রূপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার করবেন যেভাবে

সুপ্রিয় দর্শকবৃন্দ, চকচকে উজ্জ্বল ত্বক কে না চায়। আর এই জন্যই আমরা মুখে বিভিন্ন ধরনের ক্লিনজা বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করে থাকি। সেসব ফেসওয়াশে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক থাকায় প্রায় ত্বকের ক্ষতি করে থাকে। আর যদি এই ক্ষতিকর উপাদানের বিকল্পে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যায় তা আমাদের ত্বকের জন্য খুব ভালো হবে।

রূপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার করবেন যেভাবে

খাঁটি মধু হতে পারে এর বিকল্প। কেননা মধুতে আছে প্রোটিন আর অন্যদিকে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড। ভিটামিন এবং মিনারেল ফলে এতে একদিকে তাকে লোমকূপে জমে  থাকা ময়লা দূর করে ও প্রয়োজনীয় ময়েশ্চার এর যোগান দেয়। এর ফলে ত্বক দিনে দিনে উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় হয়ে ওঠে।


রূপচর্চায় মধুর উপকারিতা

মধু এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও ত্বকের কালচে ভাব ও বলিরেখা দূর করে এছাড়াও ব্রণের জীবাণু ধ্বংসতেও বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে মধু।

মধুর মধ্যে আছে শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট পলিফ্রিল্যান্স ফ্লাবোলাইনস ভিটামিন বি, সিক্স গুরুত্বপূর্ণ অ্যান সাইন ভিটামিন সি তা ছাড়া মধুর মধ্যে আছে প্রাকৃতিক এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্টিসামটারি গুণাবলী এর প্রতিটি উপাদান শরীর ভালো রাখার সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অনেকাংশে সাহায্য করে।

মধু একটি প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে এবং রুক্ষ ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্টিফাঙ্গাল গুনে ভরপুর মধু মুখে অতিরিক্ত ব্রণ ও ফুসকুড়ি সমস্যা দূর করে। মধুতে থাকা অ্যান্টি শ্যামাটরী গুণাবলী মুখের এলার্জি এবং ত্বকের প্রদাহ দূর করতে অত্যন্ত উপকারী। মধুর মধ্যে থাকা শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট ত্বক কুঁচকে যাওয়া দূর করে এবং বয়সের ছাপ দূর করে।

মধুতে থাকা পলিফ্রিল্যান্স  স্লাবলায়েন্স অ্যান্টি পিগমেন্টেশন যুক্ত খাঁটি মধু মুখের গর্ত দূর করে এবং চোখের নিচে কালো দাগ এবং মেছতার দাগ থেকে মুক্তি দেয়। মধুতে থাকা শক্তিশালী ইনজাইন মুখের লোমকূপ পরিষ্কার করে ওপেন প্রসেস সমস্যা দূর করে। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির জন্য ঘটা সামটাইম দূর করতে মধু অসাধারণ ভাবে সাহায্য করে। মধুতে থাকা ভিটামিন বি সিক্স এবং ভিটামিন সি মুখের ত্বকে ছেলে ড্যামেজ রিপেয়ার করে ঝকঝকে ফর্সা ত্বক পেতে অনেক উপকারী।


রূপচর্চায় নিমের উপকারিতা

রূপচর্চা উপাদান গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো নিম পাতা। স্বাস্থ্যগত গুনাগুনের পাশাপাশি নিম ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ব্রণ ব্ল্যাকহেড ও মুখের দাগ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

নিম পাতায় এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান থাকায় নিমপাতা মুখের বা ত্বকের ইনফেকশন দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ত্বকের শিবাকাশগ্রান্ডের অতিরিক্ত ময়লা কিংবা ব্যাকটেরিয়া থেকে ব্রণের সৃষ্টি হয় নিমপাতা এগুলো সরিয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

নিম পাতা সেদ্ধ করে সেটিতে একটি তুলার বল ডুবিয়ে মুখটা মুছে ফেলুন। মুখের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব সরাতে চাইলে নিম পাতার সাথে শসার একটি ফেসপ্যাক তৈরি করুন। শুষ্ক ত্বকের যত্নে নিম পাতা অল্প পরিমাণ নিম পাতার গুঁড়ো নিয়ে এতে পরিমাণ মতো জলপাই তেল দিয়ে একটি পেষ্ট তৈরি করে সেটা মুখে লাগালে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

রূপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার

রূপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার খুবই উপকারী এ দুটি উপাদান যদি এখানে হয় তাহলে সেটা ত্বকের জন্য খুবই ভালো। একটু নিম পাতার বড় সাথে এক চামচ পরিমাণ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে তা মুখে পেস্ট হিসেবে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও তবে ইনফেকশন জনিত যেসব সমস্যা ব্রণ ফুসফুরি ও এলার্জি থেকে দূরে রাখবে মধু নিমের ব্যবহার।

কিভাবে ত্বকের যত্ন নিবেন

কিভাবে মধুর সাহায্যে আমরা ত্বকের যত্ন নিব তা নিচে বর্ণনা করা হলো সপ্তাহে তিন দিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘন্টা আগে মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। পরিষ্কার মুখে প্রয়োজনমতো মধু নিয়ে দুহাতে নিয়ে পুরো মুখে মালিশ করে ১০ হতে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করবেন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। প্রতি মাসে ১০ হতে ১২ দিন এভাবে মধু ব্যবহার করলে ব্রণ মুক্ত দাগ হীন ঝলমলে ফর্সা মুখের ত্বক পাবেন আপনি।

যে বিষয়গুলো রূপচর্চায় ক্ষতিকর।

নিখুঁত সুন্দর ত্বক আমাদের সবার কাম্য। কারণ সুস্থ সুন্দর তো আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে অনেকাংশে সাহায্য করে। আর এজন্য অনেকেই ত্বকে অনেক কিছু মেখে থাকে। দেখা যায় কসমেটিক্স থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক উপাদান থাকে এরমধ্যে।

তবে কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো তাকে ব্যবহার করা একদমই ঠিক নয়। যেমন ত্বকে বলিরেখা পড়া সহ নানারকম সমস্যা দেখা দেয় এসব উপাদান ত্বকে ব্যবহারের ফলে। তাই আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা করতে কিছু জিনিস মুখে না লাগিয়ে এড়িয়ে চলতে হবে।

ভেসলিন সারাদেশে তো পাত্র করার একটি উৎকৃষ্ট উপাদান। এটি শুষ্ক ত্বক প্রতিরোধে উপকারী। বিভিন্ন কাঁটা ছেড়া ভাব পোকামাকড়ের কামরে এটি ব্যবহার করা যায়। তবে ব্রণ হলে মুখে কখনোই ভেসলিন লাগানো যাবে না। কারণ এটি ব্রণ বাড়িয়ে দিতে পারে। বডি লোশন, বডি লোশন তৈরি করা হয় শরীরের জন্য মুখের জন্য নয়। শরীরের ত্বক মুখে ত্বকের তুলনায় অনেক পুরু হয়। আর বডি লোশন কে সেই অনুযায়ী তৈরি করা হয়।

হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এটা আসলে কোথাও কেটে গেলে বাব পুড়ে গেলে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যবহার করা হয়। এটা কখনোই মুখে ব্রণ দূর করতে ব্যবহার করবেন না এই যে প্রদাহ এলার্জি তৈরি করতে পারে।লেবু লেবুর অনেক স্বাস্থ্যকর গুণ রয়েছে। তবে এটি মুখের ত্বকে পিএসএর ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই মুখে লেবু ব্যবহার করা যাবে না।

পরিশেষে বলা যায় যে, মুখে মুখে কোন কিছু লাগানোর পূর্বে তার সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে তার ক্ষতিকারক দিক। তা না হলে আমরা নিজেরাই ত্বকের অনেক সমস্যা সৃষ্টি করব। তাই মুখে কিছু লাগানোর পূর্বে আমরা অবশ্যই সে বিষয়ে সচেতন হব এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেব।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন