এলাচ খাওয়ার সঠিক নিয়ম

সুপ্রিয় দর্শকবৃন্দ আজকে আমি আপনাদের জানাবো এলাচের গুণাগুন এলাচ খাওয়ার সঠিক নিয়ম । আমাদের সকলের বাড়িতে এলাচ পাওয়া যায় খুব সহজেই। সুগন্ধি মসলা হিসেবে এলাচের রান্নাঘরে যথেষ্ট মর্যাদা রয়েছে। এলাচে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে তাই ত্বকের সমস্যার সমাধানে এলাচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারো ত্বকে কালো ছোপ ছোপ দাগ থাকলে নিয়মিত এলাচ বেটে দাগে লাগালে সেই দাগ চলে যায়।

এলাচ খাওয়ার সঠিক নিয়ম

মুখে দুর্গন্ধ সকলের জন্য এটি বিব্রতকর সমস্যা। অনেকেই মুখের দুর্গন্ধ জনিত সমস্যায় পড়ে থাকেন। ভালো করে দাঁত ব্রাশ করার পরেও কারো মুখে থেকে যায় দুর্গন্ধ। একটি এলাচ নিয়ে চিবুতে থাকুন দেখবেন মুখের দুর্গন্ধ একেবারেই দূর হয়ে গেছে। এলাচ একটি কার্যকরী ওষুধগুন সম্পুন্ন মসলা যা আমাদের শরীরকে সুস্থ ও ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

রাতে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা

রাতে ঘুমানোর আগে একটি করে সাদা এলাচ ভালো করে চিবিয়ে খান। এরপরে উষ্ণ গরম পানি খেয়ে রাতে ঘুমান এবং দেখুন আপনার শরীরে কি ঘটে। এই এলাচে এতসব উপাদান রয়েছে যে তা চিন্তাও করা যায় না। ছোট এলাচ শুধুমাত্র মসলা হিসেবে রান্নায় স্বাদ বাড়াতে নয় বরং শরীরের অনেক রোগ দূর করতে সহায়তা করে।

বিশেষ নিয়মে এলাচ সেবনের মাধ্যমে যৌন স্বাস্থ্যের মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসে। যাদের জীবনে সমস্যা রয়েছে নারী ও পুরুষের যৌন জীবনে সুখী নয় কিংবা এরেকটেল ডিসফাংশন থেকে শুরু করে দ্রুত বীর্য সংকলন এজাতীয় সমস্যা দূর করতে হলে অবশ্যই পুরো লেখাটি পড়তে হবে।

এলাচের পুষ্টিগুণ মারাত্মক এলাচে রয়েছে প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট গুড কলেস্টেরল, ক্যালোরি, স্বল্প পরিমাণে ফ্যাট, ফাইবার, নিয়াসিন, রাইবোফ্লোবিন, থিয়ামিন, পাইরেটক্সিন,ইলেক্ট্রোলাইট, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, কফার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, জিঙ্ক, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি।

এলাচের উপকারিতা সর্ব প্রথমে আপনার হৃদযন্ত্রের জন্য এলাচে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট আপনার হার্টের জন্য খুবই ভালো। এতে দেহের কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের দারুন ওষুধ এলাচ। নিয়মিত একটি এলাচ খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার হার্টকে ভালো রাখতে পারবেন। কলেস্ট্রল কম রাখতে  পারবেন রক্তচাপ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এটি আপনার শ্বাসকষ্টের সমস্যার সমাধানে ঔষুধের মত কাজ করবে।

এলাচ মানুষের শরীরের শ্বাস যন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন সর্দি, কাশি, ফুসফুসের সমস্যা রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা ইত্যাদি থেকে মুক্তি দেয়। ব্রণ কাইটিস বা শ্বাস জনিত কোন সমস্যা থাকলে মুখে একটি এলাচ দিয়ে চিবুতে থাকুন। এই সমস্যা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পেয়ে যাবেন।

আগেই বলেছি এলাচ যৌন রোগ দূর করতে সাহায্য করে। রাতে এলাচ খেলে যৌন ইচ্ছা বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। এটি বন্ধাত্ব থেকেও মুক্তি দিতে পারে। পুরুষদের মধ্যে বীর্যের সংখ্যা বাড়ায় এবং দ্রুত বীর্য সংকলনে সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। যৌন ইচ্ছাকে বিপুল পরিমাণে বাড়িয়ে তোলে এলাচ। নারীদেরও যৌন জীবনে নানাবিধ সমস্যার চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এলাচ।

খালি পেটে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা

মানব শরীর নানা সময় নানা রোগে আক্রান্ত হয় এইসব রোগের সমাধান রয়েছে আপনার রান্না ঘরে। শুধুমাত্র একটি এলাচ আপনার জীবনকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সুস্থ রাখতে এলাচ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।

এলাচের একটি বড় গুণ হচ্ছে এটি মানুষকে ডিপ্রেশনের হাত থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে থাকে। যার জন্য আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। যারা ডিপ্রেশনে রয়েছেন মানসিক সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন চায়ের মধ্যে এলাচ খান অথবা চিবিয়ে খেতে পারেন।

খালি পেটে এলাচ চিবিয়ে খেলে আপনার হজম ক্ষমতা ভালো হবে। এরমধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিজন ও এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে এই উপাদান গুলো আমাদের হজম ক্ষমতাকে ভালো করে। যকৃত অগ্নাশয়ের উন্নতি ঘটায় ফলে বুক জ্বালাপোড়া, পেটে ব্যথা ও অম্বলের মত সমস্যা থাকে না।

এতে শরীরকে ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে থাকে। শরীরের যত বেশি পরিমাণে ফাইবার আয়রন ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রবেশ করবে ভেতর থেকে তত বেশি পরিষ্কার ও সতেজ থাকবে। এলাচ আমাদের দেহের ভিতরে প্রবেশ করলে বাইরে থেকে আসা যে কোন বিষক্রিয়াক থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।

হেঁচকি সমস্যার সমাধানে প্রয়োজন এলাচ। অনেক সময় হেঁচকি বারবার করে উঠতে থাকে। শরীরে যে কোন মাংসপেশিকে শান্ত করতে এলাচের উপকারিতা অনেক। যদি আপনার বারবার হেঁচকি উঠতে থাকে তাহলে আপনি এক কাপ গরম জলের সাথে কিছুটা এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন হেঁচকির সমস্যা কমে যাবে। যাদের ক্ষুধার সমস্যা রয়েছে সহজে ক্ষুধা লাগে না তারা খাবারের সঙ্গে এলাচ দিয়ে বা এলাচ চিবিয়ে খেলে খুব সহজে তাদের ক্ষুধার সমস্যা দূর হয়। ক্ষুধা পেতে শুরু করে। ক্ষুধামন্দা রোগ দূর হয়।

এলাচ খাওয়ার সঠিক নিয়ম

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়েছে এলাচ এমন একটি ভেষজ উপাদান যা সঠিক নিয়মে খেলে ছোট বড় সব ধরনের রোগ সারানো সম্ভব। তাই অবশ্যই সবাইরে উচিত এলাচ খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানা। এলাচে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য পরিপুশক ভিটামিন ও মাইক্রো নিউট্রিয়ানস মজুদ রয়েছে।

নিয়াসিন, রাইবোফ্লোবিন, থিয়ামিন, ও ভিটামিন এ, সি ছাড়াও সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ইত্যাদি আছে এলাচের।। এলাচ পরিষ্কারভাবে খেতে হবে। এলাচ  খোসা সহ কালো দানা সমূহ চিবিয়ে খেতে হবে।

প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুইটি এলাচ চিবিয়ে খেয়ে গরম পানি খেয়ে নেন তাহলে আপনি অনেক রোগ ও বিভিন্ন সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন। খাবারের পর এলাচ খেলে গ্যাসের সমস্যা কমায় এবং হজম শক্তি অনেক গুন বাড়িয়ে দেয়। পেটে প্রদাহ বমি বমি ভাব দূর করতেও এলাচের জুরি মেলা ভার। দুইটি এলাচ থেঁতো করে এক কাপ হালকা গরম পানিতে গুলিয়ে প্রতিদিন রাতে খাবেন এর ফলে পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে।

যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে রাতে ঘুমাতে পারেন না অথবা শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ব্যথার সমস্যা রয়েছে তারা রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি করে এলা চিবিয়ে খেলে শরীরের ব্যথা দূর হয়ে যায়। রাতে ঘুমও ভালো হয়। এলাচ খাওয়ার সবচেয়ে সঠিক সময় হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে। অথবা কেউ কেউ চাইলে রাতে ঘুমানো যাওয়ার আগেও একটি করে এলাচ চিবিয়ে খেতে পারেন।

আপনি যখন আপনার রোগ গুলো সারানোর জন্য এলাচ সেবন শুরু করবেন তখন টানা ১৪ দিন পর্যন্ত এলাচ সেবন করতে হবে। পরবর্তী সপ্তাহ থেকে সপ্তাহে তিন দিন অথবা একদিন পরপর খেলেই যথেষ্ট। টানা ১৪ দিনের মধ্যে আপনি কিন্তু একদিনও বাদ দিতে পারবেন না। ১৪ দিন পর আপনি আপনার শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিজেই দেখতে পারবেন।

প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে একটি এলাচ মুখে দিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। তা আধাঘন্টা পর এক  গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করুন। ১৪ দিনের মধ্যে আপনার শারীরিক পরিবর্তন গুলো হতে শুরু করবে। আপনি শারীরিক পরিবর্তনগুলো ধরে রাখতে সপ্তাহে তিন দিন এইভাবেই সেবন করুন।

এলাচ চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

এলাচ দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এলাচ  চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। শ্বাসে দুর্গন্ধ থাকলে তা দূর হয়ে যায়। দাঁতের প্লাক দূর হয়ে যায় এবং দাঁত মজবুত হয় এলাচ চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে। ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে এলাচ। এলাচের খাদ্য গুণের কারণে এলাচ ক্যান্সারের টিউমার ও কোষগুলোকে বাড়তে দেয় না এবং ক্লোরেটাল ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এলাচ ঔষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

এলাচ চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। এলাচের মধ্যে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট স্মৃতিশক্তিকে প্রখর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুধের সাথে এলাচ মিশিয়ে খেতে পারলে খুবই উপকার পাবেন স্মৃতি ভ্রমের রোগীরা। এছাড়া শিশুরা এভাবে খেতে পারলে স্মৃতিশক্তি প্রখর হবে। যদি কারো এলার্জি সমস্যা থাকে তাহলে অ্যালার্জি চিবিয়ে খান এলার্জির সমস্যা সমাধানে এলাচ একটি কার্যকরী উপাদান।

এলাচ এর অপকারিতা 

আপনার শরীরে যদি চার ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এখনই এলাচ সেবন করা বন্ধ করুন। না হলে আপনার শরীরে বয়ে আনবে অনেক বড় ক্ষতি। অনেক রান্নাকে সুস্বাদু করার জন্য এলাচের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এলাচকে বলা হয় মসলার রানী। এলাচ সুগন্ধিযুক্ত একটি মসলা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। রান্নার সাধ বাড়ানো ছাড়াও কাঁচা এলাচের বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। যেমন কাঁচা এলাচ চিবিয়ে খেতে পারলে মুখে দুর্গন্ধ রক্তপাত কিংবা দাঁত ক্ষয়ের মত সমস্যা দূর হয়ে যায়। এমনকি এলাচের তেলও ঔষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তবে চার ধরনের ব্যক্তিকে এলাচ খাওয়ার পরামর্শ দেন না চিকিৎসকরা। কারণ এই চার ধরনের লোকের জন্য এলাচ বিপদজনক। এলাচ সাধারণত দুই ধরনের পাওয়া যায়। এই দুই ধরনের এলাচের মধ্যে একটি হলো বড় এলাচ আরেকটি হলো ছোট এলাচ। ছোট এলাচ সবুজ বর্ণের। যদিও এলাচ দেহের জন্য খুবই উপকারী তবে আপনার যদি গোলব্লাডার বা কিডনির পাথরের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এলাচ আপনার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।

এ ধরনের রোগীকে চিকিৎসকেরা এলাচ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন না। বিশেষ করে কাঁচা এলাচ তো মোটেও খাওয়া যাবে না। এলাচের বীজ আপনার শরীরে পাথর বাড়াতে পারে। অতএব এটি গ্রহণের আগে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আপনি যদি রান্নায় এলাচ খেতে চান তাহলে খুব কম পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে এলাচের বীজ ছাড়িয়ে খোসা দিয়ে রান্না করতে পারবেন এতে রান্নার সুগন্ধিও বাড়বে এবং আপনার বাড়তি কোন ক্ষতিও হবে না এবং কাঁচা এলাচ খাওয়া থেকে পুরোপুরি বিরত থাকতে হবে গোলব্লাডার ও কিডনি তে পাথর রোগীদের।

অনেকেই আছেন যাদের অল্প কিছুতেই এলার্জির সমস্যা বেড়ে যায়। যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তারা এলাচ খাওয়া থেকে বহু দূরে থাকুন। এটি ব্যবহারের ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে অনেকেরই। যদিও বলা হয়ে থাকে এলাচ খেলে এজমার প্রকোপ কমে।

তবে কিছু কিছু মানুষের শরীর এলাচের সহ্য করতে পারে না যার ফলে তাদের এলাচ খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। আবার অনেকেরই এলাচ খেলে শরীরে চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন উপদ্রব যাদের আছে তারা কাঁচা এলাচ খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।

আমরা সকলে জানি গর্ভাবস্থা একটা অতি বিশেষ অবস্থা। এ সময় আমাদের যেকোনো ধরনের খাবার খাওয়ার পূর্বে সচেতন হতে হয়। খাবার খাওয়ার পূর্বে যদি আপনি সচেতন না হন তাহলে গর্ভবতী নারীর গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় কাঁচা এলাচ গর্ভপাতের কারণ। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় এলাচ খেতে চান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন তবে এলাচ খান। অন্যথায় বিরত থাকুন।

এলাচ খাওয়ার সঠিক নিয়ম শেষ কথা

এলাচের অনেক উপকারিতা রয়েছে বলে মাত্রা অতিরিক্ত এলাচ খাওয়া যাবে তা কিন্তু নয়। উপরোক্ত সমস্যাগুলো ছাড়াও যদি আপনার এলাচ খেলে বমি বমি ভাব বা বমি, কাশি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এলাচের স্বাদ ঠান্ডা তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত কাশির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এমন শারীরিক সমস্যাগুলো যাদের হয় অর্থাৎ এলাচ খাওয়ার পরে বমি হয় কিংবা কাশি উঠে অথবা এলাচ খাওয়ার পর মাথা ঘুরানোর মতো সমস্যা দেখা দেয় তারা এলাচ খাবেন না। 

আর অতিরিক্ত পরিমাণে তো কখনোই খাবেন না। খেতে হবে একটি অথবা দুটি এর বেশি নয়। যাদের এ ধরনের সমস্যা নেই তারা কাঁচা এলাচ খালি পেটে চিবিয়ে খেয়ে একগ্লাস কুসুম গরম পানি খেলে অনেক উপকার পাবেন। এছাড়াও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে এক চিমটি এলাচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন