ঠোঁট গোলাপি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার ঘরোয়া উপায়

ঠোঁট গোলাপি করার কথা ভাবছেন? ঠোঁট আমাদের সৌন্দর্যের একটি বড় অবদান রাখে। ঠোঁট কালো, ফাটা, রুষ্ক শুষ্ক থাকলে আমাদের দেখতেও ভালো দেখা যায় না। আমাদের শরীরের ঠোঁটের স্কিন অনেক পাতলা হয় তাই এমনিতেই ঠোঁট ঠিক রাখতে যন্ত নেওয়া দরকার।

ঠোঁট গোলাপি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার ঘরোয়া উপায়

ঠোঁটের সৌন্দর্য অনেক কারণেই নষ্ট হয়ে যায়, চা, কফি, সিগারেট ইত্যাদি খাওয়ার কারণে ঠোঁটে কালো ভাব চলে আসে। তাই আমাদের সৌন্দর্য বজায় রাখতে ঠোঁট সুন্দর রাখাটা খুবই দরকারি। কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে খুব সহজেই ঠোঁট গোলাপি বা ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়।

ঠোঁটে চিনি ব্যবহার

ঠোঁটে চিনি ব্যবহার করে খুব দ্রুত ও সহজেই ঠোঁটের কালো দাগ দূর করে গোলাপি বানাতে পারবেন। এছাড়াও চিনি ঠোঁটের ফাটা, রুষ্ক শুষ্কতা দর করে ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আপনি চিনিতে একটু মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে এর পর ঠোঁট পানি দিয়ে পরিষ্কার করে যে কোনো একটি লিপ বাম লাগিয়ে নিবেন। এছাড়াও চিনির সাথে একটু অলিভ অয়েল এবং একটু লেবু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এই প্রকৃয়ায় আপনার ঠোঁট খুব দ্রুত গোলাপি ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

ঠোঁটে মধু লাগানো

ঠোঁটের মৃত কোষ দূর করে ঠোঁটের গোলাপি ভাব ফিরে পেতে লাগাতে পারেন। ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ঠোঁট সফট করতে মধু খুব ভালো কাজ করে। মধু আপনি ঠোঁটে এমনি লাগিয়ে রাখতে পারেন। এছাড়াও মধুর সাথে একটু টক দই ও হালকা একটু ময়দা মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে দিতে পারেন এবং সেটি শুকিয়ে গেলে হালকা ভাবে ঘষে তুলবেন এর পর হালকা গরম পানি দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে ফেলবেন। আপনার ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এই ঘরোয়া উপায় অনেকটা সাহায্য করবে।

ঠোঁট ব্রাশ করা

দাঁত ভালো ও সুন্দর রাখতে যেমন ব্রাশ করে দাঁত পরিষ্কার রাখেন ঠিক তেমনি ঠোঁটের মৃত কোষ দূর করে ঠোঁট গোলাপি ও ঠোঁটর অনান্য সমস্যা থেকে ঠোঁটকে বাঁচানোর জন্যও ঠোঁট ব্রাশ করাটাও প্রয়োজন। ঠোঁটের ব্রাশের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো নিয়ম নেই আপনি দাঁত ব্রাশ করার মতোই একটু টুথপেষ্ট নিয়ে সেটি টুথব্রাশে লাগিয়ে হালকা ভাবে আস্তে আস্তে ঠোঁটের উপর ব্রাশ করতে হবে। ঠোঁটে ব্রাশ করার সময় বেশি জুড়ে ব্রাশ করবেন না আস্তে আস্তে হালকা ভাবে ব্রাশ করবেন ১-২ মিনিট ব্রাশ করে ঠোঁট ধুয়ে ফেলবেন।

ঠোঁটে কিসমিস ভেজানো পানি লাগানো

কিসমিস ভেজানো পানি ঠোঁটে লাগিয়ে আপনি আপনার ঠোঁটকে গোলাপি ও সুন্দর বর্ণ দিতে পারেন। কিসমিস রাতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি সকালে ঠোঁটে লাগাবেন। কিসমিস ভেজানো পানি ঠোঁটে লাগালে খুব দ্রুত ঠোঁট গোলাপি হবে। কিসমিসে থাকা উপাদান গুলো ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে খুব ভালো কাজ করে সেই সাথে কিসমিস সহজেই পাওয়া যায়। তাই ঠোঁটে গোলাপি ভাব বা ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কিসমিসের পানি ব্যবহার করতে পারেন।

ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার

আমরা সকলেই জানি ভিটামিন-সি আমাদের স্কিনের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন-সি ঠোঁট গোলাপি ও ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি স্কিনের অনান্য সমস্যা থেকে স্কিনকে নিরাপদে রাখে। ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার খুব সহজেই আপনার ঠোঁটের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে। খাবারের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ভিটামিন-সি পেয়ে জাবেন। তাই ঠোঁট গোলাপি করতে ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার খেতে পারেন।

স্ট্রবেরি ঠোঁটে লাগানো

স্ট্রবেরি ঠোঁটের কালো ভাব দূর করে ঠোঁট গোলাপি করতে সাহায্য করে। স্ট্রবেরি সহজে পাওয়া যায় না কিন্তু এটি ঠোঁট গোলাপি করতে খুব ভালো কাজ করে। আপনি স্ট্রবেরি কেটে ঠোঁটে সেটি আস্তে আস্তে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এছাড়াও স্ট্রবেরির সাথে একটু মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। ঠোঁটের কালো দাগ খুব দ্রুত দূর করতে পারবেন এই প্রকৃয়ায়।

ঠোঁটের স্কিন খুব কমল হয় তাই এটির যত্নও বেশি নিতে হয়। ঠোঁট গোলাপি করার এই ঘরোয়া উপায় গুলো খুব ভালো কাজ করে। দ্রুত ঠোঁটের কালো দাগ দূর করে ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এই প্রকৃয়া গুলো ব্যবহার করতে পারেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url