথে হারিয়ে যেতে বসেছে আটিয়া বা বিচি কলা।
বিচি কলা একটি ঔষধি গুন সম্পন্ন কলা। বিচি কলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম নাইট্রোজেন ও ফসফরাস থাকে যা শরীরের স্বাস্থ্যকর টিস্যু গঠনের কাজ করে। বিচি কলায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে যা রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। বিচি কলা আলসার জনিত সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
বিচি কলা শরবত হিসেবে খেলে এটি প্রসাবের জ্বালাপোড়া ও প্রসবের রাস্তায় পাথর ও কিডনির সমস্যা সমাধানে একটি সহায়ক পথ্য হিসেবে কাজ করে। বিচি কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিচি কলায় ট্রাপ্টটফার্ম নামক একটি প্রোটিন থাকে যা শরীরে সেরোটিনামে রূপান্তরিত হয় এবং মনকে অবসাদমুক্ত রাখে ও ভালো রাখে।
বিচি কলা খাওয়ার অপকারিতা
মুহূর্তের মধ্যে শরীরে দুর্বলতা কাটিয়ে শক্তি পেতে বিচি কলার জুড়ি মেলা ভার। তবে বেশি বেশি খেলে ক্ষতির আশঙ্কাও থাকে। মাঝারি মাপের একটি পাকা কলায় ১০৫ কিলোগ্রাম ক্যালোরি বা শক্তি থাকে তাই বেশি খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাটা থাকছেই। কারো যদি মাইক্রেন সমস্যা থাকে তাহলে তাদের বিচি কলা এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
বেশি বেশি কলা খেলে হাইপার ক্যালিমিয়া রোগ হয়। প্রচুর পরিমানে শর্করা থাকায় বেশি খেলে দাঁতেরও ক্ষতি হয়। পাকা কলার গুনাগুনের কারণে কলা খাওয়ার পর সব সময় ঘুম পায় তবে মাত্রা অতিরিক্ত খেলে অলস্য রোগে ভুগবেন।
এছাড়াও কলা অনেক সময় এলার্জির কারণ হয়ে থাকে। বেশি করে কলা খেলে কারো কারো ক্ষেত্রে ঠোট ফুলে যেতে পারে গলা জ্বালা করে যাদের ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে তাদের বেশি মাথায় কিছু কলা খেলে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। আবার অতিরিক্ত মাত্রায় বিচি কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই পরিমাণমতো বিচি কলা খান।
বিচি কলা খাওয়ার নিয়ম
প্রতিটি খাবার খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। বিচি কলা সকালে ঘুম থেকে উঠে খেতে পারেন এটি সঠিক সময় বিচি কলা খাওয়ার। তবে এই বিচি কলা আপনি কাঁচা পাকা ও রান্না করেও খেতে পারেন। বিচি কলা রান্না করে খাওয়া খাওয়ার ফলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। বিচি কলা সিদ্ধ করে আবার ভর্তা খাওয়া যায় এটা অনেক সুস্বাদু ও উপকারী মানুষের শরীরের জন্য।
আবার কারো যদি পেটের সমস্যা থাকে তাহলে টাকা বিচি কলা খেতে পারে। বিচি কলা অত্যন্ত উপকারী যারা ধূমপান করে ধূমপান থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে বিচি কলা আপনি প্রতিদিন একটি কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন দেখবেন যে আপনার ধূমপানের প্রতি আসক্তি কমে গেছে।
বিচি কলা নাস্তা হিসেবে সকালে দুধ ও চিরে সাথে বিচি কলা খেতে পারেন। আগের দিনে মানুষ এসব নাস্তা খেয়ে এসেছেন। আবার বিচি কলা খালি পেটে শরবত পানিও খেতে পারেন এর ফলে আপনার প্রসাবের ইনফেকশন জ্বালাপোড়া ও প্রসাবের রাস্তায় পাথর জনিত সমস্যা দূর করবে অনেক অংশে। বিচি কলা অত্যন্ত উপকারী কলা যা আমাদের সঠিক নিয়মে নিয়মিত খেলে অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
বিচি কলা খেলে কি হয়
বিচি কলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি আছে তাই মাত্র একটি কলা অনেক সময় পর্যন্ত শরীরে পরিমাণে শক্তি যোগায়। অতিরিক্ত জ্বর কিংবা হঠাৎ ওজন কমে গেলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এ সময় বিচি কলা খেলে শরীরে শক্তি সঞ্চার হবে এবং তাড়াতাড়ি দুর্বলতা কেটে যাবে। বিচি কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে যা শরীরের হাড়ের জন্য স্বাস্থ্যকর একটি ফল।
বিচি কলা অ্যান্টি এসিড এর মত কাজ করে অর্থাৎ বিচি কলা হজমের সহায়তা করে এবং পেট ফাঁপা সমস্যার সমাধান করে। এছাড়াও বিচি কলা পাকস্থলীতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে।
বিচি কলায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে যা শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আর রক্তস্বল্পতা রোগে ভুগছেন তাদের জন্য বিচি কলা একটি আদর্শ খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। যারা নিয়মিত বুক জ্বালাপোড়া সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন একটি করে বিচি কলা খান। বিচি কলা এসিডিটি কমায় পাকস্থলীতে ক্ষতিকর অ্যাসিড হতে দেয় না। বিচি কলা খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়।
আটিয়া কলার উপকারিতা
ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও পটাশিয়াম বের হয়ে যায় এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এ সময় আটিয়া কলা খেলে শরীর শক্তি পাবে এবং পটাশিয়ামের ঘাটতি দূর করবে। আটিয়া কলা নিয়মিত খেলে আমাদের হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।
বিচি কলায় ফ্যাটি এসিডের চেইন আছে যা ত্বকের কোষের জন্য ভালো। আবার এই ফ্যাটি এসিড সেই পুষ্টি গ্রহণ করতে সাহায্য করে। আটিয়া কলা মানুষের বিষণ্নতা দূর করে মন ভালো করে দেয়। আটিয়া কলায় ট্রাইমপটোফ্রেম আছে যা সেরোটিনামে রূপান্তরিত হয়ে মন ভালো করতে সাহায্য করে।
আটিয়া কলায় প্রচুর পটাশিয়াম আছে যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আবার আপনি যদি ধূমপান ছাড়তে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত আটিয়া কলা খান। কারণ আটিয়া কলায় উপস্থিত ভিটামিন বি ৬ বি ১২ পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম শরীর থেকে নিকোটিনের প্রভাব দূর করতে সাহায্য করে।
আটিয়া কলা ঔষধি গুন সম্পন্ন একটি কলা এই কলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম নাইট্রোজেন ও ফসফরাস থাকে যা শরীরের স্বাস্থ্যকর টিস্যু গঠনে সহায়তা করে। শুধু আটিয়া কলাই না আটিয়া কলা ছাল দিয়ে দাঁত বা মাড়িতে লাগালে মারির ইনফেকশন ও দাঁত সাদা করতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় বিচি কলা
গর্ভাবস্থায় একটি নারীর জন্য উত্তেজনাপূর্ণ সময়। এ সময় প্রতিটি নারীর একটু বেশি সচেতন হতে হয় খাবারের দিকে। এ সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। এ সময় আপনার খাদ্য তালিকায় তাজা ফল শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কারণ এগুলো পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ও ফাইবার যুক্ত। এসব খাদ্য আপনার বাচ্চাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
এরকমই একটি খাদ্য হলো বিচি কলা। তবে বিচি কলা আপনার গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবে কিনা এবং আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে কিনা তার ওপর নির্ভর করবে। তবে আপনি যদি বিচির কলা গর্ভাবস্থায় খেতে চান তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
সবরি কলা খাওয়ার উপকারিতা
সবরি কলা কলার রাজা এটি খেতে যেমন মিষ্টি ও সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে ভরা। তাই সবরি কলা সবাই পছন্দ করে। আমাদের দেশের সবরি কলা সবচেয়ে জনপ্রিয় এটি সারা বছরই পাওয়া যায়। সবরি কলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ইন্টার্নাল কোষ ও রেডিকেল কোষের ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
শরীরের বিভিন্ন রকমের রোগের ঝুঁকি কমে অনেকাংশে। সবরি কলায় কিছু পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে এবং কম সোডিয়াম থাকে। নিয়মিত সবরি কলা খেলে উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো সমস্যার ঝুঁকি কমায় সবরি কলা।
সবরি কলায় আয়রন থাকায় শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করে। সবরি কলায় উচ্চ পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও সুগার থাকায় এটি শরীরের শক্তি যোগায় দুটো সবরি কলা খেলে টানা ৯০ মিনিট ব্যায়ামের শক্তি যোগায়। যদি দ্রুত শক্তি চান তাহলে ঝটপট দুটো সবরি কলা খেয়ে নিন। কিডনির কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সবরি কলা সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত সবরি কলা খান তাদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ কমে যায়। সবরি কলায় সব ধরনের ভিটামিন রয়েছে। ভিটামিন এ টু জেড সব ভিটামিন সবরি কলায় রয়েছে। সবরি কলার ভিটামিন ই ও অন্যান্য ভিটামিন যৌবন ধরে রাখতে সহায়তা করে।
সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা
সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা ওজন বৃদ্ধি। ওজন আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যাদের ওজন অত্যন্ত কম তাদের ওজন বৃদ্ধিতে সাগর কলা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। তবে আপনি যদি প্রতিদিন দুটি সাগর কলা ও ২৫০ গ্রাম দুধ মিশিয়ে খেতে পারেন এভাবে কয়েক মাস খাওয়ার ফলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে নিশ্চিত।
যদি আপনার হজমের সমস্যা থাকে তাহলে আপনি নিয়মিত সাগর কলা খাওয়ার মাধ্যমে হজমের সমস্যা দূর করতে পারেন। সাগর কলা একটি পিচ্ছিল জাতীয় খাবার যা আপনার পাকস্থলীর খাদ্যকে হজমের জন্য প্রস্তুত করবে এবং আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে।
লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে সাগর কলার জুড়ি মেলা ভার। লোহিত রক্তকণিকা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাই নিয়মিত সাগর কলা খাওয়ার মাধ্যমে আমরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারি।
সাগর কলায় থাকা বিভিন্ন ধরনের উপাদান আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ু গুলোকে অনেক বেশি সতেজ রাখতে সহায়তা করে। সাগর কলা এমন একটি খাবার যার মধ্যে সব ধরনের ভিটামিন রয়েছে। নিয়মিত সাগর কলা খেলে রক্ত সঞ্চালন সঠিক রাখবে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সাগর কলা রাখলে উপকারিতা পাবেন।
চাপা কলা খাওয়ার উপকারিতা
চাপা কলার পুষ্টিগুণ বলে শেষ করা যাবে না। চাপা কলা মানুষের পছন্দের ফল গুলোর মধ্যে অন্যতম। চাপা কলায় প্রচুর পরিমাণে পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি লিভার ও পরিপাকতন্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। চাপা কলা বা চম্পা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ক্যান্সারের হাত থেকেও আমাদের রক্ষা করে।
এছাড়াও মস্তিষ্ক সতেজ দেখে ও মানসিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি চাপা কলা। অনেক সময় আমাদের শরীরে কাজ করতে করতে দুর্বল হয়ে পড়ে এ সময় দুটি চাপা কলা খেলে আমাদের শরীরে শক্তি জোগাবে অনেকাংশে।
অনেকের আলসারের সমস্যা থাকে চাপা কলা খেলে আলসারের সমস্যা অনেকাংশে দূর হয়ে যায়। চাপা কলা হার্টের রোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। আবার অনেকের হজমের সমস্যা থাকে চাপা কলা খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
চাপা কলা রয়েছে ভিটামিন এ টু জেড যা আমাদের শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। এছাড়াও চাপা কলা স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে এবং বৃদ্ধি পায়। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও চাপা কলা অনেক উপকারী।
লেখক এর শেষ বক্তব্য
কলা হলো শক্তির আধার। কলা মূলত সকলেরই খাওয়া উচিত। কলা সকালে খেলে এর উপকারিতা সারাদিনই পাওয়া যায়। নিয়মিত আটিয়া কলা সবরি কলা সাগর কলা চাপা কলা ইত্যাদি জাতীয় কলা প্রতিদিন আমাদের খাওয়ার রুটিনে থাকা জরুরী আমাদের শারীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখবে। কলায় ভিটামিন বি সিক্স পটাশিয়াম থাকায় নিয়মিত খেলে মেয়েদের পিরিয়ডের ব্যথা কমে যায়।
এই কলা যদি আপনি নিয়মিত খান তাহলে আপনার জরায়ুর পেশি শক্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। পুরুষদের যৌন শক্তি বৃদ্ধিতেও কলা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কলা শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে।
তবে প্রতিটি জিনিস খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে এটি মাত্রা অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে শরীরে বয়ে আনবে মারাত্মক বিপদ। মাত্র অতিরিক্ত কলা খেলে শ্বাসকষ্ট যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের এলার্জি জনিত সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। আবার অনেক সময় পেটের ব্যথা হতে পারে। তাই পরিমাণ মতো নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে আমরা শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে পারি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন