দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায়

চলুন বন্ধুরা আজকের আলোচনা থেকে আমরা জেনে নেই দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে। দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে নিচের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে ভালোভাবে পড়তে হবে।

আপনি যদি ঘুম কমানোর জন্য প্রাকৃতিক উপায় খুঁজে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আপনি যদি রাতে ঠিক ভাবে মানে যথার টাইমে ঘুমাতে যান তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে পারবেন।

আপনাকে সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে এমন মনোভাব নিয়ে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার ব্রেন আপনাকে ঠিক টাইমে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিবে। তাছাড়া আপনি এক চামচ পরিমাণে যষ্টিমধ খেতে পারেন। খাওয়ার পরে দেখবেন আপনার ঘুম অনেকটা চলে যাবে।

সকালের ঘুম দূর করার জন্য প্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটি হল আপনাকে রাতে তাড়াতাড়ি অথবা যথাসময়ে ঘুমাতে যেতে হবে। আর ঘুমানো যাওয়ার আগে আপনি একটি এলার্ম সেট করতে পারেন যাতে আপনি সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে পারেন।

আর এলার্ম ঘড়িটি  হাতের কাছ থেকে দুরে রাখবেন যাতে এলাম ঘড়িটির জন্য হলেও আপনাকে উঠতে হয়। তো সকালে ঘুম থেকে ওঠার আরেকটি উপায় হল কল্পনাশক্তি।আপনি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে কল্পনা শক্তি মানে  কল্পনা দিয়ে চিন্তা করতে পারেন যে আমার সকালে ঘুম থেকে উঠে হবে।

তাহলে দেখবেন মেজিক্যালি ভাবে আপনার মাথায় এই চিন্তাটি আটোমেটিকেল ভাবে বার বার কমান্ড হবে তখন আপনার শরীর আপনাকে জাগিয়ে দিবে। সকালে ঘুম থেকে উঠার আরেকটি উপায় হল যেকোনো একজন থার্ড পারসন যেমন তোমার বাবা মা। তোমার বাবা-মা চাইলে তোমাকে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার সাহায্য করবে। 

পড়ার সময় ঘুম চলে আসে এই ঘটনাটি প্রায় আমাদের সবার সাথে হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেই করার সময় ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে। আমরা যারা রাত জেগে পড়াশোনা করি তাদের মধ্যে কেউ আছে যে জোরে শব্দ করে পড়াশোনা করে পড়াশোনা করে।

আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে জোরে শব্দ করে পড়াশোনা করলে আপনার এত সহজে ঘুম আসে না। আবার অনেকে আছেন যে আস্তে ধীরে ধীরে শব্দ করে পড়েন। তারা এ ক্ষেত্রে যেটা করবেন যখন ঘুম আসবে তখন আপনারা একটু শব্দ করে পড়তে পারেন তাহলে দেখবেন কিছুটা হলেও ঘুম ঘুম ভাব চলে যাবে।

আরেকটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন যা হলো আপনি পড়তে যাওয়ার আগে সাথে এক বোতল পানি নিয়ে যাবেন। আপনার যখন ঘুম ঘুম ভাব চলে আসবে তখন আপনি একটু পানি পান করতে পারেন দেখবেন আপনার ঘুম ধীরে ধীরে কেটে যাবে। তাছাড়াও পানি পান করলে আপনাকে একটু রিফ্রেশমেন্ট এনে দিবে। ফলে আপনার ঘুম চলে যাবে।

আপনারা অনেক স্টুডেন্ট আছে যে সোফা অথবা বিছানাতে পড়তে বসে সে ক্ষেত্রে পড়ালেখার প্রতি কোন মনোযোগ বসে না যার ফলে তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসে। এক্ষেত্রে আপনাদের করনীয় আপনারা যখন পড়তে বসবেন তখন টেবিলে বসতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার মনোযোগ আরো পড়ার দিকে বেড়ে যাবে।

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে ৯ ঘন্টার বেশি ঘুমালে তাকে অতিরিক্ত ঘুম বলা হয় বা হিসাবে ধরা হয়। অতিরিক্ত ঘুমানো কে চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি রোগ হিসেবে ধরা হয়। এর একটি নাম ও আছে। এর একটি নাম হলো হাইপারসোমনিয়া।

দিনের ঘুমের আদর্শ সময়ে পার হলেও যারা আরো ঘুমাতে চায়,তাদের এই রোগটি আছে বলে মনে করা হয়। যাদের এই হাইপারসোমনিয়া আছে তাদের মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখা যাবে। যেমন কোন কিছু নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকা, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়া, শরীরে শক্তি কম থাকা, ইত্যাদি যেগুলো আমাদের অতিরিক্ত ঘুমাতে বাধ্য করে।

চলুন জেনে নেই অতিরিক্ত ঘুমানোর কয়েকটি উপায়। আপনার কখন ঘুম থেকে ওঠা জরুরি তার ওপর ১ থেকে ২ টি এলার্ম সেট করে রাখুন। প্রতিদিন একই সাথে ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করবেন। এলাম ঘড়িটি হাত থেকে দূরে রাখোন যাতে এলাম বন্ধ করার জন্য আপনাকে ঘুম থেকে উঠতে হয়।

যখন এলাম বাজবে তখনই ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। না হলে পাঁচ মিনিট কমানোর জন্য আপনার এক ঘন্টা ঘুমাতে হতে পারে। সকালে ঘুম থেকে উঠে যথা  সময় নাস্তা করার চেষ্টা করুন এটি তাহলে আপনাকে দিনের বেলা বাড়তি শক্তি দিয়ে থাক।

তাহলে দেখবেন রাতে ঘুমাতে আপনাকে সাহায্য করবে। রাতে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। তাহলে দেখবেন যথা সময় ঘুম থেকে উঠতে পারবেন। এইসব উপায় অবলম্বন করলে আপনি অতিরিক্ত ঘুম কমাতে পারবেন। 

বাজারে বিভিন্ন রকম ঘুম কমানোর ঔষধি বিক্রি হয়ে থাকে। যেমস আরমুডা ১৫০ এই ওষুধটি খাওয়ার পর আপনার ১২ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুম আসবে না। এবং এর বাজার মূল্য মাত্র ১৫ টাকা করে। এটি কার ফলে আপনার ঘুম অতি সহজেই চলে যাবে। এই ওষুধটি খেয়ে আপনার তিন ঘন্টা ওয়েট করতে হবে। এই ওষুধটি আস্তে ধীরে কাজ করে। তারপর দেখবেন ১২ ঘণ্টার মধ্যে আপনার ঘুম চলে যাবে। 

আজকের এই আলোচনা থেকে আমরা জেনেছি দিনের বেলা ঘুম কাটানোর উপায়। তো বন্ধুরা আজকের আলোচনা থেকে আপনি যদি নতুন কিছু জেনে থাকেন এবং উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।